ভুয়া খবর ঠেকাতে টুইটারের নতুন উদ্যোগ

অনলাইনে সহিংসতা, ঘৃণ্য বক্তব্য ও ভুয়া তথ্যের বিরুদ্ধে লড়তে ব্যবস্থা নিচ্ছে টুইটার। এ লক্ষ্যে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে কীভাবে তথ্য ছড়িয়ে পড়ে, এর অন্য উপায় বের করতে কাজ শুরু করেছে টুইটার। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী জ্যাক ডরসি এ কাজে গবেষণায় অর্থায়ন করছেন।

বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে জানানো হয়, গত মঙ্গলবার ব্লুস্কাই নামের পাঁচ সদস্যের স্বাধীন আর্কিটেক্ট, প্রকৌশলী ও নকশাকারদের একটি দলকে তিনি গবেষণার দায়িত্ব দেন। ওই গবেষক দল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের উন্মুক্ত ও বিকেন্দ্রীকরণ একটি মান তৈরি করবে।

টুইটারের প্রধান নির্বাহী কয়েক দফা টুইটে বলেছেন, টুইটারের লক্ষ্য হচ্ছে নতুন মান পরীক্ষা করে দেখা। ফেসবুক ও টুইটারের মতো প্ল্যাটফর্মগুলো চাইলে তা অনুসরণ করতে পারবে।

ডরসি বলেন, ‘আমরা সম্পূর্ণ নতুন ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে। এর মধ্যে ভুয়া তথ্য সরিয়ে ফেলা বা সহিংস কনটেন্ট শনাক্ত করার মতো নানা বিষয় রয়েছে। এখনকার অ্যালগরিদমগুলো ব্যবহারকারীকে সরাসরি কনটেন্টের দিকে নিয়ে যায় বলে অনেক বিতর্ক ও সমালোচনার জন্ম হয়।’

টুইটারের প্রধান নির্বাহীর মতে, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমের মূল্য এখন কনটেন্ট ধারণ, সরিয়ে ফেলার ও নির্দেশিত অ্যালগরিদমের বাইরে চলে গেছে। এখন কেউ চাইলেও এর বিকল্প তৈরি বা বেছে নিতে পারে না।

একটি উন্মুক্ত স্ট্যান্ডার্ড তৈরি করা গেলে মানসম্মত যোগাযোগব্যবস্থাকে এগিয়ে নেওয়া যাবে। টুইটারের অর্থায়নে পরিচালিত গবেষক দল নতুন স্ট্যান্ডার্ড ঘিরে একটি উন্মুক্ত কমিউনিটি গঠনের চেষ্টা করবে। এতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, গবেষক, সংস্থা ও কমিউনিটি নেতৃবৃন্দকে যুক্ত করার চেষ্টা করবেন। এটা অবশ্য রাতারাতি হবে না। উপযুক্ত স্ট্যান্ডার্ড তৈরিতে যথেষ্ট সময় প্রয়োজন হবে।