প্রান্তিক মানুষকে ইন্টারনেট সেবা দিচ্ছে জেডটেক

ব্রাহ্মণবাড়িয়াভিত্তিক স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠান জেডটেক
ছবি: সংগৃহীত

দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ কম খরচে ইন্টারনেট চান। এ বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে ইন্টারনেট সেবার একটি স্টার্টআপ চালু হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়াভিত্তিক স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠান জেডটেক সেখানকার প্রান্তিক মানুষের জন্য ইন্টারনেট সেবা চালু করেছে। ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ও ওয়াইফাইভিত্তিক ইন্টারনেট সেবা নিয়ে স্থানীয় বাজারসহ প্রান্তিক মানুষের চাহিদা মেটাতে কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি।

ইতিমধ্যে সরকারের স্টার্টআপ বাংলাদেশ আইডিয়া প্রকল্পের পুরস্কারও পেয়েছে জেডটেক স্টার্টআপটি। সরকারের তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, আইডিয়া প্রকল্পের তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানটি স্টার্টআপ হিসেবে ভালো করছে। কম খরচে ইন্টারনেট সেবা দিয়ে সামাজিক প্রভাব তৈরির লক্ষ্যে কাজ করছেন এর উদ্যোক্তা সামিউল ইসলাম।


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ শেষ করে কয়েকটি তথ্যপ্রযুক্তির উদ্যোগ নিয়ে কাজ করেছেন সামিউল ইসলাম। নিজেকে প্রযুক্তি খাতের ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচয় দেন তিনি। প্রথম আলোকে জেডটেক লিমিটেডের উদ্যোগ সম্পর্কে বলেন, গত বছর তিনি পরীক্ষামূলকভাবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেডটেক প্রকল্পটি শুরু করেন। তাঁর লক্ষ্য ছিল কম খরচে সেখানকার মানুষকে ইন্টারনেট সেবা দেওয়া। এ জন্য ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার (আইএসপি) সেবার লাইসেন্স নেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন বা বিটিআরসির কাছ থেকে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কয়েকটি এলাকায় বিশেষ ওয়াইফাই সেবা দিতে শুরু করেন। ডিভাইসের মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট এলাকায় ওয়াইফাই চালু করেন। অ্যাপের মাধ্যমে ওই ওয়াইফাই নির্দিষ্ট সময়ভিত্তিক ব্যবহারের প্যাকেজ তৈরি করেন। এতে যাঁদের প্রয়োজন, তাঁরা নির্দিষ্ট খরচের বিনিময়ে ইন্টারনেট সেবা ব্যবহার করতে পারেন।

সামিউল জানান, বিভিন্ন দোকান, বাজার ও এলাকায় কম খরচে ইন্টারনেট সেবা দিতে তিনি এ উদ্যোগ নেন। কেউ চাইলে দিনে মাত্র ১০ টাকায় ওয়াইফাই ইন্টারনেট সেবা নিতে পারেন। এর বাইরে আইএসপি হিসেবে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবাও দেয় তাঁর প্রতিষ্ঠান। অন্যান্য আইএসপির সঙ্গে তাঁর পার্থক্য হচ্ছে সামাজিক প্রভাব সৃষ্টি। ছোট ছোট প্যাকেজ তৈরি করে ইন্টারনেট সেবা দেওয়ার কারণে ইতিমধ্যে ব্যবহারকারী বেড়ে গেছে তাঁদের।

তিনি বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে, কম আয়ের মানুষকেও ইন্টারনেট সেবা দিয়ে তাঁদের স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, ক্ষমতায়নের বিষয়টি নিশ্চিত করা।’

জেডটেকের উদ্যোক্তা সামিউল বলেন, দেশের অন্য এলাকায়ও তাঁদের সেবা বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। এখন পর্যন্ত নিজস্ব উদ্যোগে তিনটি কমিউনিটিভিত্তিক নেটওয়ার্ক চালু করেছেন তাঁরা। এ ছাড়া স্থানীয় প্রতিনিধিভিত্তিক ব্যবসার বিশেষ মডেল দাঁড় করিয়েছেন। তাঁরা প্রতিনিধিদের লভ্যাংশ দেন। সম্প্রতি এশিয়া বার্লিন সম্মেলনে অনলাইনে নিজেদের স্টার্টআপকে তুলে ধরেছেন তাঁরা। উদ্যোগটি দেশ ও দেশের বাইরে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে তাঁরা কাজ করে যাচ্ছেন।