স্মার্টফোনের বাজারে শীর্ষে ফিরল স্যামসাং, হুয়াওয়ে সপ্তমে

চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে সবচেয়ে বেশি স্মার্টফোন বাজারজাত করেছে দক্ষিণ কোরীয় প্রতিষ্ঠান স্যামসাং
রয়টার্স

অ্যাপলকে পেছনে ফেলে স্মার্টফোন তৈরিতে শীর্ষস্থান ফিরে পেল স্যামসাং ইলেকট্রনিকস। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিক, অর্থাৎ জানুয়ারি থেকে মার্চ মেয়াদে বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে বেশি স্মার্টফোন বাজারজাত করেছে দক্ষিণ কোরীয় প্রতিষ্ঠানটি। বৈশ্বিক মোট বিক্রির ২২ শতাংশ তাদের দখলে।

দ্বিতীয় অবস্থানে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাপল ইনকরপোরেটেড আর তৃতীয় স্থানে আছে চীনের শাওমি করপোরেশন। বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান ক্যানালিসের তথ্য অনুযায়ী, গত প্রান্তিকে শাওমি তাদের সেরা পারফরম্যান্স দেখিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি বিক্রি করেছে মোট ৪ কোটি ৯০ লাখ স্মার্টফোন।

একই মেয়াদে বৈশ্বিক মোট স্মার্টফোন বিক্রি ২৭ শতাংশ বেড়ে ৩৪ কোটি ৭০ লাখে দাঁড়িয়েছে। করোনা মহামারির পর চীনের অর্থনীতি দ্রুত এগিয়ে যাওয়া এর অন্যতম কারণ। ওদিকে যুক্তরাষ্ট্রও করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের কল্যাণে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের পথে রয়েছে।

জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত দক্ষিণ কোরীয় প্রতিষ্ঠান স্যামসাং বাজারে ৭ কোটি ৬৫ লাখ স্মার্টফোন ছেড়েছে। গ্যালাক্সি এস২১ সিরিজের স্মার্টফোন বিক্রি বেশি হওয়ায় একই মেয়াদে প্রতিষ্ঠানটির মুঠোফোন ব্যবসায়ে মুনাফা বেড়েছে ৬৬ শতাংশ।

ক্যানালিসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৫ কোটি ২৪ লাখ আইফোন বিক্রি করেছে অ্যাপল, যা বাজারের ১৫ শতাংশ। তবে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ভারত ও জাপানের মতো গুরুত্বপূর্ণ বাজারগুলোতে অ্যাপল এখনো রেকর্ড পরিমাণ স্মার্টফোন বিক্রি করছে বলে জানিয়েছে গবেষণা প্রতিষ্ঠান কাউন্টারপয়েন্টের বিশ্লেষক বরুন মিশরা। যুক্তরাষ্ট্রে আইফোন প্রো ম্যাক্স মডেলটি সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।

করোনাকালে ঘরে থেকে কাজ করায় গত এক বছরে স্মার্টফোন বিক্রির পরিমাণ বেশ বেড়েছে। তবে ইলেকট্রনিক যন্ত্র কেনা বেড়ে যাওয়ায় তীব্র হয়েছে সেমিকন্ডাক্টর চিপের সংকট। এখন এই সংকটে বেশি ভুগছে গাড়ি এবং হোম অ্যাপ্লায়েন্স তৈরি শিল্প।

ক্যানালিসের বিশ্লেষক বেন স্ট্যানটন বলেছেন, চিপসেটের মতো গুরুত্বপূর্ণ উপাদানের সরবরাহ হঠাৎই বড় চিন্তার কারণে পরিণত হয়েছে। এতে আসন্ন প্রান্তিকগুলোতে স্মার্টফোনের সরবরাহ নিশ্চিত করা কঠিন হবে।

গত বুধবার অ্যাপল জানিয়েছে, চিপসেটের সংকটের প্রভাবে এপ্রিল থেকে জুন প্রান্তিকে প্রতিষ্ঠানটির ৩০০ থেকে ৪০০ কোটি ডলার ক্ষতি হতে পারে। বেশি ক্ষতি হবে আইপ্যাড ও ম্যাকবুকের উৎপাদনে।

গেল প্রান্তিকে চীনা প্রতিষ্ঠান অপো এবং ভিভোর স্মার্টফোন বিক্রিও বেড়েছে। তবে একসময়ের বাজারের শীর্ষে থাকা হুয়াওয়ে এখন যুক্তরাষ্ট্রের বেড়াজালে বন্দী, স্মার্টফোন বিক্রির তালিকায় রয়েছে সপ্তম স্থানে।