এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ আন্তর্জাতিক আলোকচিত্র উৎসব ছবিমেলা ‘শূন্য’ শুরু হচ্ছে শুক্রবার। এ বছরের মেলার এটি হতে যাচ্ছে বিশেষ সংস্করণ। প্রতিবার নানা রকম আলোকচিত্রকর্মসহ এ উৎসবে অংশ নেন বিশ্বের নানা প্রান্তের আলোকচিত্রীসহ নানা মাধ্যমের শিল্পী, লেখক-চিন্তক, বুদ্ধিজীবী।
এ বছর করোনাকালের নতুন বাস্তবতায় কেবল বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কাসহ দক্ষিণ এশিয়ার পাঁচ দেশের শিল্পীর কাজ নিয়ে উৎসবটির আয়োজন করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে ৭৫ জন শিল্পীর কাজ নিয়ে মোট আটটি প্রকল্পে সাজানো হয়েছে এবারের ছবিমেলা। এবারের প্রকল্পগুলো হলো (অফ) লিমিটস, দ্য রেবেল উইথ আ স্মাইল, উইশিং ট্রি, ফ্রোজেন সং, ক্রসরোডস কালেকটিভস ইন্টারভেনশন, বাবা বেতার, ছাপাখানা আর্কাইভ। এ ছাড়া থাকবে ছবিমেলা ফেলোশিপ ২০২১।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে পান্থপথের দৃকপাঠ ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে উৎসবের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হয়। উৎসব পরিচালক তানজিম ওয়াহাবের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দৃক, পাঠশালা ও ছবিমেলার প্রতিষ্ঠাতা শহিদুল আলম, উৎসবের নির্বাহী পরিচালক এ এস এম রেজাউর রহমান, কিউরেটর সরকার প্রতীক, পাঠশালার শিক্ষক ও আলোকচিত্রী তাসলিমা আক্তার, অতিথি কিউরেটর নাজমুন নাহার কেয়া। শুক্রবার বিকেল চারটায় উদ্বোধনের পর ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছবিমেলার এই বিশেষ সংস্করণ ঘুরে দেখা যাবে প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত।
বক্তব্যে ২০ বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে ছবিমেলা আয়োজনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন শহিদুল আলম। তিনি বলেন, ‘দৃক ও পাঠশালা সব সময় নতুন প্রজন্মকে সামনে এগিয়ে নেওয়ার চর্চাকে সমর্থন করে। এবারের ছবিমেলার মূল আয়োজকদের সবাই পাঠশালার সাবেক শিক্ষার্থী বা দৃকের সদস্য।’ উৎসবের প্রাসঙ্গিকতা ব্যাখ্যা করে তানজিম ওয়াহাব বলেন, ‘এবারের বিশেষ সংস্করণ ছবিমেলা “শূন্য”–এর ক্ষেত্রে আমাদের মূল ভাবনা হচ্ছে, এই মহামারিকালে নিজেদের কাজ ও অবস্থানকে বিশ্লেষণ করার মধ্য দিয়ে একটি আলোকচিত্র উৎসবের উদ্দেশ্য ও প্রাসঙ্গিকতাকে তুলে ধরা এবং করোনা–পরবর্তী নতুন বাস্তবতায় নতুনভাবে জীবন শুরু করা।’ উৎসবের বিভিন্ন আয়োজন সম্পর্কে আলোচনা করেন এ এস এম রেজাউর রহমান।
দৃক পিকচার লাইব্রেরি লিমিটেড এবং পাঠশালা সাউথ এশিয়ান মিডিয়া ইনস্টিটিউট যৌথভাবে ২০০০ সাল থেকে দুই বছর অন্তর আয়োজন করে আসছে আন্তর্জাতিক আলোকচিত্র উৎসব ‘ছবিমেলা’।