৯০ হাজার 'সন্ত্রাসমূলক ভিডিও' সরাল ইউটিউব

‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’–সম্পর্কিত বিষয়বস্তুর বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে ইউটিউব। গুগলের মালিকাধীন ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মটিতে নিয়মিত আপ হওয়া ভিডিওগুলো পর্যালোচনা করে দেখেছে, সন্ত্রাসবাদ ছড়ানোর মতো কনটেন্ট আছে। এরপরই সেগুলো বন্ধ করে দিয়েছে। এ জন্য ইউটিউবের লাখো ডলার ব্যয় হয়েছে।

রয়টার্সের খবরে জানানো হয়, ২০১৯ সালের প্রথম তিন মাসে (জানুয়ারি-মার্চ) ইউটিউব ১০ লাখের বেশি সন্দেহভাজন ভিডিও পর্যালোচনা করে দেখেছে। এর মধ্যে ৯০ হাজার ভিডিও ইউটিউবের সন্ত্রাসবাদবিরোধী নীতিমালা লঙ্ঘন করেছে। তাই এসব ভিডিও সরিয়ে ফেলেছে। এ জন্য লাখো ডলার ব্যয় হয়েছে ইউটিউবের।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লাইভে থেকে নিউজিল্যান্ডের মসজিদে গুলি চালিয়ে ৫০ জনকে হত্যা করেন এক সন্ত্রাসী। এরপরই ইউটিউব, ফেসবুক, টুইটারসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটির পক্ষ থেকে কনটেন্ট মুছে ফেলা এবং সন্ত্রাসীরা যেন লাইভ করতে না পারে, তার ব্যবস্থা নিতে বলা হয়। এরপরই হোমল্যান্ড সিকিউরিটির হাউস কমিটির কাছে পাঠানো চিঠিতে গুগল দাবি করেছে, কোম্পানিটি তাদের কন্টেন্ট পর্যালোচনা করার জন্য প্রতিবছর লাখো ডলার ব্যয় করছে। নীতিমালা লঙ্ঘন করে ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’–সম্পর্কিত ৯০ হাজার ভিডিও ইউটিউব থেকে সরিয়ে দিয়েছে।

বেশ কয়েক বছর ধরেই ফেসবুক, ইউটিউব, টুইটারসহ বিশ্বের বড় বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠাগুলোর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদ ছড়ানো অভিযোগ উঠে আসছিল। অভিযোগ ছিল, এই প্ল্যাটফর্মগুলো সন্ত্রাসবাদ এবং হিংসাত্মকমূলক কন্টেন্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়েছে।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটির পক্ষ থেকে বলা হয়ে, সন্ত্রাসবাদমূলক কন্টেন্ট প্রতিরোধে ইউটিউব, ফেসবুক, টুইটারসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো অনেকটাই ব্যর্থ। এসব প্ল্যাটফর্ম কিন্তু আবার জনগণের জীবনে প্রয়োজনীয় হয়ে উঠছে। এ জন্য জনগণের প্রতি তাদের একটি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। মাধ্যমগুলোকে এটি নিশ্চিত করতে হবে যে নিষ্ঠুর ও সহিংস কন্টেন্টগুলোর বিস্তার বন্ধ করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা তারা করছে।