চিরনিদ্রায় নায়করাজ

আজ বুধবার সকাল ১০টা ১ মিনিটে নায়করাজের মরদেহ বনানী গোরস্থানে নেওয়া হয়। ছেলে বাপ্পারাজ, বাপ্পী, সম্রাট এবং অভিনেতা শাকিব খান কাঁধে করে নায়করাজকে নিয়ে যান কবরে। ছবি: খালেদ সরকার
আজ বুধবার সকাল ১০টা ১ মিনিটে নায়করাজের মরদেহ বনানী গোরস্থানে নেওয়া হয়। ছেলে বাপ্পারাজ, বাপ্পী, সম্রাট এবং অভিনেতা শাকিব খান কাঁধে করে নায়করাজকে নিয়ে যান কবরে। ছবি: খালেদ সরকার

চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে করতে শুটিংয়ের ফ্লোরেই মৃত্যু চেয়েছিলেন নায়করাজ রাজ্জাক। শুটিংয়ের ফ্লোরে তাঁর মৃত্যু হয়নি ঠিকই, কিন্তু রাজ্জাক চিরবিদায় নিলেন মানুষের মনের মণিকোঠায় থেকেই। এ দেশের চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি অভিনেতা সবাইকে কাঁদিয়েই বিদায় নিয়েছিলেন গত সোমবার। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় বনানী গোরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন তিনি।

কথা ছিল রাজ্জাকের মেজ ছেলে রওশন হোসেন বাপ্পী কানাডা থেকে ঢাকায় ফিরে এলে তাঁর দাফন হবে। আজ ভোরে বাপ্পী দেশে ফেরেন। সকাল ১০টায় রাজ্জাকের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় বনানী গোরস্থানে। দেহ বহন করেন অভিনেতার তিন ছেলে বাপ্পারাজ, বাপ্পী, সম্রাট এবং অভিনেতা শাকিব খান। এ সময় রাজ্জাকের পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত ছিলেন চলচ্চিত্র জগতের কলাকুশলী, গণমাধ্যমকর্মী আর তাঁর অগণিত ভক্ত।

নায়করাজ রাজ্জাকের মরদেহ কবরে নামানোর পর দোয়া করা হয়। ছবি: খালেদ সরকার
নায়করাজ রাজ্জাকের মরদেহ কবরে নামানোর পর দোয়া করা হয়। ছবি: খালেদ সরকার

শাকিব খানকে খুব স্নেহ করতেন রাজ্জাক। তিনি তাই শোকে মুহ্যমান, ‘এই কদিন আপনারা আমাকে অনেক প্রশ্ন করেছেন। কিন্তু আমি কিছুই বলতে পারিনি। রাজ্জাক স্যারের পরিবারের খুব আপন ছিলাম আমি। তিনি আমাকে ছেলের মতোই দেখতেন। আমাকে বিভিন্ন সময় নানা বিষয়ে পরামর্শ দিতেন। আপনারা সবাই তাঁর জন্য দোয়া করবেন।’

প্রযোজক সমিতির নেতা খোরশেদ আলম খসরু জানান, আগামী শুক্রবার বাদ আসর গুলশান আজাদ মসজিদে পরিবারের পক্ষ থেকে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। আর শনিবার বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিবার সকাল ১০টা থেকে এফডিসিতে দিনব্যাপী দোয়া ও মিলাদ মাহফিল এবং কাঙালিভোজের আয়োজন করছে।