জাভেদের প্রেমে পাগল ছিলেন শাবানা

শাবানা আজমী ও জাভেদ আখতার
শাবানা আজমী ও জাভেদ আখতার

আজ ৬৭ বছরে পা দিলেন বলিউডের দাপুটে ও বর্ষীয়ান অভিনেত্রী শাবানা আজমি। এ অভিনেত্রীর চলচ্চিত্রজীবনের মতো ব্যক্তিগত জীবনও রঙিন। বলা যায়, গীতিকার তথা কবি জাভেদ আখতার এবং শাবানা আজমির প্রেমকাহিনি কোনো সিনেমার চেয়ে কম ছিল না। তবে জাভেদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠার আগে এই বলিউড সুন্দরীর পরিচালক তথা চিত্রনির্মাতা শেখর কাপুরের সঙ্গে ভালোবাসার সম্পর্ক ছিল বলে শোনা যায়।

জাভেদ ও শাবানার প্রেমের জন্ম হয় বলিউডের এই অভিনেত্রীর বাড়িতে। ১৯৭০ সালে শাবানার বাবা কাইফি আজমির কাছে জাভেদ লেখালেখির শিল্পকলা শিখতে আসা শুরু করেন। সেই সূত্রে শাবানার সঙ্গে রোজ দেখা হতো তাঁর। এভাবে একে অপরের কাছে আসতে শুরু করেন। বাড়িতে জাভেদের বিয়ে করা বিবি এবং দুই সন্তান আছে। জাভেদের বিবির নাম হানি ইরানি। তাঁদের দুই সন্তান ফারহান এবং জোয়া আখতার। জাভেদের থেকে হানি দশ বছরের ছোট ছিলেন।

এদিকে জাভেদ-শাবানা একে অপরের প্রেমে রীতিমতো পাগল। সংবাদমাধ্যমে তাঁদের প্রেমের কথাও প্রকাশিত হয়। হানি জানতে পারেন তাঁর স্বামীর সঙ্গে শাবানার এই সম্পর্কের কথা। এ নিয়ে জাভেদের সঙ্গে হানির নিত্য অশান্তি শুরু হয়। অশান্তি চরম পর্যায়ে পৌঁছালেও জাভেদ তাঁর সন্তানদের ছেড়ে বেরিয়ে আসতে রাজি হন না। অবশেষে এই রোজকার অশান্তি থেকে মুক্তি পেতে হানি তাঁর স্বামীকে শাবানার কাছে চলে যাওয়ার সম্মতি দেন। হানি জাভেদকে ভরসা দেন যে সন্তানদের দেখভাল তিনি ভালোভাবে করবেন।

হানি তাঁদের সম্পর্ক মেনে নিলেও শাবানার বাড়িতে চরম অশান্তি শুরু হয়। শাবানার বাবা কাইফি আজমি কিছুতেই মানতে পারেন না যে তাঁর মেয়ে একজন বিবাহিত পুরুষকে বিয়ে করবে। কিন্তু জাভেদের প্রেমে পাগল ছিলেন শাবানা। বাবার কথা তিনি শোনেন না। অনেক সংঘর্ষের পর অবশেষে প্রেমের জয় হয়। জাভেদ তাঁর প্রথম বিবি হানিকে তালাক দিয়ে শাবানাকে বিয়ে করেন।

বলিউডের এই নামজাদা অভিনেত্রী শুধু তাঁর প্রেমের ক্ষেত্রে নয়, তাঁর ফিল্মি ক্যারিয়ারেও নজির সৃষ্টি করেছেন। পাঁচবার সেরা অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন শাবানা আজমি; যা রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। ১৯৭৫ সালে ‘অঙ্কুর’, ১৯৮৩ সালে ‘অর্থ’, ১৯৮৪ সালে ‘খানধার’, ১৯৮৫ সালে ‘পার’ এবং ১৯৯৯ সালে ‘গডমাদার’ ছবির জন্য সেরা অভিনেত্রী হিসেবে সম্মানিত হন তিনি। একাধিক আন্তর্জাতিক পুরস্কারও পেয়েছেন এই বলিউড অভিনেত্রী। বলিউডের গ্ল্যামারাস অভিনেত্রীদের ভিড়ের মধ্যেও শাবানা নিজের আলাদা জায়গা করে নেন। তাঁকে টক্কর দেওয়ার মতো তখন শুধু একজন অভিনেত্রী ছিলেন, তিনি হলেন স্মিতা পাতিল। তবে শুধু অন্য ধারার ছবিতে নয়, বাণিজ্যিক ছবিতেও শাবানা দারুণ সফলতা পান। ‘অমর আকবর অ্যান্থনি’, ‘পরবারিশ, ‘ম্যায় আজাদ হুঁ’র মতো বাণিজ্যিক সিনেমাতে তিনি দর্শকের মন জয় করেন।