হাসপাতালে কঙ্গনা রনৌত

কঙ্গনা রনৌত
কঙ্গনা রনৌত

‘মনিকর্নিকা: দ্য কুইন অব ঝাঁসি’ ছবির সেটে আহত হয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রনৌত। এই সিনেমায় তিনি ঝাঁসির রানির চরিত্রে অভিনয় করছেন। তলোয়ার যুদ্ধের একটি দৃশ্য করতে গিয়ে কপাল কেটে গেছে কঙ্গনার। শুটিং চলছিল ভারতের হায়দরাবাদের ফিল্ম সিটিতে। দুর্ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গে ‘কুইন’ অভিনেত্রীকে সেখানকার অ্যাপোলো হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমকে জানান, কঙ্গনার কপালে ১৫টি সেলাই দিতে হয়েছে। আরেকটু হলে ক্ষত হাড় পর্যন্ত পৌঁছে যেত।

সূত্র জানায়, কঙ্গনা ও তাঁর সহশিল্পী নিহার পান্ডে তলোয়ার দিয়ে লড়াইয়ের একটি দৃশ্যের শুটিং করছিলেন। একটি দৃশ্যে কঙ্গনার হার মানার কথা ছিল। কিন্তু সময়ের এদিক-ওদিক হওয়ার কারণে নিহারের তলোয়ার গিয়ে লাগে কঙ্গনার দুই ভ্রুর মাঝখানে। নায়িকার কপাল থেকে অনবরত রক্তপাত হতে থাকলে নিহার ভয় পেয়ে যান ও বারবার ক্ষমা চাইতে থাকেন। কিন্তু কঙ্গনা আঘাত পাওয়া সত্ত্বেও সে সময় যথেষ্ট শক্ত ছিলেন বলে জানা যায়। নিহারকে নাকি তিনি এই বলে আশ্বস্ত করেন, ভয় পাওয়ার কিছু নেই। ক্ষত স্থানে সেলাই দেওয়ার পর এই অভিনেত্রী এখন সেই হাসপাতালের আইসিসিইউতে ভর্তি আছেন। চিকিৎসকের পর্যবেক্ষণে থাকার জন্য তাঁকে আরও কিছুদিন হাসপাতালে থাকতে হবে।

তবে, ‘মনিকর্নিকা: দ্য কুইন অব ঝাঁসি’তে কপালের এই দাগ রাখতে চান কঙ্গনা। ঝাঁসির রানি যেহেতু একজন যোদ্ধা ছিলেন, তাই কপালে এই আঘাতের চিহ্ন সিনেমায় মেকআপ দিয়ে ঢাকতে চান না জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়া এ অভিনেত্রী। আর এই ছবি শুরুর আগেই কঙ্গনা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন অ্যাকশন দৃশ্যে কোনো ডামি ব্যবহার না করে তিনি নিজেই অভিনয় করবেন। এ জন্য তিনি অভিজ্ঞ প্রশিক্ষকের কাছ থেকে তলোয়ার চালনার ওপর প্রশিক্ষণও নিয়েছিলেন। কঙ্গনার সেই সিদ্ধান্তই কি তাঁর জন্য কাল হলো? মনে হয় না। কারণ, কঙ্গনা চ্যালেঞ্জ নিতে ভালোবাসেন। এ ঘটনাতেও তাঁর সিদ্ধান্ত পাল্টাচ্ছে না। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।