সহিংস গেম নিষিদ্ধ ও সেন্সরশিপের পরামর্শ

পাবজি ও ফ্রি ফায়ার গেমসহ সহিংস অন্যান্য গেম নিষিদ্ধের আহ্বান জানিয়েছে আইসাকা ও সিসিএ ফাউন্ডেশন
ছবি: সংগৃহীত

দেশে প্রচলিত সহিংস গেম নিষিদ্ধ ও এ বিষয়ে সেন্সরশিপ ব্যবস্থাসহ সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনার পরামর্শ দিয়েছে দুটি সংগঠন। তথ্যপ্রযুক্তিবিদদের আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ইনফরমেশন সিস্টেম অডিট অ্যান্ড কন্ট্রোল অ্যাসোসিয়েশন (আইসাকা) ও বাংলাদেশের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশন (সিসিএ ফাউন্ডেশন)—এ পরামর্শ দিয়েছে।

আইসাকা ঢাকা চ্যাপ্টারের সভাপতি মো. ইকবাল হোসেন এবং সিসিএ ফাউন্ডেশনের সভাপতি কাজী মুস্তাফিজ সোমবার এক বিবৃতিতে পাবজি ও ফ্রি ফায়ার গেমসহ সহিংস অন্যান্য ক্ষতিকর গেম নিষিদ্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন। তাঁরা দেশে ‘সুস্থ সাইবার সংস্কৃতি’ প্রতিষ্ঠার জন্য সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

আইসাকা ও সিসিএ বলেছে, এখনকার তরুণদের খেলা প্রায় সব ভিডিও গেম সন্ত্রাসী ধরনের হয়ে থাকে। কীভাবে একজনকে মেরে একটি শহর দখল করা যায়, কীভাবে একটি জাতিকে শেষ করে দেওয়া যায়— তা তরুণেরা ভিডিও গেম থেকে শিখছে। এর ফলে পাড়া-মহল্লায় কিশোর গ্যাং তৈরির মাধ্যমে সহিংস ঘটনা দিন দিন বাড়ছে। এর থেকে পার পেতে হলে পরিবার ও রাষ্ট্রের বড় ভূমিকা রয়েছে।

সংগঠন দুটো বলছে, রাষ্ট্রীয়ভাবে কার্যকর উদ্যোগ নিয়ে ‘সুস্থ সাইবার সংস্কৃতি’ প্রতিষ্ঠার জন্য সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। অংশীজনদের নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনার মাধ্যমে কাজ করতে হবে।

ক্ষ‌তিকর দিক বিবেচনায় দেশে প্রচলিত সহিংস গেমগুলো বন্ধ করার পরামর্শ দিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা তৈরি করে কাজ করতে হবে। বাংলাদেশের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে ধারণ করে সেরকম গল্প দিয়ে গেম তৈরির বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে উৎসাহ দিতে হবে।

পাবজি গেম
ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, মানসম্পন্ন গেম তৈরিতে গুরুত্ব দিলে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদেরও নজরে পড়বে বাংলাদেশের গেম ইন্ডাস্ট্রি। একই সঙ্গে ইন্টারনেট ব্যবহারের গাইডলাইন তৈরির বিষয়ে গুরুত্ব দিয়েছে সংগঠন দুটি।

আইসাকা ও সিসিএর বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাস্তব জীবন ও অনলাইন জীবনযাপনের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে। ইন্টারনেট ব্যবহার যেন আসক্তি না হয় সে ব্যাপারে অভিভাবকদের নজরদারি প্রয়োজন। রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে সারা দেশে ব্যাপকভাবে সাইবার সচেতনতামূলক কর্মসূচি নিয়মিত রাখার আহ্বান জানানো হয়।

সংগঠন দুটি বলেছে, আন্তর্জাতিক আইন ও স্থানীয় সংস্কৃতি অনুযায়ী মহাদেশভিত্তিক গেমিং সংস্করণ তৈরিতে নির্মাতাদের একটি নীতিমালার মধ্যে নিয়ে আসা প্রয়োজন। সিনেমার মতো এখানেও সেন্সরশিপ প্রয়োগ করলে ইতিবাচক ফল দেবে।

তারা আরও বলছে, দেশের গেমের বাজার অর্থনৈতিক উন্নয়নে আশাব্যঞ্জক। তবে ক্ষতিকর বিষয়গুলোকে বর্জন করে ইতিবাচক বিষয়গুলোর উন্নয়নে সবাইকে নজর দিতে হবে। এ ছাড়া বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের জন্য কোনো গাইডলাইন প্রণয়নের আহ্বান জানায় তারা।