বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ‘ফার্মভিল’ গেম

ফার্মভিল গেম
ছবি: রয়টার্স

ফেসবুক ব্যবহারকারীদের অনেকেই ফেসবুকে ‘চাষাবাদ’ নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। জনপ্রিয় গেম ‘ফার্মভিল’ খেলতে গিয়ে তাঁদের ফসল উৎপাদন থেকে শুরু করে পশুপালনসহ নানা কাজ করতে হয়। কিন্তু ফেসবুকের জনপ্রিয় এই গেম আর থাকছে না।

গেমটি ফেসবুকে আসার ১১ বছর পর আগামী ডিসেম্বরে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। একসময় গেমটি আট কোটির বেশি খেলোয়াড় নিয়মিত খেলতেন। গেমটি খেলতে গিয়ে বন্ধুদের কাছে গেমের প্রয়োজনীয় নানা দরকারি জিনিস চেয়ে অনুরোধ করতে পারতেন।

অ্যাডোব ফ্ল্যাশ প্লেয়ার বন্ধের ঘোষণা আসায় ফার্মভিলকে বিদায় জানাতে হচ্ছে।

আগামী ডিসেম্বর থেকে ফেসবুক তাদের প্ল্যাটফর্ম থেকে ফ্ল্যাশ প্রযুক্তির গেম বন্ধ করে দিচ্ছে। তাতেই ফার্মভিল বন্ধ করতে বাধ্য হচ্ছে গেমটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান জিংগা। গেম নির্মাতা জিংগার কর্মকর্তা ডিসেম্বরেই আগেই খেলোয়াড়দের গেমে জমানো অর্থ খরচ করে ফেলতে অনুরোধ করেছে।

আগামী ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত গেমটিতে কেনাকাটা করা যাবে। এরপর পেমেন্ট সিস্টেম বন্ধ হয়ে যাবে। গেমটির বিদায় উপলক্ষে এর নির্মাতারা গেমের ভেতর বেশ কিছু কার্যক্রম চালাচ্ছেন। ফার্মভিল বন্ধ হলেও জিংগার ফার্মভিল–২ ও ট্রপিক এস্কেপ গেমটি খেলতে পারবেন গেমাররা। শিগগিরই মুঠোফোনে ফার্মভিল–৩ গেমটি উন্মুক্ত করবে জিংগা।

গত ১১ বছরে দারুণ সময় কাটানোর জন্য ফার্মভিল ভক্তদের ধন্যবাদ জানিয়ে জিংগা বলেছে, অ্যাডোব ফ্ল্যাশ প্লেয়ার বন্ধের ঘোষণা আসায় তাদের ফার্মভিলকে বিদায় জানাতে হচ্ছে।

সফটওয়্যার নির্মাতা অ্যাডোব আগেই জানিয়েছে, তারা সব ওয়েব ব্রাউজারে ফ্ল্যাশ প্লেয়ার হালনাগাদ ও সরবরাহ বন্ধ করে দিচ্ছে। ফেসবুকেও আগামী ৩১ ডিসেম্বরের পর থেকে আর ফ্ল্যাশ গেম সমর্থন করবে না। এ সিদ্ধান্তের প্রভাব সরাসরি পড়ছে ফার্মভিলের ওপর।

জিংগার কর্মকর্তারা বলছেন, ‘আমরা জানি, আপনারা দীর্ঘ সময় ধরে আমাদের সঙ্গে আছেন এবং বৈশ্বিক কমিউনিটি তৈরি করেছেন। এর জন্য আপনাদের ধন্যবাদ।’

অ্যাম্পিয়ার অ্যানালাইসিসের গেম গবেষক পিয়ার্স হার্ডিং রোলস বলেন, ফার্মভিল গেমটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গেমের সূচনা করেছিল। তবে পরে স্মার্টফোন ও অ্যাপ স্টোরে বিভিন্ন গেম এর জায়গা নিয়ে নেয়। এতে পিসিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের গেমের বাজার ছোট হতে থাকে।

২০১৭ সালে অ্যাডোব তাদের ফ্ল্যাশ প্লেয়ার থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল। এ প্রযুক্তি একসময় ভিডিও ক্লিপস ও গেম খেলার জন্য ব্যাপক ব্যবহৃত হতো। তবে এর কোডে নানা নিরাপত্তা ত্রুটি থাকায় হ্যাকাররা এর সুযোগ নিতে পারত। এ প্রযুক্তির পরিবর্তে এইচটিএমএল পাঁচ প্রযুক্তি ব্যবহার করছে প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠানগুলো।

আরও পড়ুন