শিশুদের জন্য আলাদা ইনস্টাগ্রাম বানাচ্ছে ফেসবুক

অভিভাবকের নিয়ন্ত্রণে থেকে শিশুদের নিরাপদে ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারের সম্ভাব্য উপায় খুঁজে দেখছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটি।

বয়স ১৩ বছরের কম হলে বর্তমানে ফেসবুক কিংবা ইনস্টাগ্রামে অ্যাকাউন্ট খোলার নিয়ম নেই
আনস্প্ল্যাশ

১৩ বছরের কম বয়সী ব্যবহারকারীদের জন্য ইনস্টাগ্রামের আলাদা একটি সংস্করণ তৈরি করছে ফেসবুক।

কর্মীদের জন্য অভ্যন্তরীণ পোস্টে ছবি শেয়ার করার অ্যাপটির নতুন সংস্করণ তৈরির ব্যাপারে জানায় ফেসবুক। এতে ১৩ বছরের কম বয়সী শিশুরাও ‘নিরাপদে ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারের’ সুযোগ পাবে বলে জানানো হয়। বয়স ১৩-এর কম হলে বর্তমানে ফেসবুক কিংবা ইনস্টাগ্রামে অ্যাকাউন্ট খোলার নিয়ম নেই।

ফেসবুকের এক মুখপাত্র ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানকে বলেন, অভিভাবকের নিয়ন্ত্রণে থেকে শিশুদের ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারের সুযোগ করে দেওয়ার সম্ভাব্য উপায় খুঁজে দেখছে ফেসবুক। অনেকটা মেসেঞ্জার কিডসের মতো, যেটি ৬ থেকে ১২ বছর বয়সী শিশুরা ব্যবহার করতে পারে।

ফেসবুক মুখপাত্র বলেন, ‘বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে ইনস্টাগ্রামে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে শিশুরা এখন আগের চেয়ে অভিভাবকদের বেশি করে বলছে। অভিভাবকদের কাছেও এখন খুব বেশি অপশন নেই। সে জন্য আমরা আলাদা একটি পণ্য তৈরি করছি, যেটি শিশুদের উপযোগী, তবে সব ঠিক করে দেবেন অভিভাবক।’

বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে ইনস্টাগ্রামে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে শিশুরা এখন আগের চেয়ে অভিভাবকদের বেশি করে বলছে। অভিভাবকদের কাছেও এখন খুব বেশি অপশন নেই। সে জন্য আমরা আলাদা একটি পণ্য তৈরি করছি, যেটি শিশুদের উপযোগী, তবে সব ঠিক করে দেবেন অভিভাবক।
ফেসবুক মুখপাত্র

ইনস্টাগ্রামের প্রস্তাবিত নতুন সংস্করণটির উল্লেখ না করে চলতি সপ্তাহের শুরুতে এক ব্লগ পোস্টে ফেসবুক জানায়, ইনস্টাগ্রামে অ্যাকাউন্ট খোলার সময় যদিও বয়সের উল্লেখ করতে হয়, তবে কেউ মিথ্যা লিখলে তাদের ঠেকানোর কোনো উপায় নেই। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে সে সমস্যার সমাধান করার কথা বলেছিল ফেসবুক।

সে সঙ্গে নিরাপত্তার নতুন টুল চালুর ব্যাপারেও ফেসবুক জানিয়েছিল। সেখানে বলা হয়, অনুসারী নয় এমন ১৮-এর কম বয়সীদের বার্তা না পাঠাতে পারার সুবিধা চালু করা হবে। সার্চ অপশনের মাধ্যমে টিন এজারদের খুঁজে পাওয়া কঠিন করাসহ বেশ কিছু নতুন সুবিধার উল্লেখও ছিল।

আর নিবন্ধনের সময় কিশোর বয়সীদেরও নিজেদের প্রোফাইল ‘প্রাইভেট’ রাখতে উৎসাহী করা হবে।

অস্ট্রেলীয় কিশোরদের ইন্টারনেট ব্যবহার নিয়ে গত মাসে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে অস্ট্রেলিয়ান ই-সেফটি কমিশনার। সেখানে বলা হয়, অস্ট্রেলীয় কিশোরদের ৫৭ শতাংশ ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার করে। তাদের ৩০ শতাংশের সঙ্গে অপরিচিত মানুষ যোগাযোগের চেষ্টা করেছে। আর ২০ শতাংশের কাছে অনুপযোগী কনটেন্ট এসেছে।