'অনন্য' সিঁথি

শুদ্ধ রবীন্দ্রসংগীত চর্চার ধারা অব্যাহত রাখতে কাজ করে যাচ্ছে জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ। প্রতি বছর সাংগঠনিক সম্মেলনে শুদ্ধ রবীন্দ্রসংগীতের প্রতিযোগিতা করে আসছে তারা। এ বছর ৩৬তম সম্মেলনের প্রতিযোগিতার কিশোর বিভাগে সর্বোচ্চ নম্বর ‘অনন্য মান’ পেয়েছে ময়মনসিংহের সিঁথি সরকার। শিশুশিল্পী সিঁথি জানাল, ভবিষ্যতে গান নিয়েই পড়তে চায় সে।
আজ রোববার কেন্দ্রীয় গণগ্রন্থাগারের শওকত ওসমান মিলনায়তনে ছিল রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদের তিন দিনের সম্মেলনের শেষ দিন। সমাপনী সন্ধ্যার সাংস্কৃতিক আয়োজনে প্রতিষ্ঠিত শিল্পীদের সঙ্গে রবীন্দ্রসংগীত পরিবেশন করে সিঁথি সরকার। সমান গুরুত্ব দিয়ে পড়ালেখা ও গান চালিয়ে যেতে চায় সে। মা মুক্তি রাণী গুহ ও বাবা বিজয় কুমার সরকার দুজনেই গান করেন। তাঁদের কাছ থেকেই গানের অনুপ্রেরণা পেয়েছে সিঁথি। গান শিখেছে অরিন্দম ভট্টাচার্য এবং আশিক সরকার তুষারের কাছে।

মা-বাবার সঙ্গে সিঁথি
মা-বাবার সঙ্গে সিঁথি

মঞ্চে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘মোদের যেমন খেলা তেমনই যে কাজ’ গানটি গেয়েও প্রশংসিত হয়েছে ময়মনসিংহের বিদ্যাময়ী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী সিঁথি। নিজ জেলায় বিজয়ী হয়ে কেন্দ্রীয় প্রতিযোগিতায় সবাইকে ছাড়িয়ে অনন্য মান অর্জন করে সে। প্রায় চার বছর পর কাউকে অনন্য মান দিতে পেরে সন্তুষ্ট রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদ। এ বছরের প্রতিযোগিতায় কিশোর বিভাগে প্রথম মান পেয়েছে একুশ জন, দ্বিতীয় মান চব্বিশ ও সাধারণ মান পেয়েছে তিনজন প্রতিযোগী। অন্যদিকে সাধারণ বিভাগে প্রথম মান পেয়েছে দশ জন এবং দ্বিতীয় মান পেয়েছে পঁচিশ জন। সংগঠনের নতুন সাধারণ সম্পাদক শিল্পী বুলবুল ইসলাম বলেন, ‘অনেক সংগঠন তাঁদের শিল্পীদের অনেকভাবে মূল্যায়ন করে। গাড়ি-বাড়ি করে দেয়, নগদ টাকা-পয়সা দেয়। এসব আমরা করব না, কেউ করুক সেটাও আমরা চাইব না। আমরা শুধু তাকে পথ দেখাচ্ছি যে, তার ভেতরে সম্ভাবনা আছে। সঠিক পথে চলে এই সম্ভাবনাটিকে কাজে লাগাও।’