নজরুলের স্মরণে ছায়ানটের গান

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের মৃত্যুবার্ষিকী সামনে রেখে গতকাল সন্ধ্যায় ছায়ানট সংস্কৃতি–ভবন মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সমবেত নজরুলসংগীত পরিবেশন করেন শিল্পীরা l ছবি: প্রথম আলো
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের মৃত্যুবার্ষিকী সামনে রেখে গতকাল সন্ধ্যায় ছায়ানট সংস্কৃতি–ভবন মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সমবেত নজরুলসংগীত পরিবেশন করেন শিল্পীরা l ছবি: প্রথম আলো

‘মনে রাখার দিন গিয়েছে এখন ভোলার বেলা/ আর লাগে না ভালো আমার হৃদয় নিয়ে খেলা’ গাইলেন এক সংগীতশিল্পী। কাজী নজরুল ইসলামের মৃত্যুবার্ষিকীতে কবির লেখা এ গান তাঁকে স্মরণ করতেই। জাতীয় কবিকে ভোলার বেলা কখনোই আসবে না। ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকীর আগের সন্ধ্যায় তাঁর গান গেয়ে সে কথাই জানালেন ছায়ানটের শিল্পীরা।

গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় ছায়ানট সংস্কৃতি ভবন মিলনায়তনে ছিল নজরুলপ্রয়াণ দিবসের আয়োজন। অনুষ্ঠান শুরু হয় ভক্তিমূলক গান দিয়ে। সম্মিলিত কণ্ঠে ‘শুভ্র সমুজ্জ্বল হে চির নির্মল’ গানটি গেয়ে কবিকে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এরপর একক কণ্ঠে নজরুলসংগীত পরিবেশন করেন নবনীতা চক্রবর্তী, কানিজ হুসনা আহম্মদী, তানভীর আহমেদ, মোহিত খান, নাসিমা শাহীন, বিজন চন্দ্র মিস্ত্রী, প্রমিতা দে, লতিফুন জুলিও প্রমুখ। তাঁরা গেয়ে শোনান ‘মহাকালের কোলে এসে’, ‘ভেসে আসে সুদূর স্মৃতির সুরভি’, ‘আমি যেদিন রইব না গো’, ‘মোর না মিটিতে আশা’, ‘ঘুমায়েছে ফুল পথের ধুলায়’, ‘আমার বিফল পূজাঞ্জলি’, ‘সাঁঝের পাখিরা ফিরিল কুলায়’, ‘গভীর রাতে জাগি খুঁজি তোমারে’ গানগুলি।

অনুষ্ঠানে একক কণ্ঠে ‘সকরুণ নয়নে চাহ’, ‘এ আঁখি জলে মোছা প্রিয়া’, ‘শূন্য এ বুকে পাখি মোর’, ‘মাগো চিন্ময়ী রূপ ধরে আয়’ গানগুলিও গেয়ে শোনান শিল্পীরা। গান ছাড়াও অনুষ্ঠানে ছিল একক পাঠ। এ অংশে নজরুল-সাহিত্য থেকে পাঠ করেন জারিফ ইকরাম, রফিকুল ইসলাম ও মাহমুদা আখতার। সম্মিলিত কণ্ঠে শিল্পীরা গেয়ে শোনান ‘নীরন্ধ্র মেঘে মেঘে অন্ধ গগন’, ‘ভবনে আসিল অতিথি সুদূর’ এবং ‘জয় আনন্দ ভৈরব ডমরু পিনাক-পাণি’ গান। অনুষ্ঠানটির আয়োজন করেছিল ছায়ানট।