'ফিল্মস্টার সব থেকে বড় রাজপুত্র'

‘শেফ’ ছবির দৃশ্য
‘শেফ’ ছবির দৃশ্য
টানা দুই ঘণ্টা অপেক্ষার পর কালো রঙের টি-শার্ট এবং কমলা রঙের হাফপ্যান্ট পরে এলেন বলিউডের নবাব অভিনেতা সাইফ আলী খান। পায়ে ব্যান্ডেজ। প্রথমেই দেরি হওয়ার জন্য দুঃখ প্রকাশ করলেন তিনি। আগামীকাল ৬ অক্টোবর মুক্তি পেতে চলেছে সাইফ অভিনীত ছবি শেফ। ছবিটির পরিচালক রাজা কৃষ্ণা মেনে। ১ অক্টোবর এক শান্ত দুপুরে নির্ভেজাল এই আড্ডায় উঠে এল তাঁর পরিবার, সিনেমা এবং জীবনের কথা। বলিউড তারকা সাইফ আলী খানের মুখোমুখি প্রথম আলোর মুম্বাই প্রতিনিধি দেবারতি ভট্টাচার্য
সাইফ আলী খান মনে করেন কাজই সবকিছু
সাইফ আলী খান মনে করেন কাজই সবকিছু

প্রথমেই অভিনন্দন জানাতে চাই মামা হওয়ার জন্য। ভাগনির সঙ্গে দেখা হয়েছে?
হ্যাঁ, গতকালই দেখে এলাম সোহার মেয়েকে। দিল্লি থেকে ফিরে সোজা হাসপাতালে চলে যাই। দারুণ লাগছিল। খুব মিষ্টি।

কোলে নিয়েছেন?
না না, আমার খুব ইনফেকশনের ভয়। বাইরের কাপড়ে ওকে কোলে নেওয়ার প্রশ্নই নেই। আমার ছেলে তৈমুর জন্মানোর পরপরই প্রচুর মানুষ ভিড় করেছিল তৈমুরকে দেখতে। ফলে ইনফেকশন ছড়ায়। তারপর থেকে আমি খুব সাবধানী।

তৈমুরের নতুন খবর কী?
আমার মনে হয় তৈমুর এখনই স্টার। জানি না পরে কী হবে। তবে এখনই ও স্টারের মতো ব্যবহার করে (সশব্দে হেসে)। আরও ছোট থেকেই তৈমুর ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে পোজ দেয়। মোবাইলে নিজের ছবি দেখে প্রতিক্রিয়া জানায়। এবার দিল্লিতে কারিনা ও তৈমুর আগে থাকতেই ছিল। আমি যখন গেলাম, ও বাগানে প্যারামবুলেটরে বসেছিল। আমি চশমা পরেছিলাম, তাই তৈমুর প্রথমে চিনতে পারেনি। চশমা খুলতেই আমাকে দেখে আনন্দে লাফিয়ে ওঠে। আমাকে কারিনা বলেছিল, ‘দিল্লিতে শেফ-এর প্রচারণার সময় তৈমুরকে পাশে বসিয়ে নাও। আর তোমার ছবির প্রচারের প্রয়োজন পড়বে না।’

কাজের ব্যস্ততা, বাড়িতে ফিরে তৈমুরকে সামলানো। হাঁপিয়ে ওঠেন না?
আমার মনে হয়, বাচ্চা সামলানো মজার, কিন্তু ক্লান্তিকর কাজ। এখন তো তৈমুরের দিকে ২৪ ঘণ্টা নজর রাখতে হয়। ও পাল্টি খায়। ডিগবাজি খায়। ওর পাশে কারিনা, আমি ছাড়াও ওকে সামলানোর লোক থাকে। লোক না পেলে অভিনয় ছেড়ে দিয়ে বসে থাকতে হতো। এত লোক থাকা সত্ত্বেও সেদিন তৈমুর ওপর থেকে পড়ে গিয়েছিল। আমি সেই সব অভিভাবকদের সম্মান করি, যাঁরা কোনো সাহায্য ছাড়াই নিজের ক্যারিয়ার এবং বাচ্চাকে সামলান। আমরা ভারতীয়রা ভাগ্যবান যে বাচ্চা সামলানোর জন্য তবু লোক পাই।

