৫ লাখ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে জিপি অ্যাকসেলেরেটর প্রোগ্রাম

জিপি অ্যাকসেলেরেটর ৩.০–এর উদ্বোধনী আয়োজন
ছবি: সংগৃহীত

জিপি অ্যাকসেলেরেটর প্রোগ্রাম ইতিমধ্যে ৪৪টি সম্ভাবনাময় স্টার্টআপের মাধ্যমে ৫ লাখ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে। এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে গ্রামীণফোন ১৪ কোটি ২০ লাখ টাকার বেশি সহায়তা প্রদান করেছে। যেখানে প্রতিটি দল প্রায় ৬৫ লাখ টাকা সমমানের সহায়তা পেয়েছে।

উদ্যোক্তাদের প্রয়োজনীয় রিসোর্স দিয়ে সহযোগিতার মাধ্যমে তাদের উদ্ভাবন, প্রবৃদ্ধি ও সম্ভাবনা উন্মোচন এবং স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম তৈরি ও ডিজিটালাইজেশনের উদ্দেশ্যে গ্রামীণফোন অ্যাকসেলেরেটর ৩.০-এর কার্যক্রম শুরু করেছে।

আজ বৃহস্পতিবার গ্রামীণফোন অ্যাকসেলেরেটর ৩.০-এর কার্যক্রম উদ্বোধন করে গ্রামীণফোন। অনুষ্ঠানে গ্রামীণফোনের পক্ষ থেকে এসব তথ্য দেওয়া হয়।

জিপি অ্যাকসেলেরেটর প্রোগ্রামের মাধ্যমে বাংলাদেশি স্টার্টআপগুলোকে সহায়তার জন্য এ বছরের শুরুতে গ্রামীণফোনের সঙ্গে বেটারস্টোরিজ লিমিটেড, লাইটক্যাসেল পার্টনার্স এবং আপস্কিলের মধ্যে এক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই তিন প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোনের সঙ্গে ১২ মাসব্যাপী চলমান প্রোগ্রাম জিপি অ্যাকসেলেরেটর ৩.০ আয়োজনের মাধ্যমে দেশের সেরা স্টার্টআপ খুঁজে বের করবে। পাশাপাশি বাজারের চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে উপযুক্ত রিসোর্স প্রদানের মাধ্যমে স্টার্টআপগুলোর সম্ভাবনা উন্মোচনের লক্ষ্যে কাজ করবে তারা। ২০১৫ সালে গ্রামীণফোন প্রথম ‘জিপি অ্যাকসেলেরেটর’ উদ্যোগ গ্রহণ করে।

অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের (আইসিটি) বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ‍ বলেন, গ্রামীণফোন দেশের স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম তৈরিতে নিজেদের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ধারাবাহিকভাবে কাজ করছে। এখন পর্যন্ত ৬টি ব্যাচ জিপি অ্যাকসেলেরেটর প্রোগ্রামের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছে। যারা সবাই নিজ নিজ জায়গা থেকে ইকোসিস্টেমের উন্নয়নে অবদান রাখছে। এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে দেশের সম্ভাবনাময় তরুণেরা উদ্ভাবনী স্টার্টআপ তৈরি এবং ভবিষ্যতে বাণিজ্যিকভাবে এর প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনীয় জ্ঞান এবং অন্যান্য সহায়তা পাবে।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, স্বনির্ভর ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে স্টার্টআপগুলো সহায়তা করছে। প্রযুক্তিনির্ভর ভবিষ্যতের জন্য তরুণদের সমস্যা সমাধানের মানসিকতা তৈরি হচ্ছে। দেশের সরকারি–বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান বলেন, এখন পর্যন্ত এ যাত্রায় দেশের নাগরিকদের ডিজিটাল চাহিদা মূল্যায়নে এবং তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী প্রাসঙ্গিক সমাধান প্রদানে জিপি অ্যাকসেলেরেটরের ৪৪টি স্টার্টআপ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করার মাধ্যমে দেশের মেধাবীদের সম্ভাবনা উন্মোচনে সহায়ক ইকোসিস্টেম তৈরির ব্যাপারে গ্রামীণফোন আশাবাদী।