১৯৮০-এর দশকে বলিউড

২০১৩ সালে ১০০ বছর পূর্তি হয়েছিল বলিউডের। শতবর্ষ উপলক্ষে বলিউডের ক্লাসিক ছবি ও খুঁটিনাটি বিষয় ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরা হচ্ছে কয়েকটি পর্বে। আজ পঞ্চম পর্ব

উমরাওজান ছবিতে রেখা
উমরাওজান ছবিতে রেখা

অমিতাভ বলিউডে ব্যাপক জনপ্রিয় ছিলেন এ দশকেও। তবে এরই মধ্যে অন্যরাও ভালো কিছু ছবি উপহার দেন। যেমন:
আক্রোশ ( ১৯৮০): নির্মাণশৈলী ও অভিনয়ের কারণে গোবিন্দ নিহালিনী পরিচালিত বলিউডের অন্যতম সেরা ছবি এটি। ছবিতে নাসিরউদ্দিন শাহ, স্মিতা পাতিল, ওমপুরী, অমরেশ পুরী সবাই দুর্দান্ত অভিনয় করেছেন। সেরা পরিচালক, সেরা অভিনেতা (নাসিরউদ্দিন শাহ), সেরা পার্শ্ব অভিনেতাসহ (ওমপুরী) ফিল্মফেয়ারে ছয়টি পুরস্কার পায় ছবিটি।
উমরাও জান (১৯৮১): মোজাফফর আলী পরিচালিত এ ক্লাসিক ছবিটি সত্য কাহিনি অবলম্বনে নির্মিত। উনিশ শতকে ভারতে উমরাও নামে এক নারী শিল্পীর আবির্ভাব হয়, যিনি খুব সুন্দর গান লিখতে পারতেন, যার শ্রুতিমধুর কণ্ঠ ছিল, এ ছাড়া যিনি কত্থক নাচেও পারদর্শী ছিলেন। কিন্তু এর পরও কারও সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠেনি তাঁর। ট্র্যাজিক এ ছবির মূল চরিত্রে অভিনয় করে জাতীয় পুরস্কার পান রেখা।
মাসুম (১৯৮৩): শেখর কাপুর পরিচালিত বলিউডের অন্যতম হূদয়গ্রাহী ছবি। একটি পরিবারের সংকটময় সময়ের কাহিনি, যা দর্শকের মনে গভীর দাগ কাটে। ছবিটি ফিল্মফেয়ারে সেরা ছবি (সমালোচক), সেরা অভিনেতা (নাসিরউদ্দিন শাহ), সেরা মিউজিক ডিরেক্টরসহ (আর ডি বর্মন) পাঁচটি পুরস্কার পায়।
সাদমা (১৯৮৩): বালু মাহেন্দ্রা পরিচালিত বলিউডের অন্যতম সেরা ছবি। এক তরুণী দুর্ঘটনার পর তার স্মৃতি হারিয়ে ছোট্ট শিশুর মতো আচরণ করে। পরে তাকে পতিতালয় থেকে উদ্ধার করে এক যুবক। কমল হাসান ও শ্রীদেবী ছবিতে অসাধারণ অভিনয় করেছেন।
অর্ধ সত্য (১৯৮৩): গোবিন্দ নিহালিনীর নিউ ওয়েভ সিনেমা ঘরানার এ ছবি ব্যবসায়িক সাফল্যও পায়। স্পর্শ (১৯৮৪), মিস্টার ইন্ডিয়া (১৯৮৭), সালাম বোম্বে (১৯৮৮): মীরা নায়ারের এ ছবি মুম্বাইয়ের রাস্তায় জীবন যাপন করা শিশুদের নিয়ে। সেরা ছবি হিসেবে জাতীয় পুরস্কার পায় এটি। এ ছাড়া দ্বিতীয় ভারতীয় ছবি হিসেবে অস্কারে বিদেশি ভাষা ক্যাটাগরিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। কেয়ামত সে কেয়ামত তাক (১৯৮৮): মনসুর খান পরিচালিত ট্র্যাজিক, রোমান্টিক ছবিতে অভিষেক হয় আমির খান ও জুহি চাওলার। সেরা পরিচালকসহ ফিল্মফেয়ারে ছয়টি পুরস্কার পায় ছবিটি। পারিন্দা (১৯৮৯): বিধু বিনোধ চোপড়া পরিচালিত ছবিটিকে অনেকেই ভারতের রিয়েলিস্টিক ছবির টার্নিং পয়েন্ট বিবেচনা করেন। এ ছাড়া কুরবানি (১৯৮০), ক্রান্তি (১৯৮১), লাওয়ারিশ (১৯৮১), চক্র (১৯৮১), আর্থ (১৯৮২), জানে ভি দো ইয়ারো (১৯৮২), নিকাহ (১৯৮২), আঙ্গুর (১৯৮২) বাজার (১৯৮২), শক্তি (১৯৮২), মান্ডি (১৯৮৩), পার (১৯৮৪), পুষ্পক (১৯৮৭), এক দিন আচানাক (১৯৮৯), ম্যায়নে পেয়ার কিয়া (১৯৮৯) আশির দশকের অন্যতম আলোচিত ছবি।

বলিউড টুকিটাকি
 প্রথম ভারতীয় হিসেবে ভানু আথাইয়া ১৯৮২ তে গান্ধী ছবির জন্য সেরা কস্টিউমের জন্য অস্কার পান।
 লাইভটাইম অ্যাচিভমেন্টের জন্য ১৯৯২-এ অনারারি অস্কার পান সত্যজিৎ রায়।
তথ্যসূত্র: কালচারোপিডিয়া ডট কম, ক্রিয়েটিভ ডট সুলেখা ডট কম, উইকিপিডিয়া, আইএমডিবি, জি নিউজ ডট ইন্ডিয়া ডট কম
 আহমেদ শরীফ