ভাস্কর নভেরা বাংলাদেশের শিল্পাঙ্গনের চেয়ে সাহিত্যাঙ্গনেই যেন বেশি আলোচিত। তাঁকে নিয়ে কবিতা লিখেছেন সাইয়িদ আতীকুল্লাহ, তাঁর জীবনের ওপর উপন্যাস লিখেছেন হাসনাত আবদুল হাই। ‘হৃৎকলমের টানে’ কলামে ভাস্কর নভেরাকে নিয়ে লিখেছেন সৈয়দ শামসুল হক। নভেরার শিল্পকর্মের বদলে তাঁর ব্যক্তিগত অন্যান্য বিষয় ভুলভাবে মানুষের সামনে উপস্থাপিত হয়ে আসছে। এতে করে অবমূল্যায়িত হয়েছেন বাংলার আধুনিক ভাস্কর্যশিল্পের এই পথিকৃৎ—একরকম অভিযোগের সুরেই সেমিনারে কথাগুলো উত্থাপন করেন রেজাউল করিম।
গতকাল বিকেলে ভাস্কর নভেরাকে নিয়ে জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে এক সেমিনারে ‘ভাস্কর নভেরা আহমেদ: সত্তা ও স্বাতন্ত্র্যের অন্বেষণ’ শিরোনামে প্রবন্ধ পাঠ করেন এই গবেষক। পাশাপাশি প্রবন্ধ-সংশ্লিষ্ট নভেরার শিল্পকর্ম, শিল্পীর আলোকচিত্র ও প্রকাশিত নিবন্ধ বড় পর্দায় শ্রোতাদের সামনে তুলে ধরেন তিনি।
প্রবন্ধটির ওপর আলোচনা করতে গিয়ে চারুকলা অনুষদের ভাস্কর্য বিভাগের চেয়ারপারসন অধ্যাপক লালারুখ সেলিম বলেন, ‘নভেরার ভাস্কর্যগুলোর যথাযথ মূল্যায়ন করতে হবে। পঠিত প্রবন্ধের ভেতর থেকে নভেরা সম্পর্কে নতুন কিছু তথ্য উঠে এসেছে। আরও নতুন তথ্য উদ্ঘাটিত হলে নভেরার শিল্প-বিষয়ক চিন্তায় কূলকিনারা খুঁজব।’
শিল্প সমালোচক বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গীরের সভাপতিত্বে সেমিনারে নভেরার শিল্পকর্ম নিয়ে কথা বলেন শিল্প সমালোচক অধ্যাপক মইনুদ্দীন খালেদ, জাদুঘরের মহাপরিচালক ফয়জুল লতিফ চৌধুরী।