পর্যালোচনা শেষে রায়, ফেসবুকে নিষিদ্ধই থাকছেন ট্রাম্প

ফেসবুকে নিষিদ্ধই থাকছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট
এএফপি

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম থেকে নিষিদ্ধ করা হয় গত জানুয়ারিতে। এরপর ঘটনার গুরুত্ব বিচারে স্বাধীন পর্যালোচনার জন্য ওভারসাইট বোর্ডের কাছে আবেদন করে ফেসবুক। বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুনঃ পর্যালোচনা শেষে আজ বুধবার ফেসবুকের আগের সিদ্ধান্তের পক্ষেই রায় দিয়েছে সে কমিটি। অর্থাৎ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম দুটিতে নিষিদ্ধই থাকছেন ট্রাম্প।

তবে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করার যে সিদ্ধান্ত ফেসবুক নিয়েছে, তার সমালোচনা করেছে ওভারসাইট বোর্ড। সে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য ফেসবুককে নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে নীতিমালা মেনে যথোপযুক্ত ব্যাখ্যা দিতে বলেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটিকে, যা সাধারণ ব্যবহারকারীর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে। আর সে জন্য ছয় মাসের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে বোর্ডটি।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের অ্যাকাউন্টের ব্যাপারে গত মাসেই সিদ্ধান্ত জানানোর কথা ছিল ওভারসাইট বোর্ডের। তবে ৯ হাজারের বেশি মানুষের মতামতের ঠিকঠাক পর্যালোচনার জন্য আরও সময় নেয়।

আরও পড়ুন

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কেন ফেসবুকে নিষিদ্ধ

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্ররোচনায় মার্কিন নির্বাচনের ফল বদলানোর জন্য গত ৬ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল হিলে হামলা চালায় উগ্রপন্থীরা। এরপর ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম থেকে ট্রাম্পকে প্রথমে ২৪ ঘণ্টার জন্য নিষিদ্ধ করা হলেও পরে তা ‘অনির্দিষ্টকালের’ জন্য বাড়ানো হয়। টুইটার এবং ইউটিউবেও নিষিদ্ধ তিনি।

‘ফ্রম দ্য ডেস্ক অব ডোনাল্ড জে ট্রাম্প’ নামের ওয়েবসাইটে নিবন্ধন করে ট্রাম্পের বক্তব্য জানতে পারবেন তাঁর অনুসারীরা
এএফপি

টুইটার ও ফেসবুক থেকে নিষিদ্ধ হওয়ার পর জানুয়ারিতেই নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম চালুর ঘোষণা দিয়েছিলেন ট্রাম্প। এত দিন পর এসে সমর্থকদের সঙ্গে যোগাযোগের নিজস্ব মাধ্যম হিসেবে একটি ওয়েবসাইট চালু করেছেন তিনি। ‘ফ্রম দ্য ডেস্ক অব ডোনাল্ড জে ট্রাম্প’ নামের ওয়েবসাইটে নাম নিবন্ধন করে ট্রাম্পের বক্তব্য জানতে পারবেন অনুসারীরা। এখন পর্যন্ত এই প্ল্যাটফর্মটিতে কেবল ট্রাম্পের বক্তব্য পেশ করার সুযোগ আছে, অন্য কেউ মন্তব্য করতে পারবেন না।

আরও পড়ুন

ওভারসাইট বোর্ড কী

ফেসবুকের কনটেন্ট-বিষয়ক সিদ্ধান্ত পর্যালোচনার জন্য স্বাধীন কমিটি হিসেবে সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মী, আইনজীবী ও শিক্ষাবিদদের নিয়ে গঠন করা হয় ওভারসাইট বোর্ড। ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক জাকারবার্গের উদ্যোগে গঠিত হলেও স্বাধীন সত্তা হিসেবে কাজ করে বলে দাবি করা হয়। তবে এর পরিচালনার ব্যয়ভার ফেসবুকই বহন করে।

ফেসবুকের কনটেন্ট-বিষয়ক নেওয়া সিদ্ধান্ত বদলানোর ক্ষমতা আছে ওভারসাইট বোর্ডের। অনেকে এটিকে ‘ফেসবুকের সুপ্রিম কোর্ট’ বলে থাকেন। এই কমিটি এরই মধ্যে ৯টি আবেদন পর্যালোচনা করেছে।