জাতীয় জাদুঘরে আজ ২৮ অক্টোবর সকালে বৌদ্ধ ভাস্কর্যের একটি বিশেষ প্রদর্শনীর উদ্বোধন হয়েছে। জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনের লবিতে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ব পর্যটন সংস্থার মহাসচিব তালেব রিফাই। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এমপি। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক ফয়জুল লতিফ চৌধুরী। সভাপতিত্ব করেন জাতীয় জাদুঘর বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সভাপতি এম. আজিজুর রহমান।
বিশ্ব পর্যটন সংস্থার মহাসচিব তালেব রিফাই প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশের সংস্কৃতি অনেক সমৃদ্ধ। এই সমৃদ্ধ সংস্কৃতি একটি ঐতিহ্যিক অংশই হলো বৌদ্ধ ভাস্কর্য।
রাশেদ খান মেনন আগামীর বাংলাদেশ পর্যটন সুন্দর বাংলাদেশ হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। আসাদুজ্জামান নূর বলেন, সংস্কৃতি ও পর্যটন একে অপরের পরিপূরক। সমৃদ্ধ সংস্কৃতিই পারে পর্যটনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে। বাংলাদেশের সমৃদ্ধ সংস্কৃতির কারণে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প এগিয়ে যাবে। আমরা পরস্পর পরস্পরের সঙ্গে কাঁধ মিলিয়ে সংস্কৃতি ও পর্যটনকে এগিয়ে নিয়ে যাব।
প্রদর্শনীটি আগামী ৬ নভেম্বর পর্যন্ত দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
প্রসঙ্গত, প্রাচীন বাংলায় বৌদ্ধধর্মের একটি সমৃদ্ধ ইতিহাস রয়েছে। ষষ্ঠ শতকে হর্ষবর্ধনের পতনের পর ভারতে বৌদ্ধধর্ম যখন ম্রিয়মাণ, তখন বাংলায় বৌদ্ধধর্মের উদ্ভব ঘটে। অষ্টম থেকে একাদশ শতক পর্যন্ত পাল-চন্দ্র শাসনামলে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতার ফলে বাংলায় বৌদ্ধধর্মের ব্যাপক বিকাশ ঘটে। এ সময় অবলোকিতেশ্বর, ধ্যানী বুদ্ধ, বজ্র সত্ত্বের বহু ভাস্কর্য তৈরি হয়। বাংলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রাপ্ত বেশ কিছু ভাস্কর্য বর্তমানে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে সংরক্ষিত রয়েছে। এসব ভাস্কর্যের মধ্য থেকে প্রস্তর, ব্রোঞ্জ ও পোড়ামাটির ৮৫টি বিরল ও দৃষ্টিনন্দন ভাস্কর্যের সমন্বয়ে এই প্রদর্শনী সাজানো হয়েছে।