নেটফ্লিক্স: দুই বিচারক দুই দিকে

উৎসবের প্রথম দিন উদ্বোধনী ছবির প্রদর্শনীর লালগালিচা পর্বে হলিউডের তারকা ও বিচারক উইল স্মিথ হাসছেন কালো চশমা পরা স্প্যানিশ নির্মাতা ও বিচারকদের প্রধান পেদ্রো আলমোদোভারের দিকে তাকিয়ে l ছবি: এএফপি
উৎসবের প্রথম দিন উদ্বোধনী ছবির প্রদর্শনীর লালগালিচা পর্বে হলিউডের তারকা ও বিচারক উইল স্মিথ হাসছেন কালো চশমা পরা স্প্যানিশ নির্মাতা ও বিচারকদের প্রধান পেদ্রো আলমোদোভারের দিকে তাকিয়ে l ছবি: এএফপি

সিনেমা দেখা হবে কোথায়? প্রশ্নটি শুনে কেউ হয়তো বলবেন, সিনেমা তো সিনেমা হলেই দেখার জিনিস। কিন্তু এখন টেলিভিশন, ল্যাপটপ, ইউটিউব, ট্যাবেও সিনেমা দেখেন অনেক মানুষ। এ রকম এক সময়ে সিনেমা দেখার মাধ্যম ভবিষ্যতে কী হবে, তা নিয়ে বিশ্বের চলচ্চিত্রজনদের মধ্যে আছে মতদ্বৈধতা।
তারই একঝলক দেখা গেল গত বুধবার শুরু হওয়া ৭০তম কান চলচ্চিত্র উৎসবে। এবারের উৎসবে প্রথমবারের মতো নেটফ্লিক্সের দুটি ছবি স্থান পেয়েছে প্রতিযোগিতা বিভাগে। ছবিগুলো হলো বং জুন-হুর ওকজা ও নোয়াহ বোমবাকের দ্য মায়োরিদজ স্টোরিজ (নিউ অ্যান্ড সিলেক্টেড)। এ বিভাগের সেরা ছবিটিই পাবে পাম দ’র পুরস্কার। কান কর্তৃপক্ষ চায়, জমা পড়া ছবিগুলো প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি দেওয়া হবে। কিন্তু নেটফ্লিক্স তাদের ছবি বড় পর্দায় দেখাবে না। এই ওয়েব পোর্টালে অর্থের বিনিময়ে অনলাইনে সিনেমা দেখা যায়।
কান কর্তৃপক্ষও জানিয়ে দিয়েছে, আগামী বছর থেকে প্রতিযোগিতা বিভাগে ছবি জমা দিতে হলে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি দিতেই হবে। তবে আজ ও আগামী পরশু কানের গ্র্যান্ড থিয়েটার লুমিয়েরে ছবিগুলো দেখানো হবে।
উৎসবের প্রথম দিনে প্রতিযোগিতা বিভাগের দুই বিচারক এ নিয়ে দুই রকম মত দিলেন। উৎসবের উদ্বোধনী সংবাদ সম্মেলনে জুরিবোর্ডের প্রধান পেদ্রো আলমোদোভার বললেন, ছবি যদি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি না-ই দেওয়া হয়, তাহলে সেটা পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবে কেন? তবে এ–ও বললেন, তার মানে এই নয়, তিনি খোলা মনের নন বা নতুন প্রযুক্তি–সম্ভাবনাকে স্বাগত জানাতে পারছেন না। কিন্তু যত দিন বেঁচে আছেন, তত দিন বড় পর্দার পক্ষেই বলবেন। কারণ, বড় পর্দায় সিনেমার যে সম্মোহনী রূপ ধরা পড়ে, ছোট পর্দায় পড়ে না।
কিন্তু আরেক বিচারক হলিউড তারকা উইল স্মিথ দ্বিমত জানালেন। নেটফ্লিক্সে তাঁরও একটি ছবি আছে। তিনি বলেন, প্রেক্ষাগৃহে ও নেটফ্লিক্সে ছবি দেখার মধ্যে বিরোধ তেমন নেই। বরং নেটফ্লিক্সের কারণেই তাঁর ছেলেমেয়েরা এমন সব ছবি দেখে, অন্যভাবে যেগুলো দেখার উপায় নেই। বিশ্ব চলচ্চিত্রের বোধ বাড়াতে এটি সাহায্য করছে। সূত্র: বিবিসি