আপনার কন্যা সারা স্টার হওয়ার পথে। কী রকম অনুভূতি?
সারা ছোটবেলাতে ভীষণ কিউট ছিল। তখন সামাজিক মাধ্যম ছিল না। তাই সবাই ছোটবেলার সারাকে সেভাবে দেখেনি। কিন্তু সারা খুব ভালো মেয়ে। ও খুব বুদ্ধিমতী, পরিশ্রমী এবং বিনয়ী। সারা গাট্টুর (অভিষেক কাপুর) কেদারনাথ ছবিতে কাজ করছে। গাট্টু পরিচালক হিসেবে দারুণ। সুশান্তও (সুশান্ত সিং রাজপুত) খুব ভালো অভিনেতা। সবকিছু মিলিয়ে সারার শুরুটা ভালোই হচ্ছে। আমি রোমাঞ্চিত।

‘শেফ’ ছবিতে আপনাকে এক শেফের চরিত্রে দেখা যাবে। বাড়িতে কখনো কি শেফ হয়েছেন?
আমার আব্বা (নবাব মনসুর আলী খান পতৌদি) এবং আম্মি (শর্মিলা ঠাকুর) দুজনেই রান্না করতে পারেন। আর আম্মি তো খুব ভালো রাঁধুনি। তবে আমার দাদিজি ছিলেন ভোপালের বেগম। উনি তো রান্নাঘর চোখেও দেখেননি। আমার আব্বাকে ষাটের দশকে রান্নাঘরে যেতে দেখেছি। আমি আশির দশকে আব্বা–আম্মির দেখাদেখি কিচেনে গিয়ে একটু–আধটু রান্না করতাম। লন্ডনে পড়ার সময় যখন হোস্টেলে থাকতাম, তখন প্রায়ই স্প্যাগেটি বা অন্য সহজ কিছু বানাতাম।

স্ত্রী কারিনা কাপুর ও ছেলে তৈমুরের সঙ্গে সাইফ আলী খান
স্ত্রী কারিনা কাপুর ও ছেলে তৈমুরের সঙ্গে সাইফ আলী খান

শুনেছি আপনি খুব ভালো পাস্তা বানান। কারিনা খেয়েছেন আপনার হাতের পাস্তা?

পাস্তা রান্না করা সহজ। কিন্তু পাস্তা বানানো বেশ পরিশ্রমের কাজ। ছবিতে আমাকে তা–ই করতে হয়েছে। ময়দা এবং ডিম একসঙ্গে মেখে পাস্তা বানাতে হয়। যা–ই হোক, কারিনা আমার হাতের পাস্তা খেয়েছে। তবে খুব কম খায়। ও এখন ডায়েটে আছে। এবার দিল্লিতে গিয়ে কুনাল কাপুরের বাড়িতে একদিন কাটালাম। তখন ওখানে পাস্তা বানিয়েছিলাম। রণবীর বোধ হয় ছবিটা সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করে। আরেকবার আমি ‘বার্গার’ বানিয়েছিলাম। আম্মা খেয়ে বলল, কাবাবটা ভালোই বানিয়েছ। এমন বার্গার বানিয়েছিলাম যে আম্মার খেয়ে মনে হয়েছিল ওটা ‘কাবাব’।

আপনার মা তো বাঙালি। বাড়িতে বাঙালি রান্না হয়?

