রিয়েলমি ৭ আই: মিড লেভেল ৬৪ মেগাপিক্সেল ট্রেন্ডসেটার

সর্বাধুনিক ফিচার ও নান্দনিক ডিজাইনে আকর্ষণীয় মূল্যে একের পর এক ফোন এনে বাংলাদেশের স্মার্টফোন জগতে এখন রিয়েলমির জয়জয়কার। সেই ধারাবাহিকতায় মিড লেভেলের রিয়েলমি ৭ আই বাজারে নিয়ে এসেছে টেক-ট্রেন্ডসেটার ব্র্যান্ডটি। মাত্র ১৮ হাজার ৯৯০ টাকায় ৯০ হার্টজের আল্ট্রা-স্মুথ ডিসপ্লে, শক্তিশালী স্ন্যাপড্রাগন চিপসেটের সঙ্গে ফোনটিতে আছে এই প্রাইস রেঞ্জে প্রথমবারের মতো ৬৪ মেগাপিক্সেলের কোয়াড ক্যামেরা। মিড লেভেলে ফ্ল্যাগশিপ সুবিধা নিয়ে আসা ফোনটিতে আর কী কী থাকছে, চলুন জেনে নেওয়া যাক:

নাইট মোডের অনন্য ইফেক্টে অসাধারণ ছবি

অসাধারণ সব ছবি তোলার জন্য রিয়েলমি ৭ আই-তে আছে ৬৪ মেগাপিক্সেলের আল্ট্রা-ক্লিয়ার কোয়াড ক্যামেরা সেটআপ। ৬৪ মেগাপিক্সেলের মূল ক্যামেরা, ৮ মেগাপিক্সেলের ১১৯ ডিগ্রির আল্ট্রা-ওয়াইড অ্যাঙ্গেল ক্যামেরা, ২ মেগাপিক্সেলের একটি ম্যাক্রো লেন্স ও ২ মেগাপিক্সেলের একটি সাদাকালো পোর্ট্রেট লেন্সের সমন্বয়ে এই সেটআপে প্রতিটি মুহূর্তের চমৎকার ছবি তোলা যাবে। মূল ক্যামেরায় এফ/১.৮–এর বড় অ্যাপারচার থাকায় অল্প আলোতেও পরিষ্কার, উজ্জ্বল ছবি তোলা যাবে।

ওয়াইড-অ্যাঙ্গেল লেন্সে প্রাকৃতিক দৃশ্য, স্থাপত্য এবং গ্রুপ ছবি তোলা হবে আরও সহজ। আল্ট্রা-ম্যাক্রো লেন্সের সঙ্গে মাত্র ৪ সেন্টিমিটার দূর থেকে ছবি তুলতে পারায় সহজেই হারিয়ে যেতে পারবেন ম্যাক্রো জগতে। উন্নততর নতুন কালার ফিল্টারে প্রতিটি পোর্ট্রেটে পাওয়া যাবে চমৎকার ডিটেইলস আর অসাধারণ টেক্সচার।

নাইটস্কেপ মোডে আছে ৩টি চটকদার ফিল্টার: সাইবারপাঙ্ক, ফ্লেমিঙ্গো ও মডার্ন গোল্ড। ভিন্নধর্মী এ ইফেক্টগুলোতে রাতের ছবিতে দেবে নতুন এক নান্দনিকতা। পাশাপাশি দিনের আলোতে এ ইফেক্টগুলো ব্যবহারে মিলবে নতুনত্ব।

এর সেলফি ক্যামেরা হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে ১৬ মেগাপিক্সেলের সনি ইন-ডিসপ্লে আইএমএক্স৪৭১ সেন্সর। এর এফ/২.১ বড় অ্যাপারচার, এআই বিউটিফিকেশন, বোকেহ ইফেক্টে যেকোনো সময়েই চমৎকার সেলফি তোলা যাবে। আছে এইচডিআর ও ইআইএস স্ট্যাবিলাইজেশনও। ক্যামেরায় থাকা সিনেমা মোডে প্রো-লেভেলে ভিডিও করার সুবিধা থাকায় সিনেমাটিক ভ্লগিংকে আরও অনুপ্রাণিত করবে।

এ ছাড়া ক্যামেরায় আরও আছে এইচডিআর, ফ্রন্ট প্যানারোমা, ইউআইএস স্ট্যাবিলাইজেশন, সুপার নাইটস্কেপ মোড ও ১০৮০ পিক্সেলে ভিডিও করার সুবিধা।

