পরীক্ষণ থিয়েটারে আজ সন্ধ্যায় 'রাঢ়াঙ'

আরণ্যকের আলোচিত ‘রাঢ়াঙ’ নাটকের একটি দৃশ্য। ফাইল ছবি

‘লেগাদ লেগাদ মেনাবোনা, জোয়ান কো জোয়ান কো/ লেগাদ লেগাদ বাহাকো লেকাজে, ধরতি মা বাগান তালারে’—শুনলেই মনে হবে কোনো এক ক্ষুদ্র জাতিসত্তার জনগোষ্ঠীর কথা। আসলেই তাই। এটি একটি সাঁওতালি গান। আর সাঁওতালদের জীবনাচার, সামাজিক-রাজনৈতিক অধিকার এবং সংগ্রামী ঐতিহ্যের নানা দ্বান্দ্বিক বিষয়ের নাটক ‘রাঢ়াঙ’। আজ সোমবার সন্ধ্যা সাতটায় শিল্পকলা একাডেমির পরীক্ষণ থিয়েটারে মঞ্চস্থ হবে আরণ্যকে আলোচিত নাটকটি।

সাঁওতালদের নিয়ে গবেষণাধর্মী এই নাটক লিখেছেন মামুনুর রশীদ। নির্দেশনাও তাঁর নিজেরই। ১৯৪৭ সালের সাঁওতাল বিদ্রোহে পরাস্ত হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত তাদের ওপর অনাচার-অত্যাচারের কাহিনি নিয়ে গড়ে উঠেছে নাটকের কাহিনি।

সাঁওতাল বিদ্রোহ ব্যর্থ হলে রানিমাতা ইলা মিত্র ভারতে চলে যান। সাঁওতালদের জীবনে নেমে আসে বিশৃঙ্খলা। কেউ কেউ জেলবন্দী হয়, কেউ কেউ পালিয়ে বেড়ায়। একটা সময় তারা বিশ্বম্ভরের সহযোগিতায় নাচোল থেকে নওগাঁর ভীমপুরে চলে আসে। তাদের ঘর হবে, নিজস্ব জমি হবে—বিশ্বম্ভর এই বলে স্বপ্ন দেখান। কিন্তু তা আর হয় না। বিশ্বম্ভর মারা যান। সাঁওতালদের স্বপ্ন স্বপ্নই রয়ে যায়। এভাবে দীর্ঘকাল কেটে যায়। ২০০০ সালে এসে আলফ্রেড সরেনের নেতৃত্বে ভূমির অধিকার নিয়ে আবারও জেগে ওঠে সাঁওতালেরা। কিন্তু আলফ্রেড সরেনকেও নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এসব বিষয় উঠে এসেছে নাটকে।

এর আগে মামুনুর রশীদ, তমালিকা কর্মকার, শামীম জামান, চঞ্চল চৌধুরী, আ খ ম হাসানসহ পর্দার অনেক জনপ্রিয় মুখ এ নাটকে অভিনয় করেছেন। আজকের প্রদর্শনীতেও থাকবে তেমন কিছু পরিচিত মুখ।