নিবন্ধনের জন্য শিল্পকলায় যাত্রানুষ্ঠান

বৈকালী অপেরার মা মাটি মানুষ পালার দৃশ্য
বৈকালী অপেরার মা মাটি মানুষ পালার দৃশ্য

নিবন্ধনের জন্য তৃতীয়বারের মতো যাত্রা উৎসব হতে যাচ্ছে শিল্পকলা একাডেমীতে। ২০১২ সালের জুনে যাত্রাশিল্পের স্থায়ী নীতিমালা পাসের পর যাত্রা দলকে শিল্পকলা একাডেমী থেকে নিবন্ধন নিতে হচ্ছে। আর এই নিবন্ধন দেওয়া হচ্ছে দলের পক্ষে একটি করে পালা প্রদর্শনের পর।
আজ থেকে (বৃহস্পতিবার) তিন দিনের উৎসবে ১২টি দল অংশগ্রহণ করবে। মাইকেল মধুসূদন, বেদকন্যা, লাইলী মজনু, কমলার বনবাস, রাখালবন্ধু, দস্যু রানী ফুলন দেবী, গুনাই বিবি, মানবী দেবী, বাহরাম বাদশাহ-এর মতো দর্শকপ্রিয় পালাগুলো দেখতে পাবেন ঢাকার দর্শক। একাডেমীর পরীক্ষণ থিয়েটার হলে প্রতিদিন বিকেল থেকে যাত্রাপালা শুরু হবে।
একাডেমীর নাট্যকলা বিভাগ থেকে জানা গেছে, নিবন্ধনের জন্য প্রদর্শিত পালার সময়সীমা হবে এক ঘণ্টা। প্রতিটি দলকে দেওয়া হবে ২০ হাজার টাকা। এর আগে দুটি উৎসবে ১৬টি দল অংশগ্রহণ করে। যাচাই-বাছাই শেষে ১৩টি দলকে নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে। বাকি তিনটি দল সন্তোষজনক পালা অনুষ্ঠান করেও আইনি জটিলতায় আটকে গেছে। নিবন্ধন না পাওয়া তিনটি দল হচ্ছে বৈকালী অপেরা, চৈত্রালী অপেরা ও নিউ ভোলানাথ অপেরা।
এ মৌসুমের বড় বাজেটের ছিল নিবন্ধনবঞ্চিত এই তিনটি দল। যাত্রাশিল্প আবহমান বাংলার একটি ঐতিহ্যবাহী বিনোদনমাধ্যম। নানা কারণে যাত্রাশিল্প সংকটের মধ্যে রয়েছে। আর এর হারানো ঐতিহ্য পুনরুদ্ধারে যে তিনটি দল প্রাণান্ত চেষ্টা করে যাচ্ছে, সেই ঐতিহাসিক তিনটি দলেরই নিবন্ধন জটিলতায় আগামী মৌসুম অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। আইন অনুযায়ী নিবন্ধিত দল ছাড়া অন্য কোনো দলের আর গান গাওয়ার অধিকার থাকছে না। এদিকে নিবন্ধন নিতে ২০ হাজার টাকা পাওয়া যায় এমন আশায় অনেক অস্বচ্ছ ব্যক্তিও নিবন্ধনের জন্য আবেদন জানাচ্ছেন। প্রকৃত যাত্রা পেশাদারেরা বলছেন, দল গঠন করতে মালিকদের নিবন্ধন নিতে হবে নিজ গরজে, প্রয়োজনের তাগিদে। এর জন্য শিল্পকলা ২০ হাজার করে টাকা না দিয়ে সেই টাকাগুলো যাত্রার উন্নয়নে ব্যয় করতে পারত। তাতে শিল্পের কল্যাণ হতো।