৯০ হার্টজ আলট্রা–স্মুথ ডিসপ্লে

রিয়েলমি ৭ আই-এর ৯০ হার্টজ রিফ্রেশ রেটের কারণে গেমিং বা সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার কিংবা ভিডিও, মুভি দেখায় আরও আনন্দ মিলবে। ৭ আই-তে উচ্চ রিফ্রেশ রেট প্রচলিত ৬০ হার্টজের ডিসপ্লের তুলনায় ৫০ শতাংশ বেশি, তাই প্রতিটি সোয়াইপ হবে আরও স্মুথ। ডিসপ্লের উজ্জ্বলতা ৬০০ নিট পর্যন্ত হওয়ায় বাইরের প্রচণ্ড আলোতেও সহজেই ফোন ব্যবহার করা যাবে।

রিয়েলমি ৭ আই-এর ৬.৫ ইঞ্চি ডিসপ্লের স্ক্রিন-টু-বডি রেশিও অনুপাত ৯০ শতাংশ। কালার টেম্পারেচার ফাংশন থাকায় ব্যবহারকারীরা নিজেদের পছন্দমতো স্ক্রিনের কালার টেম্পারেচার বাড়িয়ে নিতে পারবেন। এর ফলে স্ক্রিনের ব্লু লাইটের পরিমাণ কমে এসে চোখের ওপর চাপ কমাবে।

সারা দিনের সাপোর্ট দিতে ৫০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ারের ব্যাটারি

নন-স্টপ স্মার্টফোন ব্যবহারের জন্য রিয়েলমি ৭ আই-তে আছে ৫০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ারের বিশাল ব্যাটারি। আর এই ব্যাটারিকে ফাস্ট চার্জ দেওয়ার জন্য থাকছে ১৮ ওয়াটের কুইক চার্জ, যা দিয়ে মাত্র ৩০ মিনিটে এর বিশাল ব্যাটারির ৩৩ শতাংশ চার্জ করা যায়। অল্প ব্যবহৃত অ্যাপ্লিকেশনগুলো ব্যাকগ্রাউন্ডে থেকে যেন পাওয়ার কনজাম্পশন না করে, সে জন্য আছে অ্যাপ কুইক ফ্রিজ। এ ছাড়াও স্ক্রিন ব্যাটারি অপটিমাইজেশন স্বয়ংক্রিভাবে ডিসপ্লে ইফেক্ট কমিয়ে ব্যাটারির ওপর চাপ কমাবে। সুপার পাওয়ার সেভিং মোডে মাত্র ৫ শতাংশ ব্যাটারি ব্যবহারে প্রায় ১.১ ঘণ্টা হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করা যাবে।

যেকোনো কাজের জন্য শক্তিশালী চিপসেট

রিয়েলমি ৭ আই-তে আছে শক্তিশালী ও আরও কার্যকর ১১ ন্যানোমিটারের স্ন্যাপড্রাগন ৬৬২ প্রসেসর, ক্রায়ো ২৬০ সিপিইউ ও অ্যাড্রেনো ৬১০ জিপিইউ। এর সঙ্গে ৮ গিগাবাইট এলপিডিডিআর৪এক্স র‍্যাম স্মার্টফোনে দেবে ২.০ গিগাহার্টজ পর্যন্ত গতি। ১২৮ গিগাবাইটের ইউএফএস ২.১ ইন্টারনাল স্টোরেজের সঙ্গে আছে এসডি কার্ডের ব্যবহারে ২৫৬ গিগাবাইট পর্যন্ত স্টোরেজ বাড়ানোর সুবিধা। আর নিরবচ্ছিন্ন ব্যবহারে আনন্দ জোগাবে রিয়েলমি ইউআই। এ ছাড়া ফাস্ট ফিঙ্গারপ্রিন্ট আনলক তো আছেই। পাশাপাশি অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে পানি ঢোকার হাত বাঁচাতে প্রতিটি পোর্টেই আছে সিলিকনের ওয়াটারপ্রুফিং।

মিরর ডিজাইনের রিয়েলমি ৭ আই ফোনটি অরোরা গ্রিন ও পোলার ব্লু—এ দুটি ব্যতিক্রমী রঙে পাওয়া যাচ্ছে। দেশের সব স্মার্টফোন স্টোরসহ অনলাইনে এর দাম পড়বে মাত্র ১৮ হাজার ৯৯০ টাকা।