দেশ টিভিতে আজ রাতে ‘রংমিস্ত্রি শো’তে প্রচারিত হবে নাটক এরা ওরা ও জাদুকর। রচনা ও পরিচালনা করেছেন মাহমুদুর হাসান। এখানে অভিনয় করেছেন আশীষ খন্দকার। কথা হলো তাঁর সঙ্গে। ‘এরা ওরা ও জাদুকর’ নাটকটি নিয়ে কিছু বলুন।এখানে আমি ছাড়া আরও অভিনয় করেছেন আহমেদ রুবেল, মৌটুসী ও এস এম মহসীন। এখানে আমাকে সবাই ডাকে খোয়াব মোসলেম বলে। কারণ, আমি একজন স্বপ্নচারী মানুষ। সবাই আমাকে বুঝতে পারে না। তারা ভাবে, আমি অস্বাভাবিক। কিন্তু মোটেই তা নই। গল্পটা চমত্কার। এমন গল্প নিয়ে ডিজিটাল ছবি বানালে মন্দ হতো না। তাই কাজটা করতে রাজি হয়েছি। ধামরাইয়ের কাছে রায়পুরায় মাস দুয়েক আগে আমরা কাজটা করেছিলাম।গত বছর আপনার অভিনীত ‘উজান পন্থে’ নাটকটি প্রচারিত হয়েছিল। তারপর ‘এরা ওরা ও জাদুকর’। মাঝের সময়টা তো অনেক বড়।দেখুন, আমি থিয়েটারের লোক। ওটাই আমার একমাত্র পছন্দ। ওখানে কাজ করার পর যদি সময় পাই, তাহলেই কেবল টিভি নাটকে কিংবা ছবিতে কাজ করি। আমি যদি এখানে ব্যস্ত হয়ে পড়ি, তাহলে যেখান থেকে এসেছি, যেখানে আমার কাজের চাহিদা আছে, তা ম্লান হয়ে যাবে। আমি সেখানেই থাকতে চাই।আপনি তো বাচ্চাদের একটি স্কুল পরিচালনা করছেন। তার কী খবর?আলিয়ঁস ফ্রঁসেসের ‘ফ্রাইডে থিয়েটার স্কুল’। আমরা এখানে থিয়েটারের মাধ্যমে ছেলেমেয়েদের শিক্ষা দেওয়ার কাজটা করছি। এরই মধ্যে এই স্কুলটির বয়স ছয় বছর হলো। এখানে প্রতি শুক্রবার ছয় থেকে নয় বছর বয়সের ছেলেমেয়েরা ক্লাস করছে। এখানে আমি আর্টিস্টিক ডিরেক্টর।এই ছেলেমেয়েদের নিয়ে কিছু করার কথা ভাবছেন?একটি ডিজিটাল ছবি তৈরি করব, সত্তরের দশকের গোড়ার দিকের গল্প নিয়ে; নাম কেনুমামার সাইকেলের পাম্প ছাড়ে কে। আসলে এটি একজন চলচ্চিত্রকারের শৈশবকাল। ঈদের পর থেকে কাজ শুরু করা ইচ্ছা আছে।নতুন কোনো মঞ্চনাটক করছেন?আমাদের স্টেপস অ্যান্ড অ্যাক্টিং রিসার্চ সেন্টার থেকে একসঙ্গে তিনটি নাটক আনছি। নদী দখল ও পানিদূষণ আর এসব ঘিরে তৈরি ‘আন্ডার ওয়াটার ক্রাইম’ এবং সুধী সমাজের ভূমিকা—এগুলো নিয়েই নাটকের গল্প। তিনটি নাটকের প্রতিটির দৈর্ঘ্য হবে ২০ মিনিট।