বিতর্কিত চলচ্চিত্র নিয়ে বিপাকে নেটফ্লিক্স

‘কিউটিস’ চলচ্চিত্র নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের এক আদালতে নেটফ্লিক্সের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে
ছবি: রয়টার্স

বিতর্কিত চলচ্চিত্র ‘কিউটিস’ নিয়ে মাস দেড়েক আগেই সমালোচনার মুখে পড়েছিল অনলাইনে ভিডিও স্ট্রিমিং সেবা নেটফ্লিক্স। এবার পড়ল মামলার মুখে।

যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের টাইলার কাউন্টির এক জুরি নেটফ্লিক্সের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেন। অভিযোগপত্রে বলা হয়, প্রতিষ্ঠানটি জেনেবুঝে অপ্রাপ্তবয়স্ক অভিনেত্রীকে অশালীনভাবে উপস্থাপন করেছে। যার কোনো সাহিত্যিক, শৈল্পিক, রাজনৈতিক কিংবা বৈজ্ঞানিক দিক নেই।

এ ঘটনায় নেটফ্লিক্সের বিরুদ্ধে সমন জারি করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির দুই সহপ্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রিড হ্যাসটিংস ও টেড সারানদোসের নাম অভিযোগে আছে।

এদিকে ‘কিউটিস’-এ শিশুদের যৌন নিগ্রহের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান আছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে নেটফ্লিক্স। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, ‘এই মামলার কোনো যৌক্তিকতা নেই এবং আমরা চলচ্চিত্রটির পক্ষে অবস্থান নিচ্ছি।’

‘কিউটিস’-এর পরিচালক মাইমুনা দ্যুকুরে
ছবি: এএফপি

১১ বছর বয়সী এক মুসলিম বালিকার গল্প নিয়ে সাজানো হয়েছে ফরাসি চলচ্চিত্র ‘কিউটিস’। একপর্যায়ে গিয়ে সে তার রক্ষণশীল পরিবারের রীতিনীতির বিপক্ষে বিদ্রোহী হয়ে ওঠে।

গত ৯ সেপ্টেম্বর থেকে নেটফ্লিক্সে ‘কিউটিস’ স্ট্রিমিং শুরু হয়। তবে তারও আগে চলচ্চিত্রটির প্রচারণামূলক পোস্টার প্রকাশের সময় থেকেই সমালোচনার শুরু। সে সময় অভিযোগ ছিল, পোস্টারে তরুণীর অশালীন ছবি ব্যবহার করা হয়েছে। নেটফ্লিক্স ক্ষমা চেয়ে বলেছিল, পোস্টারটিতে চলচ্চিত্রের প্রতিফলন নেই। তবু ‘কিউটিস’ প্রচার বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছিল তুরস্ক।

সানডান্স চলচ্চিত্র উৎসবে একটি পুরস্কার জিতে নিয়েছে ‘কিউটিস’। চলচ্চিত্রটির পরিচালক মাইমুনা দ্যুকুরে গত মাসে বলেছিলেন, ‘যাঁরা চলচ্চিত্রটি দেখেননি, তাঁরাই আমার চরিত্র নিয়ে কটু কথা বলছে।’ এমনকি জীবননাশের হুমকি পেয়েছেন বলেও জানিয়েছেন।