দেশে শিশুতোষ চলচ্চিত্র উপেক্ষিত

>আজ শুরু হচ্ছে দশম আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসব। আয়োজন করেছে চিলড্রেনস ফিল্ম সোসাইটি বাংলাদেশ। উৎসব ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে কথা হলো সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মুনিরা মোরশেদ–এর সঙ্গে।

শিশুদের জন্য আলাদা চলচ্চিত্র উৎসবের প্রয়োজন কী?

ইউনিসেফের ফটোগ্রাফি করার সময় দেখলাম, বাচ্চারা মিনা কার্টুন দেখেই আনন্দ পাচ্ছে। তখন ভাবলাম, বিশ্বে এত মজার মজার সিনেমা আছে, ওরা এগুলোর স্বাদই পায় না। আর প্রতিটি ছবির মধ্যেই তো একটা ম্যাসেজ থাকে, যা মানবতা, দায়িত্ববোধ, অন্য ধর্মের প্রতি সহিষ্ণুতা ও ভিন্ন সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধাবোধ শেখায়। এই শিক্ষাগুলো তো ছোটবেলা থেকেই পাওয়া দরকার। সেই চিন্তা থেকে এই উৎসবের শুরু করা।

মুনিরা মোরশেদ
মুনিরা মোরশেদ

উৎসবটির বিশেষ দিক কী আছে?
আসলে আমাদের উৎসবটির একটি বিশেষ দিক হলো শিশুদের বানানো ছবির একটি প্রতিযোগিতা। সেখানে ওদের বিষয়গুলো ওরা নিজেদের চোখে যেভাবে দেখে, সেভাবে সুন্দর করে ছবিতে নিয়ে আসে। যেমন একটি ছবির বিষয় ছিল—এ প্লাস কি পেতেই হবে?
ছবি বাছাইয়ের প্রক্রিয়া কেমন ছিল?
ছবি বাছাইয়ের ক্ষেত্রে যাতে আমাদের সমাজ-সংস্কৃতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক না হয়, সেদিকে লক্ষ রেখেছি। বাচ্চাদের চাহিদার সঙ্গে মিলিয়ে আমরা ছবিগুলো বাছাই করেছি। আমাদের একটা লক্ষ্য ছিল, যেন শিশুদের চিন্তাশক্তি বাড়ে—এমন সব ছবি বাছাই করা।
এবারের উৎসবে কোনো বিশেষ বিষয়কে গুরুত্ব দিয়েছেন?
আমাদের একটি বিভাগ রয়েছে, যেখানে ১৯ থেকে ২৫ বছরের নির্মাতারা অংশগ্রহণ করেন। গত বছর এই বিভাগের বিষয় ছিল ‘বাল্যবিবাহ’। এ বছর বিষয় নির্ধারণ করা হয়েছে ‘আবহাওয়া পরিবর্তন’।
বাংলাদেশে শিশু চলচ্চিত্র নিয়ে কী ভাবনা?
শিশুদের চলচ্চিত্র এখনো আমাদের দেশে উপেক্ষিত। নির্মাতা থেকে শুরু করে সমাজের সবাই মনে করেন, এটা কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজ নয়। আমরা প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছিলাম এবং তখন থেকে অনুদানের চলচ্চিত্রে একটা করে শিশু চলচ্চিত্র বানানোর বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
উৎসব আয়োজনে কী কী প্রতিবন্ধকতা দেখছেন?
অর্থনৈতিকভাবে এখনো সহযোগিতা তেমন পাচ্ছি না। অনেক প্রতিষ্ঠানই এগিয়ে এসে শেষ দিকে ‘না’ করে দিয়েছে। তবে অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) সহযোগিতায় শিগগিরই দেশজুড়ে জেলাগুলোতে গত উৎসবগুলোতে প্রদর্শিত ভালো সিনেমাগুলো দেখানোর একটি কার্যক্রম শুরু হবে।
সাক্ষাৎকার: শরীফ নাসরুল্লাহ