তামিম হাসান
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৩ ও ৪ নম্বর ক্রমিকের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:
তামিম হাসান তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েবিবিএ পড়েন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেলে থাকেন। একদিন বিকেলবেলা তার মায়ের চিঠি এল। মা লিখেছেন, ‘বাবা, আমি অসুস্থ। তুমি শিগগিরই গ্রামে এসো। তোমাকে দেখতে মন চাচ্ছে।’ চিঠি পড়ে বিচলিত হলেন তামিম হাসান। সব কাজকর্ম স্থগিত রেখে বাড়ির পথে রওনা দিলেন। ঢাকা থেকে তার গ্রামের বাড়ি যাওয়ার সরাসরি কোনো রাস্তা নেই। পথের মাঝখানে পড়বে একটা বিরাট নদী। তখন বর্ষাকাল। গভীর রাতে এলেন সেই নদীর কূলে। ঘাটে কোনো নৌকা নেই। মাঝিরা ফিরে গেছেন যে যার বাড়িতে। তামিম হাসান সাঁতরে পাড়ি দিলেন সেই নদী। পরদিন ভোরবেলা তিনি নিজ গ্রামে মায়ের কাছে পৌঁছান। ঘটনাটি মাতৃপ্রেমের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
৩. উপযুক্ত শব্দ বাছাই করে নিচের বাক্যগুলোর শূন্যস্থান পূরণ করে উত্তরপত্রে লেখো।
শব্দ শব্দার্থ
রওনা যাত্রা শুরু করা
বিচলিত ব্যাকুল
স্থগিত ক্ষান্ত
কূল তীর
বিরাট অনেক বড়
অসুস্থ রোগে আক্রান্ত
ক. বিপদে না হয়ে ধৈর্যধারণ করতে হবে।
খ. ছিলাম তাই স্কুলে আসতে পারিনি।
গ. সবকিছু রেখে পরীক্ষার পড়ায় মন দাও।
ঘ. নদীর ধরে আমরা হেঁটে চললাম।
ঙ. বৃষ্টি থামার পর আমরা হলাম।
চ. বাড়ি যাবার মাঝপথে আছে এক নদী।
৩ নম্বর প্রশ্নের উত্তর
ক. বিচলিত, খ. অসুস্থ, গ. স্থগিত, ঘ. কূল,
ঙ. রওনা, চ. বিরাট
৪.নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখো।
ক. তামিম হাসানের মা চিঠি দিয়েছিলেন কেন? মায়ের চিঠি পড়ে তার মনের অবস্থা কেমন হয়েছিল তা চারটি বাক্যে লেখো।
উত্তর: অসুস্থ অবস্থায় সন্তানকে দেখতে মন চাওয়ায় তামিম হাসানের মা চিঠি দিয়েছিলেন।
তামিম হাসান তার মাকে খুব ভালোবাসেন। তাই মায়ের অসুস্থতার খবর পেয়ে তার মন বিচলিত হয়ে ওঠে। তিনি মাকে দেখার জন্য অস্থির হয়ে পড়েন। যত দ্রুত সম্ভব মায়ের কাছে যেতে চান।
খ. তামিম হাসানের বাড়ি যাওয়ার পথটি কেমন ছিল? পাঁচটি বাক্যে লেখো।
উত্তর: তামিম হাসানের বাড়ি যাওয়ার পথটি অনেক কঠিন ছিল। তার গ্রামের বাড়ি যাওয়ার সরাসরি কোনো রাস্তা ছিল না। পথের মধ্যে আবার একটি নদী ছিল। বর্ষাকাল হওয়ায় সেই নদী পানিতে ভরপুর ছিল। রাত হয়ে যাওয়ায় সেই নদীতে পারাপারের কোনো নৌকা ছিল না।
গ. নদীতে নৌকা ছিল না কেন? যে বিষয়টি তামিম হাসানকে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ার সাহস জুগিয়েছিল তা চারটি বাক্যে লেখো।
উত্তর: রাত অনেক গভীর হওয়ায় নদীতে নৌকা ছিল না। মায়ের প্রতি তামিম হাসানের ভালোবাসা ছিল প্রচুর। ফলে মায়ের অসুস্থতার খবর তাকে করে তুলেছিল বিচলিত। মাকে দেখার জন্য যত দ্রুত সম্ভব বাড়ি পৌঁছানোর তাগিদ ছিল তার মনে। আর এটিই তাকে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ার সাহস জুগিয়েছিল।
খন্দকার আতিক, শিক্ষক
উইল্স লিট্ল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা