তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ৫ বিলিয়ন ডলারের লক্ষ্য

বেসিস আয়োজিত আউটসোর্সিং অ্যাওয়ার্ড পরবর্তী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বেসিসের সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর
ছবি : প্রথম আলো

দেশের তরুণ ফ্রিল্যান্সার ও প্রতিষ্ঠানগুলো তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ভালো করছে। করোনাকালে তাদের ব্যবসায় কিছুটা প্রভাব পড়লেও তা থেকে উঠে আসতে শুরু করেছে। এ বছরেও প্রায় ১ বিলিয়ন বা ১০০ কোটি মার্কিন ডলার তথ্যপ্রযুক্তি রপ্তানি হতে পারে। ২০২৫ সালের মধ্যে তা ৫ বিলিয়ন ডলার ছুঁয়ে যেতে পারে। সম্প্রতি বাংলাদেশের সফটওয়্যার খাতের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। বেসিস আয়োজিত আউটসোর্সিং অ্যাওয়ার্ড পরবর্তী এক অনুষ্ঠানে ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানির ওই লক্ষ্যের কথা বলা হয়।

অনুষ্ঠানে বেসিসের সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর বলেন, দেশের ফ্রিল্যান্সারদের কোম্পানি গঠন করতে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে বিদেশ থেকে যেসব প্রতিষ্ঠান বৈদেশিক মুদ্রা আনছে তাদের ক্যাশ ইনসেনটিভ দেওয়া হচ্ছে। সরকার ২০২৪ সাল পর্যন্ত কর মওকুফের মতো সুবিধাও দিচ্ছে। এখন দেশের তরুণ উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসতে হবে। সে লক্ষ্যে বেসিস আউটসোর্সিং অ্যাওয়ার্ড আয়োজন করে তাদের উৎসাহ দেয়।

বেসিসের সভাপতি আরও বলেন, ‘তৈরি পোশাক শিল্পের ওপর নির্ভরতা কমাতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। আমাদের প্রযুক্তির ওপর জোর দিতে বলেছেন। আমরা আউটসোর্সিং সেবা রপ্তানিতে বিশ্বের মধ্যে ভালো অবস্থান রয়েছি। এখন এককভাবে না এগিয়ে কয়েকজন একত্রিত হয়ে একটি ছোট আউটসোসিং কোম্পানি গঠন করে মিলিয়ন ডলার লক্ষ্য অর্জনে এগোতে হবে। এর বাইরে আধুনিক প্রযুক্তির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কাজ করতে হবে।’

বেসিসের জ্যেষ্ঠ সহ–সভাপতি ফারহানা এ রহমান বলেন, আগে দেশের ফ্রিল্যান্সাররা ডেটা এন্ট্রি বা ছোট ছোট কাজ করতেন। কিন্তু এখন অনেকেই নতুন দক্ষতাসম্পন্ন কাজে যুক্ত হয়েছেন। তারা দেশে বসেই আয় করছে। তাদের এখন বড় হতে হবে। এজন্য প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দিতে কাজ করবে বেসিস।

তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বিভিন্ন বিভাগে উদ্ভাবনী উদ্যোগকে উৎসাহিত করতে সম্প্রতি ৮৭ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করেছে বেসিস। এতে আউটসোর্সিং প্রতিষ্ঠান বিভাগে ৭টি, স্টার্টআপ বিভাগে ৭ টি, এক্সপোর্ট এক্সিলেন্স বিভাগে ১৬টি, জেলা পর্যায়ে ৫৪টি এবং ব্যক্তি নারী বিভাগে ৩টি পুরস্কার দেওয়া হয়।