ভিডিও গেমের সময় বেঁধে দিয়েছে চীন, ফাঁকি দিয়ে খেলছে শিশু–কিশোররা

চীনের নিয়ম অনুযায়ী অপ্রাপ্তবয়স্করা সপ্তাহে বড়জোর তিন ঘণ্টা ভিডিও গেম খেলতে পারবে
পিক্সাবে

চীনে অপ্রাপ্তবয়স্করা সপ্তাহে বড়জোর তিন ঘণ্টা ভিডিও গেম খেলতে পারবে। এই সময় বেঁধে দিয়েছে দেশটির সরকার। এদিকে চীনের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদমাধ্যম বলছে, নিয়মের ফাঁকফোকর বের করে শিশু–কিশোররা ঠিকই ভিডিও গেম খেলছে। আসক্তি ঠেকাতে চাইলে সেই ফাঁকফোকর আগে বন্ধ করতে হবে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, গত আগস্টে নতুন নিয়ম জারি করে চীন। ১৮ বছরের কমবয়সীরা ভিডিও গেমে সপ্তাহে বড়জোর তিন ঘণ্টা ব্যয় করতে পারবে, এর বেশি নয়। সে সময় বলা হয়েছিল, ভিডিও গেমের আসক্তি ঠেকাতে এই বিধিনিষেধ প্রয়োজন। তরুণ চীনা গেমাররা অবশ্য তাতে বেশ রুষ্ট হয়েছিলেন, অনেকে তা প্রকাশও করেছেন।

চীনের কমিউনিস্ট পার্টির সংবাদমাধ্যম পিপলস ডেইলির উপসম্পাদকীয়তে আজ সোমবার লেখা নিবন্ধে বলা হয়, ‘কিছু অনলাইন ট্রেডিং প্ল্যাটফর্মে গেম খেলার অ্যাকাউন্ট বিক্রি ও ভাড়া দেওয়ার ব্যবসা চালু আছে। অ্যাকাউন্টগুলো কিনে বা ভাড়া নিয়ে ব্যবহারকারীরা এই তদারকি এড়াতে পারে, গেম খেলতে পারে বাধা ছাড়াই। এর অর্থ, টিনএজারদের জন্য অনলাইন গেমের জগতে প্রবেশ করায় এখনো ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ আছে, যা নজরে আনার যোগ্য।’

সেই নিবন্ধে আরও বলা হয়েছে, অপ্রাপ্তবয়স্কদের গেমিং অ্যাকাউন্ট কেনা, বেচা ও ভাড়া নেওয়া থামাতে শক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে কিছু গেম ট্রেডিং প্ল্যাটফর্ম। গেমিং প্রতিষ্ঠানগুলোকে অবশ্যই ‘সক্রিয়ভাবে সামাজিক দায়িত্ব পালন করতে হবে’, ‘পরবর্তী প্রজন্মের স্বাস্থ্যকর বেড়ে ওঠায় দায়িত্বশীল হতে হবে’এবং ‘এই খাতের স্বাস্থ্যকর উন্নয়নকে প্রাধান্য দিতে হবে’।

‘অপ্রাপ্তবয়স্কদের স্বাস্থ্যসম্মতভাবে বেড়ে ওঠার জন্য’ অনুকূল পরিবেশ তৈরিতে পরিবার এবং বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকেও অনুরোধ করা হয়েছে। বিশেষ করে অনুরোধ করেছেন অভিভাবকেরা। কারণ, কিছু অপ্রাপ্তবয়স্ক অভিভাবকদের পরিচয় ব্যবহার করে অনলাইনে গেম অ্যাকাউন্টের জন্য নিবন্ধন করছে। এতে গেমের জন্য বেঁধে দেওয়া সময়সীমা অকার্যকর হয়ে পড়ছে।

ভিডিও গেমের সবচেয়ে বড় বাজার চীন। দেশটির সরকারি কর্তৃপক্ষ তরুণদের মধ্যে গেম ও ইন্টারনেটের আসক্তি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই চিন্তিত ছিল। এমনকি ‘গেমিং ডিজঅর্ডারে’ আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য চিকিৎসাকেন্দ্রও স্থাপন করে যেখানে থেরাপির পাশাপাশি সামরিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।