'বিনয়ী কিন্তু প্রতিবাদী কবি আসাদ চৌধুরী'
সম্মাননাপ্রাপ্তির অনুভূতি জানাতে গিয়ে আসাদ চৌধুরী বলেন, ‘বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের একটি উদ্ধৃতি খুব মনে পড়ছে। সেটি হলো ‘‘আমাদের আমাদিগের আত্মপরিচয় দেওয়ার রেওয়াজ নেই”। সেই কথার সূত্র ধরেই এই সম্মাননাপ্রাপ্তি আমার জন্য বিব্রতকর।’
রোববার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজনে কবি আসাদ চৌধুরীকে সম্মাননা প্রদান করল সাংস্কৃতিক সংগঠন ঘাসফুল। পরিবাগের সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্রের খোলা মঞ্চে আয়োজিত অনুষ্ঠানে কবি, সাহিত্যিক ও ভক্তদের ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হন কবি।
প্রতিবছর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে গুণীজন সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে ঘাসফুল। সেই ধারাবাহিকতায় ৭ম বর্ষপূর্তিতে কবিতার আড্ডা, কথায় কবিতায় কবি আসাদ চৌধুরীকে সম্মাননা শীর্ষক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হকের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন কবি হাবিবুল্লাহ সিরাজী, স্বাগত বক্তব্য দেন ঘাসফুলের উপদেষ্টা আতা সরকার। ‘বিনয়ী কিন্তু প্রতিবাদী কবি আসাদ চৌধুরী’ কবি জীবনের মূল্যায়নধর্মী প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জুনান নাশিত।
প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে কবি আসাদ চৌধুরী বলেন, ‘সাহিত্যে আমি যদি ভালো কোনো কাজ করে থাকি সেটার মাধ্যমেই পাঠকের সঙ্গে আমার সম্পর্ক হয়েছে। মন্দ কিছু হলে তারা আমাকে মার্জনা করবেন। তবে ভালো লাগছে এ জন্য যে, আমি যাদের পছন্দ করি এমন অনেক মানুষ আমাকে ভালোবাসা জানাতে আজকে এখানে উপস্থিত। লেখকদের বাইরেও শিল্পীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের সঙ্গে আমার সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। দেশের দুর্যোগময় মুহূর্তে নন্দনচর্চার সঙ্গে যুক্ত হয়ে সমাজকে যারা উপকৃত করছেন তাদের মূল্যায়ন করা হলে মানবিক ও অসাম্প্রদায়িক সমাজ গঠনের কাজ ত্বরান্বিত হবে।’
অনুষ্ঠানে আসাদ চৌধুরীর কবিতা আবৃত্তি করেন রাবিয়া সুলতানা ও ফেরদৌস আরা কবিতা।