হোয়াটসঅ্যাপের ভিডিও কল ফিচার এবার ডেক্সটপে

হোয়াটসঅ্যাপ

ফেসবুকের মালিকানাধীন হোয়াটসঅ্যাপ তাৎক্ষণিক বার্তা আদান-প্রদানের প্ল্যাটফর্ম। নিত্যনতুন ফিচার নিয়ে হাজির হচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপ। এবার স্মার্টফোনের মতো কম্পিউটারেও অডিও ও ভিডিও কল ফিচার সাপোর্ট করছে হোয়াটসঅ্যাপ ডেস্কটপ অ্যাপ। করোনাভাইরাস ছড়ানোর পর ভিডিও কলিং অ্যাপের ব্যবহার বেড়ে যায়। সামাজিক যোগাযোগ রক্ষার্থে মানুষ এখন অডিও বা ভিডিও কলের ওপর অন্য যেকোনো সময়ের তুলনায় বেশি নির্ভরশীল। তাই ফোনের মতো হোয়াটসঅ্যাপ ওয়েবেও কল করার সুবিধা এনেছে হোয়াটসঅ্যাপ।

এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, এরই মধ্যে অডিও ও ভিডিও কলের ফিচারটি ডেস্কটপ অ্যাপে আসতে শুরু করেছে। তবে খুব অল্পসংখ্যক ব্যবহারকারীই এর আপডেট পাবেন। আপডেটটি এলে সার্চ আইকনের পাশে অডিও ও ভিডিও কলের বাটন দেখতে পাবেন ব্যবহারকারীরা। কল এলে পপআপ উইন্ডো দেখা যাবে। এতে কল ধরার বা কেটে দেওয়ার অপশন থাকবে। শুধু প্রাইভেট চ্যাটে নয়, গ্রুপ চ্যাটেও অডিও ও ভিডিও কল দেওয়া যাবে।

ফিচারটি ব্যবহার করতে অবশ্যই স্মার্টফোনের অ্যাপের সঙ্গে কম্পিউটারের অ্যাপটি কানেক্ট করতে হবে। ডেস্কটপের হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাপটি থার্ডপার্টি ক্যামেরা ও মাইক্রোফোন সাপোর্ট করবে কি না, তা এখনো জানা যায়নি।

হোয়াটসঅ্যাপ
ছবি: রয়টার্স

এর আগে হোয়াটসঅ্যাপ জানায়, আগামী বছর ব্যবহার বিধিমালায় পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে। হোয়াটসঅ্যাপে পরিবর্তনবিষয়ক তথ্য জানানোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট ডব্লিউএবিটা ইনফো বলছে, আগামী বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে হোয়াটসঅ্যাপের নতুন নীতিমালা কার্যকর হতে পারে। ডব্লিউএবিটা ইনফোর পক্ষ থেকে হোয়াটসঅ্যাপের ‘টার্মস অ্যান্ড প্রাইভেসি পলিসি আপডেটস’–এর স্ক্রিনশট দেখানো হয়েছে। এতে হোয়াটসঅ্যাপের যে শর্তগুলো দেখানো হচ্ছে, তা মূলত হোয়াটসঅ্যাপ যেভাবে ব্যবহারকারীর তথ্য সংগ্রহ করবে, এ–সংশ্লিষ্ট বিষয়। এতে মূলত দুটি বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

একটি হচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপ কীভাবে ব্যবহারকারীর তথ্য প্রক্রিয়াজাত করবে, এ–সংক্রান্ত। আরেকটি হচ্ছে বিভিন্ন ব্যবসা কীভাবে ফেসবুকের বিভিন্ন সেবা তাদের স্টোরে যুক্ত করবে এবং চ্যাট ব্যবস্থাপনা করবে, এ বিষয়ক নীতিমালা।
ফেসবুকের নীতিমালায় সম্মত হলে ‘অ্যাগ্রি’ চাপতে হবে। এতে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারের জন্য সব নীতিমালাতেই সম্মতি জানানো হয়ে যাবে। সব নীতিমালাতে সম্মত হলেই কেবল হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করা যাবে। যদি হোয়াটসঅ্যাপের পরিবর্তনে কেউ সম্মত না হন, তবে হোয়াটসঅ্যাপ সেটিংস থেকে অ্যাকাউন্ট মুছে ফেলা যাবে।
সাধারণত ফিচার বা নীতিমালা পরিবর্তনসংক্রান্ত গুঞ্জন নিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ মন্তব্য করে না। তবে যুক্তরাজ্যের দ্য ইনডিপেনডেন্টকে হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ বলেছে, ২০২১ সালের ৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সব হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীকে তাদের নীতিমালায় সম্মত হতে হবে, তা না হলে অ্যাপ ব্যবহার করা যাবে না।

ইনডিপেনডেন্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হোয়াটসঅ্যাপের একজন মুখপাত্র বলেছেন, এ প্ল্যাটফর্মে যে পরিবর্তন আসছে, তা মূলত এখানে কীভাবে ব্যবসা পরিচালনা করা যাবে এবং ব্যবহারকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাবে, এ-সংক্রান্ত। গত অক্টোবর মাসে হোয়াটসঅ্যাপ তাদের পরিবর্তন বিষয়ে আগাম ধারণা দেয়।