পুরোনো ল্যাপটপ-ডেস্কটপ নিয়ে নতুন দিচ্ছে ওয়ালটন

ওয়ালটন ল্যাপটপ এক্সচেঞ্জ অফার উদ্যোগ উদ্বোধন করেন প্রতিষ্ঠানটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা
ছবি: সংগৃহীত

পুরোনো ল্যাপটপ ও ডেস্কটপ কম্পিউটারের বদলে নতুন ল্যাপটপ-ডেস্কটপ দিচ্ছে দেশের প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন। যেকোনো ব্র্যান্ডের সচল বা অচল ল্যাপটপ-ডেস্কটপ জমা দিয়ে সর্বোচ্চ ২২ শতাংশ ছাড়ে কেনা যাচ্ছে ওয়ালটনের নতুন ল্যাপটপ-ডেস্কটপ, যার মূল্য তিন মাসে পরিশোধ করার সুযোগ থাকছে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে ১২ মাসের কিস্তিসুবিধা।

ওয়ালটন ল্যাপটপ এক্সচেঞ্জ অফারের আওতায় এ সুবিধা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। গতকাল সোমবার বিকেলে এক অনুষ্ঠানে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ। উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান এস এম রেজাউল আলম ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম মঞ্জুরুল আলম।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ‘ল্যাপটপ এক্সচেঞ্জ অফার’-এর আওতায় দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা, ডিস্ট্রিবিউটর শোরুম, আইটি ডিলার এবং মোবাইল ডিলার শোরুমে যেকোনো পুরোনো সচল ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ জমা দিলে নতুন ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ কেনায় ২২ শতাংশ ডিসকাউন্ট পাবেন ক্রেতারা।

পুরোনো অচল ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ জমা দিলে মিলবে ১৫ শতাংশ ডিসকাউন্ট। ডিসকাউন্টের পর পরিশোধযোগ্য মূল্যের ৩০ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট দিয়ে নতুন পণ্যটি নেওয়া যাবে। বাকি মূল্য কোনো ইন্টারেস্ট ছাড়াই তিন মাসের সহজ কিস্তিতে পরিশোধ করা যাবে।

অনুষ্ঠানে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, আইটি খাত থেকে এক বিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ রপ্তানি হচ্ছে। ২০২৫ সালের মধ্যে এ খাত থেকে আরও পাঁচ বিলিয়ন ডলার রপ্তানির লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে সরকার। লক্ষ্য অর্জনে বেসরকারি খাতে যেসব কোম্পানি কাজ করছে, তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে ওয়ালটন গ্রুপ। মাত্র আড়াই থেকে তিন দশকের মধ্যে ওয়ালটন একটি বিশ্বমানের কোম্পানিতে রূপান্তরিত হয়েছে।

সবাইকে দেশে তৈরি পণ্য ব্যবহারের আহ্বান জানিয়ে প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা যদি নিজেদের তৈরি পণ্য নিজেরা ব্যবহার করি, তবে আমাদের দেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধ হবে। আমরা আত্মনির্ভরশীল ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে পারব। আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় হবে। লাখ লাখ তরুণ–তরুণীর কর্মস্থান হবে।’

এস এম রেজাউল আলম বলেন, ‘ই-বর্জ্য যাতে যত্রতত্র পড়ে পরিবেশ নষ্ট না করে বা ক্ষতির কারণ না হয়, সে জন্য আমরা এ উদ্যোগ নিয়েছি। কারণ, প্রতিবছর দেশে প্রায় ১০ লাখ ল্যাপটপ-কম্পিউটার বিক্রি হচ্ছে। এগুলো নষ্ট হয়ে গেলে মানুষ যেখানে–সেখানে ফেলছে, যা পরিবেশের জন্য হুমকিস্বরূপ। এগুলো সংগ্রহ করে ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনার নিয়ম অনুযায়ী পরিশোধনের ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্দেশ্যে ক্রেতাদের এই সুযোগ দেওয়া হয়েছে। ওয়ালটনের মূল লক্ষ্য ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ায় অবদান রাখার পাশাপাশি একটি ই-বর্জ্য দূষণমুক্ত দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে সবুজে সুশোভিত রাখা।’

এস এম মঞ্জুরুল আলম বলেন, এর আগে এয়ার কন্ডিশনার এবং টেলিভিশন পণ্যে এক্সচেঞ্জ সুবিধা দেওয়া হয়েছে, যা ইতিমধ্যেই ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। এবার ল্যাপটপ-কম্পিউটার পণ্যে এই সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। ভবিষ্যতে ওয়ালটনের অন্যান্য পণ্যেও ক্রেতারা এ ধরনের সুবিধা পাবেন।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটনের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর নজরুল ইসলাম সরকার, বিপণন বিভাগের প্রধান সমন্বয়ক ইভা রিজওয়ানা নিলু, এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর এমদাদুল হক সরকার, এস এম জাহিদ হাসান, মো. হুমায়ূন কবীর, উদয় হাকিম, মো. রায়হান ও আমিন খান, ওয়ালটন কম্পিউটার বিভাগের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা প্রকৌশলী লিয়াকত আলী, হেড অব আইটি গালিব বিন কিবরিয়াসহ প্রতিষ্ঠানটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ওয়ালটনের সিনিয়র ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মো. ফিরোজ আলম।