ফেসবুকের হাতেও উঠছে স্মার্টঘড়ি

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হলেও ফেসবুকের আরও নানা ধরনের পণ্য ও সেবা আছে। প্রতিষ্ঠানটি ভার্চ্যুয়াল রিয়েলিটি ডিভাইস তৈরি করে, ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে কাজ করছে, আবার ভিডিও কলের জন্য বিশেষায়িত ডিভাইসও তৈরি করে। এবার শোনা যাচ্ছে, স্মার্টঘড়ি তৈরি করছে ফেসবুক। দ্য ইনফরমেশনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্মার্টঘড়িটিতে শারীরিক অনুশীলন (ফিটনেস) ও বার্তা আদান–প্রদানসহ প্রচলিত সুবিধাগুলো পাওয়া যাবে।

আরেকটি ব্যাপার হলো, গুগল ২০১৯ সালের নভেম্বরে স্মার্টঘড়ি তৈরির প্রতিষ্ঠান ফিটবিট কেনার আগেই সেটি কেনার চেষ্টা করেছিল ফেসবুক। সেদিক থেকে নতুন খবরটি কিছুটা বিস্ময়কর তো বটেই। প্রতিবেদন অনুযায়ী, আগামী বছর বাজারে আসবে ফেসবুকের স্মার্টঘড়ি। আর ২০২৩ সালে দ্বিতীয় সংস্করণ আসার কথা শোনা যাচ্ছে।

প্রথম দফায় অ্যান্ড্রয়েডের একটি সংস্করণে চলবে ফেসবুকের স্মার্টঘড়ি। অর্থাৎ স্মার্টঘড়ির জন্য গুগলের তৈরি প্রচলিত ওয়্যারওএস অপারেটিং সিস্টেম তারা ব্যবহার করছে না। বরং ফেসবুক নিজস্ব অপারেটিং সিস্টেম তৈরির কাজ করছে বলে দ্য ইনফরমেশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

তা ছাড়া, যেহেতু ফেসবুকের স্মার্টঘড়ি, আশা করা যায়, সামাজিক যোগাযোগের বেশ কিছু সুবিধাও থাকবে তাতে। হয়তো অন্যান্য অনুশীলনকারীর সঙ্গে নিজের অনুশীলনের তথ্য ভাগাভাগি করা কিংবা প্রশিক্ষকের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগের ব্যবস্থা থাকবে।

এদিকে যে অগমেন্টেড রিয়েলিটি গ্লাস তৈরির পরিকল্পনা করছে ফেসবুক, সেটিও স্মার্টঘড়ির সাহায্যে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে বলে শোনা যাচ্ছে। তা ছাড়া, ২০১৯ সালে সিটিআরএল-ল্যাবস কিনে নেয় এই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্রতিষ্ঠান। ওই প্রতিষ্ঠান মস্তিষ্কের সংকেতের সাহায্যে সরাসরি যন্ত্র নিয়ন্ত্রণের প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে। কে জানে, হয়তো সে প্রযুক্তিও স্মার্টঘড়িতে যুক্ত করতে পারে ফেসবুক।

দ্য ইনফরমেশন যদিও যথেষ্ট বিশ্বাসযোগ্য তথ্য দিয়ে থাকে, তবু উড়ো খবর সব সময় সত্যি হয় না। হয়তো দেখা গেল, প্রকল্পটি কখনো আলোর মুখই দেখল না। আবার বাজারে ছাড়ার সম্ভাব্য তারিখ পেছাতেও পারে ফেসবুক।