সুরজের প্রশংসায় পঞ্চমুখ বানশালী!

সুরজ পাঞ্চোলি ও সঞ্জয় লীলা বানশালী
সুরজ পাঞ্চোলি ও সঞ্জয় লীলা বানশালী

অকাল প্রয়াত বলিউডের অভিনেত্রী জিয়া খানের আত্মহত্যার জন্য সবাই যখন অভিযোগের আঙুল তুলছেন আদিত্য পাঞ্চোলির ছেলে সুরজ পাঞ্চোলির দিকে, ঠিক তখনই সুরজের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন বলিউডের প্রখ্যাত নির্মাতা সঞ্জয় লীলা বানশালী। অবশ্য সুরজের প্রতিবেশী সঞ্জয়, এ বিষয়টি খুব কম মানুষই জানে। একই অ্যাপার্টমেন্ট ভবনে থাকেন সুরজের বাবা আদিত্য পাঞ্চোলি আর সঞ্জয় লীলা বানশালী। এই দুই পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ভালো সখ্যও রয়েছে। পাশাপাশি সুরজের মা অভিনেত্রী জেরিনা ওয়াহাব এবং বানশালীর মা একে অপরের খুবই ভালো বন্ধু। সম্প্রতি এক খবরে এ তথ্য জানিয়েছে ওয়ান ইন্ডিয়া। জিয়া খান ৩ জুন রাতে নিজ বাসায় ওড়না গলায় পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন। আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে ভারতীয় পেনাল কোডের ৩০৬ ধারায় জিয়ার প্রেমিক সুরজকে গ্রেপ্তার করেছে মুম্বাই পুলিশ। এখন তিনি জেলহাজতেই বন্দী আছেন। সম্প্রতি তাঁর জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেছেন মুম্বাই আদালত।

২০১০ সালে মুক্তি পাওয়া ‘গুজারেশ’ ছবিতে সঞ্জয় লীলা বানশালীর সহকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন সুরজ। সম্প্রতি ভারতের শীর্ষস্থানীয় একটি দৈনিক পত্রিকায় দেওয়া সাক্ষাত্কারে সুরজের ভূয়সী প্রশংসা করে বানশালী বলেন, ‘সুরজ আমার “গুজারেশ” ছবিতে সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করেছে। আমাকে স্বীকার করতেই হবে, সে ছিল খুবই পরিশ্রমী, মনোযোগী ও মিষ্টভাষী।’

বানশালী আরও বলেন, ‘চটজলদি শিখে ফেলার দারুণ ক্ষমতা রয়েছে সুরজের ভেতর। সব সময় ছবির সেটে ঠিক সময়ে হাজির হতো সে। কখনোই দেরি করত না। তারকার সন্তান হওয়ার পরও তার কোনো ধরনের অহমিকার প্রকাশ আমার চোখে পড়েনি। চলচ্চিত্র জগতে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার জন্য এ গুণগুলো খুবই দরকার। সুরজকে এই জগতে আনার সিদ্ধান্ত নিয়ে সঠিক কাজটিই করেছেন আদিত্য ও জেরিনা।’