হুয়াওয়ের বিনিয়োগ শিকার ধরার মতোন: পম্পেও

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও
ছবি: রয়টার্স

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলছেন, চীনের প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে যে বিনিয়োগ করে, তা সাধারণ বাজার লেনদেন নয়। হুয়াওয়ে যা করে, তা মূলত শিকার ধরার প্রক্রিয়ার মতোই। সব দেশের উচিত হুয়াওয়েকে নিষিদ্ধ করা।

শুক্রবার ইতালির সংবাদপত্র লা রিপাবলিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পম্পেও এসব কথা বলেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

পম্পেও বলেন, হুয়াওয়ে যে বিনিয়োগ করে, তা ব্যক্তিমালিকানাধীন বিনিয়োগ নয়। কারণ, তারা চীনের রাষ্ট্রীয় ভর্তুকি পাওয়া প্রতিষ্ঠান। তাই তারা স্বচ্ছ ও মুক্ত নয়। তারা অন্যান্য বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের মতো লেনদেন করতে পারে না। তারা চীনের নিরাপত্তা হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

চীনের প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে
ছবি: রয়টার্স

ইতালিতে দুই দিনের সফরের শেষ দিনে লা রিপাবলিকাকে সাক্ষাৎকার দেন পম্পেও। তিনি সতর্ক করে বলেন, হুয়াওয়ের বিনিয়োগের অর্থ শিকার ধরার কার্যক্রম শুরু করা। তাই কোনো দেশের উচিত নয় তাদের এ কাজকে অনুমোদন দেওয়া।

যুক্তরাষ্ট্রের করা সব ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে হুয়াওয়ে।

ট্রাম্প প্রশাসন আনুষ্ঠানিকভাবে হুয়াওয়েকে যুক্তরাষ্ট্রে ‘কালো তালিকাভুক্ত’ করেছে। এর ফলে সরকারি অনুমোদন ছাড়া মার্কিন সংস্থা থেকে প্রযুক্তিসেবা নেওয়ার পথ বন্ধ হয়ে গেছে হুয়াওয়ের জন্য।

হুয়াওয়েকে বরাবরই যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে অভিহিত করে আসছেন ট্রাম্প।

গত বছর হুয়াওয়ের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ আনে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রে ফাইভ–জি সেবার কাজে হুয়াওয়েকে নিষিদ্ধও ঘোষণা করা হয়। এতে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে টেলিকম নেটওয়ার্কে হুয়াওয়ের যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা দেশগুলো।

যুক্তরাজ্যে হুয়াওয়ের ফাইভ-জি পণ্য নিষিদ্ধ করার ‘ভিত্তিহীন’ পদক্ষেপের ‘তীব্র প্রতিবাদ’ জানিয়েছে চীন।

আরও পড়ুন