মার্কিন নির্বাচনের ফলসংক্রান্ত বিজ্ঞাপন বন্ধ করবে গুগল

গুগল মার্কিন নির্বাচনে বিজ্ঞাপন দেখানোর ক্ষেত্রে কঠোর হচ্ছে
ছবি: রয়টার্স

গুগল তাদের প্ল্যাটফর্মে ৩ নভেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন শেষ হওয়ার পরপরই নির্বাচনসংক্রান্ত বিজ্ঞাপন দেখানো বন্ধ করে দেবে। গতকাল শুক্রবার বিজ্ঞাপনদাতাদের কাছে পাঠানো ই–মেইলে গুগল এ কথা বলেছে। এ–সংক্রান্ত তথ্য প্রথম প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েবসাইট এক্সিওস। ওই মেইল দেখেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্সও।

মেইলে বলা হয়েছে, বিজ্ঞাপনদাতারা কোনো প্রার্থীর উদ্ধৃতির উল্লেখ করে বিজ্ঞাপন দিতে পারবেন না। এ ছাড়া নির্বাচন ও ফলাফলসংক্রান্ত তথ্য দিয়ে বিজ্ঞাপন প্রচার করতে পারবেন না।

রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলো চাপের মুখোমুখি হচ্ছে।

রয়টার্স জানিয়েছে, বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছেন, নির্বাচনের ফলাফল পেতে দেরি হতে পারে। কারণ করোনাভাইরাস মহামারির কারণে মেইলের মাধ্যমে ভোট বাড়তে পারে।

ই–মেইলটিতে বলা হয়েছে যে সংস্থাটি নির্বাচনসংশ্লিষ্ট যেসব বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ করবে, তার মধ্যে পড়বে রাষ্ট্রীয় বা ফেডারেল অফিসের পদধারী, প্রার্থী বা রাজনৈতিক দলের উল্লেখ থাকা বিজ্ঞাপন। পাশাপাশি নির্বাচন সম্পর্কিত সার্চ ফলাফল নিয়ে চালানো বিজ্ঞাপনও এর আওতায় পড়বে।

রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলো চাপের মুখোমুখি হচ্ছে। ফেসবুকের পক্ষ থেকে সম্প্রতি বলা হয়, নির্বাচনের আগের সপ্তাহ থেকে তারা নতুন রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন নেওয়া বন্ধ করবে এবং যেসব বিজ্ঞাপন নির্বাচনের ফলাফলের আগেই ভোটে জয়লাভের দাবি করা হবে, তা বাতিল করা হবে।

গুগলের একজন মুখপাত্র বলেছেন, বিজ্ঞাপন কমপক্ষে এক সপ্তাহ নিষিদ্ধ হতে পারে। তবে কবে নিষেধাজ্ঞা উঠবে, তা এখনো ঠিক হয়নি। এ ক্ষেত্রে ভোট গণনার সময় ও নাগরিক অস্থিরতার মতো বিষয়গুলো বিবেচনা করা হবে।

গুগল তাদের স্পর্শকাতর ঘটনা নীতিমালার আওতায় বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ করছে। এর আগে একই নীতিমালায় কোভিড-১৯–সংক্রান্ত কিছু বিজ্ঞাপন বন্ধ করে প্রতিষ্ঠানটি।

গুগলের সেবা হিসেবে ইউটিউব ও গুগল অ্যাডসের ক্ষেত্রে এ নীতিমালা প্রযোজ্য হবে।
গত বছরে টুইটার তাদের প্ল্যাটফর্মে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ করে। গুগলও তখন নির্দিষ্ট গ্রুপকে লক্ষ্য করে বিজ্ঞাপন দেওয়ার সুবিধা সীমিত করে।

আরও পড়ুন