গর্বিত রুনা লায়লা

যুক্তরাষ্ট্রের বারিনো ইনস্টিটিউট থেকে অর্জিত রুনা লায়লা সম্মাননা ও সনদ
যুক্তরাষ্ট্রের বারিনো ইনস্টিটিউট থেকে অর্জিত রুনা লায়লা সম্মাননা ও সনদ

‘ইন্সপায়ারিং উইমেন ক্রিয়েটিভিটি এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ ইন দ্য গ্লোবাল ইকোসিস্টেম’ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার পাশাপাশি সম্মাননাও গ্রহণ করেছেন রুনা লায়লা। উপমহাদেশের প্রখ্যাত এই শিল্পীকে বাংলাদেশ, উপমহাদেশ ও বিশ্ব সংগীতে অবদান এবং সাংস্কৃতিক কার্যক্রম ও নারী উন্নয়নে ভূমিকা রাখার জন্য এই সম্মাননা দেওয়া হয়।

স্থানীয় সময় গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের ইউনাইটেড নেশনস প্লাজায় একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে রুনা লায়লার হাতে এই সম্মাননা তুলে দেওয়া হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের বারিনো ইনস্টিটিউট থেকে অর্জিত এই সম্মাননা পেয়ে গর্বিত রুনা লায়লা। আজ শনিবার সকালে প্রথম আলোকে তিনি বলেন, ‘অসাধারণ অনুভূতি। এটা আমার, একই সঙ্গে দেশেরও সম্মান।’

৫০ বছরের বেশি সময়ের সংগীতজীবনে বহু হৃদয়গ্রাহী গান উপহার দিয়েছেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত কণ্ঠশিল্পী রুনা লায়লা। এ জন্য দেশ-বিদেশ থেকে অনেক সম্মাননা পেয়েছেন তিনি। এবার পেলেন এই পুরস্কার।

রুনা লায়লা বলেন, ‘আমি আগেও বলেছি, অর্জিত যেকোনো সম্মাননা আমার কাছে আলাদা গুরুত্ব বহন করে। এবারেরটা আরও বেশি সম্মানের। কারণ, এটি পেয়েছি ইউনাইটেড নেশনস থেকে। বাংলাদেশি হিসেবে আমার ভীষণ গর্ববোধ হচ্ছে। আর আমার সংগীতের মানুষদের জন্য এই ধরনের অর্জন আরও বেশি আনন্দের বলে মনে করছি।’

গানের মানুষ রুনা লায়লা সার্কের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে কাজ করছেন। গানের মাধ্যমে তিনি সমাজের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন বলেও জানান। রুনা লায়লা বলেন, ‘ইউনাইটেড নেশনস প্লাজায় আমাকে যে সম্মাননা দেওয়া হয়েছে, তা বিশ্ব প্রেক্ষাপট বিবেচনায় করে। আমি বিশেষ শিশুদের নিয়ে কাজ করেছি, গানও গেয়েছি। সমাজের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত—এমন অনেক সংগঠনের সঙ্গেও যুক্ত। গানের বাইরে যতটা সময় পাই তা দিয়ে সমাজের মানুষের জন্য কিছু করার চেষ্টাও করি। ভবিষ্যতে আরও করব।’