চাপমুক্ত থাকার উপায় শুনলেন সিইওরা

কোনো কোম্পানির সিইও মানেই প্রচণ্ড ব্যস্ততা। নাশতার টেবিলে হয়তো পরিবারের সঙ্গে সাময়িক দেখা। তারপর শুরু হয়ে যায় দিনের ব্যস্ততা। হাজারটা ফোন, মিটিং, কনফারেন্স—সব মিলিয়ে গভীর রাতে বাড়ি ফেরা। না নিজেকে সময় দেওয়া যায়, না পরিবারকে। সিইওদের সঙ্গে ‘চাপ’ শব্দটি যেন অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িয়ে আছে।

সম্প্রতি ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানী মুম্বাইয়ের তাজ ল্যান্ডস অ্যান্ড হোটেলে ‘সিইও অ্যাওয়ার্ডস ২০১৭’ অনুষ্ঠিত হয়। এদিন সাড়ম্বরে সেরা ১০ সিইওকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। এই মঞ্চে বাংলাদেশের ট্রান্সকম গ্রুপের চেয়ারম্যান লতিফুর রহমানকে এই বছরের ‘সার্ক আউটস্ট্যান্ডিং লিডার’-এর সম্মাননা তুলে দেওয়া হয়। বিভিন্ন পেশার চার ব্যক্তিত্বকে নিয়ে এদিন এক অভিনব আড্ডার আয়োজন করা হয়। এই চার ব্যক্তিত্ব হলেন তারকা শেফ সঞ্জীব কাপুর, মডেল-অভিনেত্রী ইয়াসমিন, প্রখ্যাত চিকিৎসক মুফফাজল লকড়াওয়ালা ও চিত্রগ্রাহক-নির্মাতা অতুল কাসবেকর। এই চার ব্যক্তি এদিন কোম্পানির সিইওদের চাপমুক্ত থাকার নানান উপায় বাতলে দেন।

শেফ সঞ্জীব কাপুর বলেন, ‘আমি সাপ্তাহিক ছুটি পরিবারের সঙ্গে সব সময় কাটাই। এতে চাপমুক্ত থাকা যায়। তাই সিইওদের উচিত পরিবারকে সময় দেওয়া। আর রান্নার কাজ করার মাধ্যমে বেশ হালকা থাকা যায়। সিইওরা মাঝে মাঝে প্রিয়জনদের নিজের হাতে কিছু বানিয়ে খাওয়াতে পারেন।’

সিইওদের উদ্দেশে ইয়াসমিন বলেন, ‘নিজেকে ফিট রাখতে শরীরচর্চা করা খুব জরুরি। এ ক্ষেত্রে বয়স কোনো বাধাই নয়। আমার বাবা ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়া সত্ত্বেও ৬০ বছর বয়সে নিয়মিত জিমনেশিয়ামে যেতেন। প্রতিদিন ১৫ কিলোমিটার হাঁটতেন।’

মুফফাজল লকড়াওয়ালা মনে করেন, সংগীতই সব থেকে বেশি চাপমুক্ত থাকতে সাহায্য করে। তিনি বলেন, ‘আমি অপারেশনের সময়ও আইপ্যাডে মিউজিক চালিয়ে দিই। কখনো নিজের পছন্দের, আবার কখনো বা রোগীর পছন্দের মিউজিক। তাই সিইওরা ভালো গান শুনতে পারেন।’

চাপমুক্ত থাকার এক অভিনব উপায় দেন চিত্রগ্রাহক ও চিত্রনির্মাতা অতুল কাসবেকর। তিনি বলেন, ‘সমুদ্রতটে বালুর ওপর খালি পায়ে হাঁটুন। নিজেকে সময় দিন। পাশাপাশি অবশ্যই নিজের পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান।’