বাংলাদেশ জাতীয় কারুশিল্প পরিষদ ও বেঙ্গল ফাউন্ডেশন চার কারুশিল্পীকে দিল সেরা কারুশিল্পীর পুরস্কার। এ বছর পুরস্কার পেলেন টাঙ্গাইলের তাঁতশিল্পী রাজ্জাক, ঢাকার শাঁখারীবাজারের শঙ্খশিল্পী অনুপ নাগ, কুড়িগ্রামের শোলাশিল্পী নিত্য মালাকার ও রাজশাহীর চিত্রিত পুতুল শিল্পী বিজলী রানী পাল।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে ধানমন্ডির জ্ঞানতাপস আবদুর রাজ্জাক বিদ্যাপীঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এই পুরস্কার দেওয়া হয়। কারুশিল্পীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রবীণ বয়নশিল্পী সরত মালা চাকমা, মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামাল এবং লোক ও কারুশিল্প জাদুঘরের পরিচালক রবীন্দ্র গোপ।
বিদ্যাপীঠ প্রাঙ্গণেই আয়োজিত হয়েছে কারুমেলা। এবারের মেলায় সারা দেশ থেকে শিল্পীরা তাঁদের বৈচিত্র্যময় কারুশিল্প নিয়ে এসেছেন। মোট স্টল ১১টি।
পটচিত্রের স্টলে প্রয়াত পটচিত্রশিল্পী রঘুনাথ চক্রবর্তীর স্ত্রী নমিতা চক্রবর্তী একের পর এক পট আঁকছিলেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন প্রদীপ ব্যানার্জি। রঘুনাথ চক্রবর্তীর আঁকা বিভিন্ন চিত্রকর্ম ও মোটিফই তাঁরা আবার ফুটিয়ে তুলছিলেন পটগুলোতে।
পাটজাত শিল্প নিয়ে এসেছেন ঠাকুরগাঁওয়ের শিল্পী হযরত আলী ও সাইদুল হাসান। সিরাজগঞ্জের গোনজের আলী ও আজমল কবীর এনেছেন গামছা-লুঙ্গি। নকশিকাঁথা নিয়ে এসেছেন ময়মনসিংহের জোসনা বেগম ও মাগুরার দিপালী সরকার। খাগড়াছড়ির রিটন চাকমা ও বিরিশিরির বিনোদিনী রেমা এনেছেন নৃ-জনগোষ্ঠীর কারুশিল্প। বিভিন্ন রকমের অলংকারের পসরা সাজিয়েছেন নবাবগঞ্জের সুকমল কর্মকার ও আবদুস সাত্তার। শঙ্খের বিভিন্ন রকম কাজ করেছেন অনুপ নাগ ও প্রদীপ কুমার সুর। তাঁতের শাড়ি তৈরি করেছেন টাঙ্গাইলের রাজ্জাক ও সেলিনা বেগম। চিত্রিত মাটির পুতুল এনেছেন রাজশাহীর বিজলী রানী পাল ও সুশান্ত কুমার পাল। শোলার কাজ করেছেন কুড়িগ্রামের নিত্য মালাকার ও ঝিনাইদহের গোপেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী।
৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কারুমেলা চলবে। মেলার সময় প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে রাত ৮টা।