ভুয়া তথ্য ছড়ানোর নেটওয়ার্ক বন্ধ করল ফেসবুক-টুইটার

ভুয়া অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে ফেসবুক–টুইটার
ছবি : রয়টার্স

ফেসবুক ও টুইটার প্ল্যাটফর্মে বেশ কিছু অ্যাকাউন্ট থেকে সংঘবদ্ধভাবে ভুয়া তথ্য ছড়ানোর কাজ করা হচ্ছিল। ফেসবুক ও টুইটার কর্তৃপক্ষ গতকাল বৃহস্পতিবার ভুয়া তথ্য ছড়ানোর বেশ কিছু নেটওয়ার্ক বন্ধ করে দেওয়ার কথা জানিয়েছে।

তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়, রাজনৈতিক ও রাষ্ট্রীয় মদদপুষ্ট এক ডজনের বেশি ভুয়া তথ্য ছড়ানোর নেটওয়ার্কের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এসব নেটওয়ার্ক বিভিন্ন দেশে সক্রিয় থেকে তাদের প্ল্যাটফর্মে ব্যবহারকারীর সঙ্গে প্রতারণা চালিয়ে যাচ্ছিল। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

পৃথক বিবৃতিতে দুটি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বলা হয়, তারা ভুয়া অ্যাকাউন্ট শনাক্তের পাশাপাশি ৩ হাজার ৫০০ অ্যাকাউন্ট বাতিল করেছে। এসব অ্যাকাউন্ট ভুয়া পরিচয় ব্যবহার করে তৈরি।  অ্যাকাউন্টগুলোর কার্যক্রম সন্দেহজনক ছিল।

নেটওয়ার্কগুলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের নির্বাচন লক্ষ্য করে ছড়ানো ছিল। এর আগে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছিলেন, ভুয়া অ্যাকাউন্ট থেকে নভেম্বরের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফলকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করা হতে পারে।

২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখ পড়তে হয় ফেসবুককে। ফেসবুক ও টুইটারের পক্ষ থেকে এবারের মার্কিন নির্বাচন ঘিরে ভুয়া অ্যাকাউন্টের ব্যাপারে সতর্ক অবস্থান নেওয়ার ঘোষণা এসেছে।

সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইন প্রয়োগকারীদের সঙ্গে ভুয়া অ্যাকাউন্ট শনাক্তের কাজ করছে। মার্কিন নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে এসব অ্যাকাউন্টের পেছনে ইরান ও রাশিয়ার মদদ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তবে তেহরান ও মস্কো এ ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

ফেসবুক ও টুইটারের পক্ষ থেকে বলা হয়, ১৬টি দেশের ভুয়া অ্যাকাউন্টের নেটওয়ার্ক বন্ধ করা হয়েছে। এর মধ্যে আজারবাইজান, নাইজেরিয়া ও জাপানের মতো দেশও আছে। টুইটারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সরকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ৫টি দেশের ভুয়া অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে তারা। দেশগুলো হচ্ছে ইরান, সৌদি আরব, কিউবা, থাইল্যান্ড ও রাশিয়া।