হ্যাঁ, আম্মির হাতে অনেকবার বাঙালি খাবার খেয়েছি। বাংলায় কী যেন বলে (একটু চিন্তা করে), মনে পড়েছে, মাছের ঝোল আমার বেশ ভালো লাগে।

‘শেফ’ ছবির জন্য আপনি নাকি হাজার হাজার পেঁয়াজ কেটেছেন?

একজন পেশাদার শেফের মতো বডি ল্যাঙ্গুয়েজ আনতে গিয়ে অনেক কিছু শিখতে হয়েছিল। প্রথম প্রথম পেঁয়াজ কাটতে খুব ভয় হতো। মনে হতো এই বুঝি প্রচণ্ড ধারওয়ালা ছুরিতে আঙুল কেটে যাবে। তারপর শিখেছি ছুরি দিয়ে কীভাবে সবজি কাটতে হয়। সময় লেগেছে। রান্না-সংক্রান্ত অনেক কিছুই শিখেছি। বড় কিচেনে চড়া আগুনের সামনে নানা ধরনের বাসনের সাহায্যে কীভাবে রান্না করতে হয় শিখেছি। কমার্শিয়াল কিচেনে কীভাবে স্বাভাবিক থাকতে হয়, তা শিখতে হয়েছে। আর আমাকে পর্দাতে দেখে যেন মনে না হয় প্রথমবার কিচেনে রান্না করছি। ওয়ার্কশপে এসব কিছু শিখেছি।

নবাব খানদানের রাজপুত্র হয়ে ‘শেফ’ ছবির জন্য রান্নাঘরে হাতা–খুন্তি নাড়তে হয়েছে। আপনার জন্য কতটা কষ্টকর ছিল?

প্রথমেই বলব, এই নবাব শব্দটাতেই আমার আপত্তি আছে। আমার আব্বা নবাব ছিলেন। আমি কিছু নই।

শেফ  ছবিতে
শেফ ছবিতে

কিন্তু আপনার মাথায় তাজ পরিয়ে আপনাকে তো নবাবের সম্মান দেওয়া হয়েছে—

(সশব্দে হেসে) ওদের মন রাখতে করতে হয়েছিল। আর একজন নবাবের দায়িত্ব অনেক। আট-দশটা গ্রামের মানুষের জল, আলো কত রকম সমস্যা থাকে, তা দূর করতে হয়। ওদের পাশে দাঁড়াতে হয়। আমি এসব কিছুই করতে পারি না। আমি একজন ফিল্মস্টার। আমি মনে করি, একজন ফিল্মস্টার সব থেকে বড় রাজপুত্র। প্রচুর মানুষের ভালোবাসা পায়। প্রচুর সম্মান পায়। আর রান্নার কথা যদি বলেন, পেশাদার শেফের ভূমিকায় কাজ করাটা একটু কষ্টকর ছিল।

ইংরেজি ছবি ‘শেফ’ ছবির ভিত্তিতে তৈরি হয়েছে হিন্দি ছবি ‘শেফ’। সফল ছবির অনুকরণে ছবি বানানো বক্স অফিসের জন্য কতটা নিরাপদ?

হলিউডে অনেকবারই হয়েছে। বলিউডের ক্লিন্ট ইস্ট উডের মতো করে এই ঘরানার ছবি বানাতে জানতে হবে। তবে এখন এখানেও হচ্ছে। কোনো ছবির ভিত্তিতে ছবি বানানো এই নয় যে সেই ছবিটাই হুবহু বসিয়ে দেওয়া। মারাঠি নাটকের ভিত্তিতে প্রচুর হিন্দি সিনেমা হয়। তবে অন্য ছবি বা নাটকের ভিত্তিতে ছবি বানানোর মধ্যে প্রচুর পরিশ্রম থাকে। নিজস্ব চিন্তাভাবনা থাকে। ক্যালিফোর্নিয়া আর আমাদের দেশের সংস্কৃতি সম্পূর্ণ ভিন্ন। তাই সবকিছুই নতুনভাবে করতে হয়েছে এই ছবিতে। ছবির পরিচালক রাজা কৃষ্ণা মেনন খুব সততার সঙ্গে ছবিটি বানিয়েছেন। আমাদের দেশ কতটা রঙিন, দিল্লি থেকে কেরালার বৈচিত্র্যে ভরা খাওয়াদাওয়া তুলে ধরেছেন। বাবা-ছেলের সম্পর্ককে খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। ছবিতে দেখিয়েছেন যে ডিভোর্সের পর স্বামী তার প্রাক্তন স্ত্রীদের বাড়িতে গিয়ে থাকছে। দারুণ রোড ট্রিপ আছে।

