পূর্বায়ন চ্যাটার্জি। বয়স ৩৭। এরই মধ্যে সেতার বাজিয়ে বেশ নাম করেছেন। তিনি একক পরিবেশনাই বেশি করেন। তিনি শাস্ত্রীয় সিন্ডিকেট ও স্ট্রিং স্ট্রাকের সদস্য। সেতার বাজানোর পাশাপাশি তিনি আবার কণ্ঠশিল্পী। ফিউশন শিল্পী হিসেবে তাঁর খ্যাতি রয়েছে। বেঙ্গল উচ্চাঙ্গসংগীত উৎসবে এসেছিলেন ভারতের এই শিল্পী। তখন কথা হয় তাঁর সঙ্গে।
বেঙ্গল উচ্চাঙ্গসংগীত উৎসবে আসার পর...
এটা আমার কাছে নতুন কিছু নয়। গত বছরও এ উৎসবে এসেছিলাম আমি। তবে এবার উৎসবটি আরও অনেক গোছালো মনে হয়েছে। আর একটি কথা না বললেই নয়—এত লোক একসঙ্গে বসে উচ্চাঙ্গসংগীত শুনেছেন, এটা কিন্তু বিরাট ব্যাপার। বিশেষত শাস্ত্রীয় সংগীতের প্রতি তরুণদের আগ্রহ তৈরি হয়েছে—এ উৎসব উপলক্ষে বাংলাদেশে না এলে আমি তা বুঝতে পারতাম না।
বিশেষ নতুনত্ব...
এ উৎসবের একটি নতুনত্ব হলো—অনলাইনের মাধ্যমে বিনা মূল্যে নিবন্ধনের ব্যবস্থা। এর ফলে উচ্চাঙ্গসংগীতের প্রতি কারা আগ্রহী, কারা এ ধারার সংগীত ভালোবাসেন, সেটা নথিবদ্ধ অবস্থায় থাকছে। অনেক পরেও এটি পাওয়া যাবে। এটি আমার কাছে একটি নতুন ব্যাপার বলে মনে হয়েছে। পৃথিবীর আর কোনো দেশে সংগীতের ক্ষেত্রে এমন ব্যবস্থা আছে কি না, আমি জানি না।
ফিউশন...
আমরা এখন উন্মুক্ত এক বিশ্বের বাসিন্দা। এখন আমাদের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মতো ‘দিব আর নিব, মিলিবে মিলিব’—এভাবে সবকিছু মেলাতে হবে। আমার মতে, ফিউশন খারাপ কিছু নয়। রবীন্দ্রনাথ নিজেও ফিউশন করেছেন। উচ্চাঙ্গসংগীত যদি আজকের তরুণকে শোনাতে হয়, তবে বর্তমান বাস্তবতায় যুগের উপযোগী করেই শোনাতে হবে। জানালা-দরজা বন্ধ করে ঘরে আবদ্ধ থাকলে কিছু হবে না।
আমার কিছু কথা...
আমার মনে হয়, শিল্প, সে গানই হোক কিংবা অন্য কোনো বিষয়ই হোক, প্রতিটি শিল্পের উৎকর্ষের জন্য প্রয়োজন উৎসাহ। বাংলাদেশে বেঙ্গল ফাউন্ডেশন সেই কাজটি করছে। ভারতের সংগীত রিসার্চ একাডেমি এগিয়ে এসেছে, এগুলো অবশ্যই শুভ লক্ষণ। এখান থেকে আশা পাই যে আমাদের সংগীত এগিয়ে চলেছে, চলবে।
সাক্ষাৎকার নিয়েছেন: আলতাফ শাহনেওয়াজ
ছবি তুলেছেন খালেদ সরকার