১০০ কোটি ডলার ব্যয়ে অ্যাপলের নতুন কার্যালয়

অ্যাপলের মূল কার্যালয়ের সামনে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা টিম কুক
রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলাইনার র‍্যালি শহরে নতুন কার্যালয় তৈরির ঘোষণা দিয়েছে অ্যাপল ইনকরপোরেটেড। ১০০ কোটি ডলারের বেশি ব্যয়ে নির্মিতব্য কার্যালয়ে হাজার তিনেক নতুন কর্মী নিয়োগ দেবে মার্কিন প্রতিষ্ঠানটি। কর্মীরা সেখানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও মেশিন লার্নিংয়ের মতো নতুন প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করবেন বলে গতকাল সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে অ্যাপল।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনবিসির খবরে বলা হয়েছে, অ্যাপলের প্রকৌশলনির্ভর কর্মীদের সিংহভাগ কাজ করেন ক্যালিফোর্নিয়ার কুপারটিনোর প্রধান কার্যালয়ে। সে কাজগুলোকে বিকেন্দ্রীকরণের চেষ্টা থেকেই নতুন কার্যালয় স্থাপনের ঘোষণা দিয়েছে অ্যাপল। টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের অস্টিনেও ১০০ কোটি ডলার ব্যয়ে একটি কার্যালয় স্থাপন করছে অ্যাপল। সেটি আগামী বছর চালুর কথা রয়েছে।

নর্থ ক্যারোলাইনার কার্যালয়টি হবে রিসার্চ ট্রায়েঙ্গেলে। নর্থ ক্যারোলাইনা স্টেট ইউনিভার্সিটি, ডিউক ইউনিভার্সিটি এবং ইউনিভার্সিটি অব নর্থ ক্যারোলাইনা—নিকটবর্তী তিন বিশ্ববিদ্যালয়ের কারণে এলাকাটি এমন নাম পেয়েছে।

সিলিকন ভ্যালির অন্যান্য প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানও বে এরিয়ার বাইরে কার্যালয় সম্প্রসারণের ঘোষণা দিয়েছে। জীবনযাপনের অত্যধিক খরচের জন্য অনেক সফটওয়্যার প্রকৌশলী সিলিকন ভ্যালির নিকটবর্তী শহরগুলোর বাইরে থাকেন। প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ওই প্রকৌশলীদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

গত বছর টেক্সাসের অস্টিনে প্রধান কার্যালয় সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দেয় ওরাকল। মাউন্টেন ভিউভিত্তিক প্রতিষ্ঠান গুগল নিউইয়র্ক সিটিতে ১০০ কোটি ডলার ব্যয়ে কার্যালয় প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিয়েছে। ভার্জিনিয়ার আর্লিংটনে আমাজনের দ্বিতীয় প্রধান কার্যালয়ে এরই মধ্যে ১ হাজার ৬০০ কর্মী কাজ শুরু করেছেন।

টেক্সাসের অস্টিনে নির্মাণাধীন কার্যালয়টি আগামী বছর চালুর কথা রয়েছে। কার্যালয়টির সম্ভাব্য রূপ হবে এমন
অ্যাপল

নর্থ ক্যারোলাইনার বাইরে যুক্তরাষ্ট্রে আরও অনেক শহরেও কার্যালয় সম্প্রসারণের কথা জানিয়েছে অ্যাপল। ২০২৬ সাল নাগাদ স্যান দিয়েগোতে পাঁচ হাজার, ক্যালিফোর্নিয়ার কালভার সিটিতে তিন হাজার এবং কলোরাডোর বোল্ডারে ৭০০ কর্মী নিয়োগের পরিকল্পনা আছে তাদের। সিয়াটলে এরই মধ্যে এক হাজার কর্মী নিয়োগ দিয়েছে, এবার সংখ্যাটি দ্বিগুণের কথা জানানো হলো। সব মিলিয়ে আগামী পাঁচ বছরে কেবল যুক্তরাষ্ট্রে ২০ হাজার কর্মসংস্থান সৃষ্টির কথা বলছে প্রতিষ্ঠানটি।

অ্যাপল অবশ্য সিলিকন ভ্যালির প্রতিষ্ঠানই থাকছে। ওই অঞ্চলে অ্যাপলের ২৫ হাজার কর্মী রয়েছে, যাঁদের ১২ হাজার কাজ করেন বৃত্তাকার মূল কার্যালয়ে। গত বছর অ্যাপল জানিয়েছিল, বিশ্বব্যাপী তাদের ১ লাখ ৪৭ হাজার পূর্ণকালীন কর্মী রয়েছে।