এখন বড় বড় তারকাদের ছবি সেভাবে চলছে না। আপনারও শেষ ছবি ‘রেংগুন’ সে অর্থে ব্যবসা করেনি। এর কারণ কী বলে মনে হয়? দর্শক কি এখন অনেক বেশি স্মার্ট?

 নব্বই সাল থেকে শুনে আসছি দর্শক স্মার্ট। আমরা কবে স্মার্ট হব। আমি প্রথমে আমার ছবি রেংগুন নিয়েই বলতে চাই। দেখুন, কিছু কিছু ছবি হিট বা ফ্লপের ঊর্ধ্বে। আমার মনে হয়, রেংগুন ছবিটিও তা–ই। এই ছবিতে কাজ করে আমি একজন অভিনেতা হিসেবে সন্তুষ্ট। বিশাল ভরদ্বাজের মতো পরিচালকের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা দারুণ ছিল। রেংগুন ছবিটি চিত্রসমালোচক, সংবাদমহল সবার প্রশংসা কুড়িয়েছে। আমার ছবিটা ফ্লপ হলেও কোথাও এই ব্যর্থতা থেকেও আমি সম্মান অর্জন করেছি। এবার আসি অন্য ছবির প্রসঙ্গে। আমার মনে হয়, ছোট ব্যানারের ছবিগুলোর মধ্যে অনেক বেশি শিল্প থাকে। বড় বড় তারকাদের ছবি না চলার অন্যতম কারণ হলো চিত্রনাট্যের দুর্বলতা। আমার মনে হয়, গল্প বলাটা আমাদের দেশের সব থেকে বড় আর্ট। আর ছবি বানানো মানে গল্প বলা। এখন আমরা সেটাই ঠিকমতো বলতে পারি না। আমরা ভুলে গেছি দর্শক কী চান। আমাদের আধুনিক সিনেমায় সেই গল্প বলাটাই যেন হারিয়ে যাচ্ছে। সিনেমা হলো আমাদের সমাজের প্রতিবিম্ব। সেটাই আমরা ঠিকমতো তুলে ধরতে পারছি না। কমার্শিয়াল ছবিকে আরও বেশি বুদ্ধিদীপ্ত হতে হবে। দর্শক এখন একঘেয়ে গল্প পছন্দ করছেন না। এখন বায়োপিক দেখতে সবাই পছন্দ করছেন।

আপনি কি মনে করেন প্রচারণা ছবি হিটের জন্য প্রয়োজন?

আমার মনে হয় প্রযোজকেরা নিরাপত্তাহীনতা থেকে প্রচারণাকে বেশি গুরুত্ব দেন। দর্শককে টানতে ছবির ট্রেলার, পোস্টার, প্রোমোর গুরুত্ব আছে। তবে ট্রেলার গ্যারান্টি দেয় প্রথম শোতে কত দর্শক হবে। আবার আমি এ–ও মনে করি, আমি বললেই দর্শক সিনেমা দেখতে আসবেন না। প্রচারণায় বেশি সময় দেওয়া অর্থহীন। মিঠুন দা সেদিন বলছিলেন যে তখন ছবির পোস্টার, হোর্ডিং দেখেই সবাই সিনেমা দেখতে যেতেন। এখন অনেক বেশি প্রতিযোগিতা। আবার আমির খানের চিন্তাভাবনা সাধারণের থেকে অনেক বেশি অ্যাডভান্সড। সবাই বলে, ও অনেক বড় স্টার। আমিরের এসব প্রচারের প্রয়োজন হয় না। তবে লস অ্যাঞ্জেলেসে দেখেছি, দুটো–একটা হোর্ডিং দেখেই সবাই সিনেমা সম্পর্কে জানতে পারেন। সিনেমা দেখতে যান সবাই।

