সীমার মাঝে অসীম তুমি...

গতকাল সন্ধ্যায় টিআইসিতে গান করেন রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী সংস্থা সদস্যরা l প্রথম আলো
গতকাল সন্ধ্যায় টিআইসিতে গান করেন রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী সংস্থা সদস্যরা l প্রথম আলো

রবীন্দ্র সুর ছড়াল মুগ্ধতা। শিল্পীদের কণ্ঠে একে একে ২৪টি গান। সুরের খেয়ায় ভাসলেন শ্রোতারাও। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় নগরের থিয়েটার ইনস্টিটিউট চট্টগ্রাম (টিআইসি) মিলনায়তনে বসে এই আসর। গান ও কথামালায় স্মরণ করা হয় কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে।

‘সীমার মাঝে অসীম তুমি/বাজাও আপন সুর’ শিরোনামে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশ রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী সংস্থা চট্টগ্রাম বিভাগীয় শাখা। অনুষ্ঠানটি উৎসর্গ করা হয় প্রয়াত ওস্তাদ মিহির নন্দীকে।

সন্ধ্যা সাতটায় মঙ্গলপ্রদীপ জ্বেলে শুরু হয় অনুষ্ঠান। এরপর আয়েশা হকের সঞ্চালনায় মঞ্চে আয়োজনের উদ্বোধন ঘোষণা করেন নাট্যজন মনোজ সেনগুপ্ত। এরপর আনোয়ারা আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ বেতারের চট্টগ্রাম কেন্দ্রের আঞ্চলিক পরিচালক আবুল হোসেন। প্রধান আলোচক ছিলেন ওস্তাদ আজিজুল ইসলাম। স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক লাকী দাশ।

বক্তারা বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথ আমাদের অহংকার, গর্ব, প্রেম ও ভালোবাসা। রবীন্দ্রনাথের সুরের ছন্দ ধারণ করে আমরা সুন্দর একটি বাংলাদেশ তৈরি করতে পারি।’

কথামালা শেষে সমবেত কণ্ঠে ‘সুরের গুরু দাও যে সুরের দীক্ষা’। গানটি পরিবেশন করেন বাংলাদেশ রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী সংস্থা চট্টগ্রাম বিভাগীয় শাখার শিল্পীরা। এরপর আবারও কোরাস। শিল্পীরা গেয়ে শোনান ‘আকাশজুড়ে শুনিনু’ ও ‘নীল অঞ্জনঘন’ দুটি গান। এরপর রূম্পা সেনের কণ্ঠে ‘সীমার মাঝে অসীম’ গানটি মুগ্ধতার আবেশ ছড়িয়ে দেয়।

এভাবে কখনো একক, দ্বৈত ও সমবেত কণ্ঠে ছিল শিল্পীদের সংগীত পরিবেশনা। এসব গানের মধ্যে দর্শকদের মন ভিজিয়ে দেয় ‘মনে কি দ্বিধা’, ‘দীপ নিভে গেছে মম’, ‘তোমারেই করিয়াছি জীবনেরও ধ্রুবতারা’, ‘মেঘের পরে মেঘ জমেছে’, ‘এই কথাটি মনে রেখ’, ‘আমার প্রাণের পরে’, ‘আজ শ্রাবণের আমন্ত্রণে’, ‘সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে’, ‘তোমার অসীমে প্রাণমন লয়ে’ গানগুলো।