বাংলাদেশে মেধাস্বত্ব একাডেমি স্থাপনে সহযোগিতা করবে ওয়াইপো

ওয়ার্ল্ড ইন্টেলেকচ্যুয়াল প্রোপার্টি অর্গানাইজেশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। ছবি: সংগৃহীত।
ওয়ার্ল্ড ইন্টেলেকচ্যুয়াল প্রোপার্টি অর্গানাইজেশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। ছবি: সংগৃহীত।

বাংলাদেশে মেধাস্বত্ব একাডেমি স্থাপনে সহযোগিতা করবে বিশ্ব মেধাস্বত্ব সংস্থা বা ওয়ার্ল্ড ইন্টেলেকচ্যুয়াল প্রোপার্টি অর্গানাইজেশন (ওয়াইপো)। সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় বিশ্ব মেধাস্বত্ব সংস্থার সদর দপ্তরে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের সঙ্গে ওয়াইপোর মহাপরিচালক ফ্রান্সিস গুরির সঙ্গে সম্প্রতি এক বৈঠক হয়। সরকারের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বৈঠকে মোস্তাফা জব্বার বলেন, বর্তমান যুগের তথ্যপ্রযুক্তির গতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মেধাস্বত্ব (আইপি) পলিসি নতুন করে করতে হবে। নীতিমালাগুলো ঢেলে সাজাতে হবে এবং এই বিষয়ে ওয়াইপো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। তিনি ওয়াইপোর এক্সেস টু বুকস কনসোর্টিয়ামের সহায়তা অব্যাহত রাখার কথা উল্লেখ করেন।

বৈঠকে ফ্রান্সিস গুরি বলেন, নতুন প্রযুক্তির বিশ্বে মেধাসম্পদ রক্ষা একটি নতুন চ্যালেঞ্জ। বিশেষ করে ফেসবুক, গুগলের এ সময়ে যখন সবাই একে অপরের সঙ্গে ইন্টারনেট দুনিয়ায় যুক্ত, তখন মেধাসম্পদের সুরক্ষা কীভাবে হবে, তা নতুন করে ভাবতে হবে।

নতুন যে প্রযুক্তি রয়েছে, সেগুলোর ক্ষেত্রে পলিসি কেমন হবে, তা নিয়ে আলোচনা করেন গুরি। তিনি ইন্ডাস্ট্রি ৪.০, বিগডেটা, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের মতো প্রযুক্তির সমান্তরালে ইন্টেলেকচ্যুয়াল প্রোপার্টির রাইটস নিয়ে পলিসির বিষয়ে কথা বলেন।

ওয়াইপো মহাপরিচালককে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে মোস্তাফা জব্বার বাংলাদেশের কপিরাইট আইন, পেটেন্ট ও ডিজাইন আইন, ভৌগোলিক নিদর্শন পণ্য নিবন্ধন ও সুরক্ষা আইনের বিষয়ে উল্লেখ করেন।

বৈঠকে টেলিযোগাযোগ বিভাগের উপসচিব মুহম্মদ খুরশেদ আলম খান, জেনেভার বাংলাদেশ মিশনের প্রথম সচিব মাহবুবুর রহমান, আমাদের গ্রাম উন্নয়নের জন্য তথ্যপ্রযুক্তি প্রকল্পের পরিচালক রেজা সেলিম ও ওয়াইপোর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।