বাংলাদেশে এখনই অফিস খুলছে না ফেসবুক

ফেসবুকের এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের সুরক্ষানীতির প্রধান অ্যাম্বার হকস নিরাপত্তা বিষয়ে সাংবাদিকদের অবহিত করেন
ছবি: সংগৃহীত

ফেসবুক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বাংলাদেশে তারা এখনই অফিস খুলছে না। বরং বেসরকারি সংস্থা, সুশীল সমাজ ও অংশীদারত্বের মাধ্যমে বাংলাদেশে কাজ চালিয়ে যাবে বিশ্বের অন্যতম বড় এই টেক জায়ান্ট। আজ মঙ্গলবার বেঞ্চমার্ক পিআরের উদ্যোগে ভার্চ্যুয়ালি ফেসবুকের নিরাপত্তা বিষয়ে সাংবাদিকদের বিস্তারিত তুলে ধরেন ফেসবুক এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের সুরক্ষানীতির প্রধান অ্যাম্বার হকস।    
বাংলাদেশে ফেসবুকের অফিস খোলার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে অ্যাম্বার হকস বলেন, বাংলাদেশে এই মুহূর্তে অফিস খোলার কোনো পরিকল্পনা নেই। বিশ্বের অনেক দেশে ফেসবুকের অফিস নেই। কিন্তু সেসব দেশ থেকে লোকজন ফেসবুক টিমে কাজ করে।
বাংলাদেশেও ফেসবুকের একজন পাবলিক পলিসি ম্যানেজার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের সুরক্ষানীতির প্রধান বলেন, বাংলাদেশে ফেসবুক অংশীদারত্বের ভিত্তিতে কাজ করছে। বেসরকারি সংস্থা, নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করে এমন সংস্থা এবং সুশীল সমাজের সঙ্গে ফেসবুক কাজ করবে।  
স্থানীয় সংস্থাগুলোর সঙ্গে অংশীদারত্ব নিয়ে কাজ করা প্রসঙ্গে ফেসবুক জানায়, এ বছরের শুরুতে ফেসবুক তাদের ইনফরমেশন হাবের মাধ্যমে করোনাকালে কীভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিরাপদে থাকা যাবে, সে সম্পর্কে ব্যবহারকারীদের সচেতন করতে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে অংশীদারত্বের ভিত্তিতে কাজ করেছে।
ফেসবুকের নিরাপত্তা বিষয়ে বলা হয়, বিশ্বের ২০০ কোটি ফেসবুক ব্যবহারকারী যেন তাঁদের প্রিয়জনদের সঙ্গে নিরাপদে সংযুক্ত থাকতে পারেন এবং তাঁদের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তগুলো স্বাচ্ছন্দ্যে শেয়ার করতে পারেন, সে জন্য ফেসবুক নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছে।
ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কাজ করা সদস্যের পরিমাণ তিন গুণ বৃদ্ধি করেছে ফেসবুক। নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিয়ে কাজ করা ৩৫ হাজার সদস্যের মধ্যে প্রায় ১৫ হাজার লোক কন্টেন্ট পর্যালোচনা, যাচাই-বাছাইয়ের কাজে নিয়োজিত আছেন বলে জানানো হয়। এই দলে বাংলায় লেখা কন্টেন্ট পর্যালোচনা করেন, এমন সদস্যও আছেন।
নারী, শিশুসহ সবার জন্য অনলাইনে নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিতে নিজেদের অবস্থানের কথা জানিয়ে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বলেছে, সহিংসতা সমর্থন করে কিংবা সহিংস কার্যকলাপে উৎসাহিত করে, এমন পোস্ট তারা সরিয়ে ফেলে। ফেসবুকে ১৮ বছরের কম বয়সী অনেক ব্যবহারকারী থাকায় ব্যবহারকারীদের অশালীন পোস্ট অনুমোদন করা থেকে বিরত থাকে ফেসবুক। এ ছাড়া একান্ত মুহূর্তের ছবি অনুমতি ছাড়া শেয়ার করা নিষিদ্ধ। শিশুদের ওপর যৌন নির্যাতনমূলক ছবি বা ভিডিও শেয়ার করতে দেয় না ফেসবুক।
ফেসবুকে কী শেয়ার করা যাবে আর কী করা যাবে না, তা ফেসবুক কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড নীতিমালায় উল্লেখ আছে। যেমন আত্মহত্যা, নিজেকে আঘাত করার প্রবণতা, কাউকে উত্ত্যক্ত করা, অন্যের গোপনীয়তা লঙ্ঘন করা বা কাউকে যৌন হয়রানি করা ইত্যাদি ঘটনাগুলো যেন না ঘটে, সে ব্যাপারে স্পষ্টভাবে বলা আছে এই নীতিমালায়। এগুলো সারা বিশ্বের ফেসবুক ব্যবহারকারীদের জন্য প্রযোজ্য।