আপনার কাছে সফলতার অর্থ কী?

আমার কাছে সফলতা মানে ‘স্বাধীনতা’। কিন্তু আমরা কোথাও অন্যের কাছে বাঁধা। এই বিষয় নিয়ে আমি খুব চিন্তাভাবনা করি। রুশো, ভলতেয়ারের মতো বড় বড় ফরাসি দার্শনিকেরা এ ব্যাপারে অনেক কথা বলেছেন। তাঁরাই বলেছেন, ‘ম্যান ইজ বর্ন ফ্রি, বাট এভরিহোয়ার ইজ ইন চেইন’। আমরা প্রত্যেকেই বন্ধনের মধ্যে আছি। আমি বুঝি সফলতা মানে নিজের সময়কে সঠিকভাবে ম্যানেজ করা। হেলথি টাইম ম্যানেজমেন্টের প্রত্যেকের জন্য জরুরি। কাজের পাশে নিজের পরিবারকে সময় দেওয়া খুব প্রয়োজন। এবার দিল্লিতে থাকাকালে আমার ম্যানেজার বলেছিলেন, বিকেলের ফ্লাইটে মুম্বাই উড়ে যেতে কিছু সংবাদপত্রে সাক্ষাৎকার দেওয়ার জন্য। আমি তাঁকে বলি, পাঁচটা সাক্ষাৎকার দিলেই আমার ছবি দেখতে সবাই আসবেন, তা তো নয়। আমার মনে হয়েছিল, সেদিন বিকেলে আমি তৈমুরকে নিয়ে সাঁতার কাটব আর আমি তা–ই করেছি। আমি দেখেছি, অক্ষয় কুমার খুব সুন্দরভাবে সময়কে ব্যবহার করেন। ভোর পাঁচটা থেকে দিন শুরু করেন। সন্ধ্যা ছটার মধ্যে কাজ সেরে ফেলেন। এরপর শুধু পরিবারকে সময় দেন। তবে আবার আমি এ–ও মনে করি, কাজের মধ্যেই লুকিয়ে আছে আসল স্বাধীনতা। আগে ভাবতাম, ৫০ বছরের পর আর কাজ করব না। এখন মনে করি, কাজই সবকিছু। আমরা অনেক পরিশ্রম করে অর্থ উপার্জন করি, সেই অর্থকে খুশি এবং শান্তিতে পরিণত করাও একটা শিল্প।

শেষ প্রশ্ন, এখন তারকার সন্তানদের নিয়ে নানান গুজব শোনা যায়। সারার নামেও আসছে। আগামী দিনে তৈমুরের নামেও আসবে। বাবা হিসেবে কীভাবে পরিস্থিতি সামাল দেবেন?

প্রথমেই বলব, এসব গুজবে কান না দিতে। একটা সংবাদপত্রে সিরিয়াস থেকে গুজব, সব ধরনের খবরই ছাপা হয়। তাদের প্রয়োজনে তারা এ ধরনের খবর ছাপবে, তাই হালকাভাবে এসব নেওয়া উচিত। তৈমুরের দায়িত্ব মিডিয়াও অনেকটা নিয়ে নিয়েছে। আজ স্টার বানাচ্ছে। আবার কাল কিছু উল্টোপাল্টা করলে এই নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। তাই তারকার সন্তানদেরও সতর্ক থাকতে হবে।