মুম্বাই আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব: বেছে নেওয়া হলো বাংলাদেশকে
ভারতের গুরুত্বপূর্ণ চলচ্চিত্র উৎসবগুলোর মধ্যে একটি মুম্বাই আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। এবারের উৎসবটা বাংলাদেশের জন্য ব্যতিক্রম। এবারই প্রথম দেশের শর্টফিকশন ও তথ্যচিত্র মিলে ১১টি কাজকে বেছে নিয়েছে উৎসব কর্তৃপক্ষ। ১৭তম এই চলচিত্র উৎসবের আয়োজক সূত্রে জানা যায়, এবার তারা বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে কান্ট্রি ফোকাসড হিসেবে বেছে নিয়েছে বাংলাদেশকে।
উৎসবে প্রদর্শিত হবে অমিতাভ রেজা চৌধুরী পরিচালিত শর্টফিকশন ‘সাইলেন্স’, সুবর্ণা সেনযুথির ‘রিপেলস’ ও আবু শাহেদের ‘আড়াই মন স্বপ্ন’। এ ছাড়া তথ্যচিত্র বিভাগে প্রদর্শনের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে, দিলারা বেগমের ‘যথোরলিনা’, হুমায়রা বিলকিসের ‘গার্ডেন অব মেমরিজ’, ‘দোজাহান’ পরিচালনা করেছেন রতন পাল। বাকি চারটি তথ্যচিত্রের মধ্যে রয়েছে ‘নট আ পেনি, নট আ গান’, ‘জলো গেরিলারা’, ‘কান পেতে রই’, ‘হাসিনা: আ ডটার’স’। এগুলো পরিচালনা করেছেন মকবুল চৌধুরী, সুমন দেলোয়ার, মাফিদুল হক ও পিপলু আর খান। নির্বাচিত শর্টফিকশন ও তথ্যচিত্রগুলো ২০০৯ সাল থেকে বিভিন্ন সময় নির্মাণ করা হয়েছে।
কথা হয় উৎসবে স্থান পাওয়া একটি চলচ্চিত্রের পরিচালকের সঙ্গে। ‘রিপেলস’ সিনেমার পরিচালক সুবর্ণা সেনযুথি ১৮ মে প্রথম আলোকে, ‘আমার গল্পটি পাঁচ বোনের সংগ্রামকে ঘিরে, যারা একটি সত্তা। থিয়েটারের মধ্য দিয়ে গল্পটার উপস্থাপনা একদমই আলাদা। গল্পটির মধ্যে সমাজবাস্তবতার বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়েছে। আমি মূল গল্পটি পূরবী বসুর “পাঁচের ভেতর এক” গল্প থেকে নিয়েছি। আমাদের জন্য সুখবর, গল্পটি মুম্বাই ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে দেখানো হবে। আর এবারই প্রথমবার উৎসবটি বাংলাদেশের সিনেমাগুলোও ওপর ফোকাসড করেছে। সেখানে ১১টি গল্প দেখানো হবে। দীর্ঘ অপেক্ষার পর আমাদের সিনেমা মুম্বাইতে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিভাগে দেখাচ্ছে। এটা আমাদের জন্য জন্য অবশ্যই খুশির।’
ভারতের এ উৎসবে ৩০টি দেশের ৮০০ মতো সিনেমা প্রদর্শিত হবে। উৎসবের অফিশিয়াল একটি সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এবার আলাদা একটি বিভাগ তৈরি করা হয়েছে, যেখানে প্রদর্শন করা হবে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতাকে প্রাধান্য দেওয়া সিনেমাগুলোকে। মুম্বাইয়ের এ উৎসব শুরু হবে ২৯ মে, চলবে আগামী ৪ জুন পর্যন্ত। তথ্যচিত্র, শর্টফিকশন ও অ্যানিমেশনের জন্য উৎসবটি সাউথ এশিয়ার মধ্যে উল্লেখযোগ্য।