চলচ্চিত্রের দুই শতাধিক শিল্পী ভোটাধিকার হারাচ্ছেন!

• চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দুই শতাধিক সদস্য ভোটাধিকার হারাতে যাচ্ছেন।
• ২৮ ফেব্রুয়ারি এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
• বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির পূর্ণ সদস্যসংখ্যা ৬২৪ জন।


বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দুই শতাধিক সদস্য ভোটাধিকার হারাতে যাচ্ছেন। ২৮ ফেব্রুয়ারি এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে প্রথম আলোকে জানান সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক চিত্রতারকা জায়েদ খান।

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির পূর্ণ সদস্যসংখ্যা ৬২৪। তাঁদের মধ্যে ২৬০ জন পূর্ণ সদস্যকে বর্তমান কমিটির উপদেষ্টা পরিষদ ও কার্যকরী নির্বাহী সদস্যরা পুনর্মূল্যায়ন করবেন। এঁদের মধ্যে বেশির ভাগই পূর্ণ সদস্য তাঁদের সদস্যপদ হারাবেন। পূর্ণ সদস্য থেকে তাঁরা হবেন সহযোগী সদস্য। থাকবে না তাঁদের ভোটাধিকার।

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির এই মেয়াদের নির্বাচনের সময় অনেক সদস্যের আচরণ নিয়ে নানা অভিযোগ ওঠে। একসঙ্গে এতসংখ্যক চলচ্চিত্রশিল্পীকে দেখে অনেকেই অবাক হন। দেখা গেছে, একটি বা দুটি ছবিতে খুব অল্প সময়ের উপস্থিতি দেখিয়ে কেউ কেউ যোগাযোগের ভিত্তিতে, ক্ষেত্রবিশেষে অর্থ দিয়ে পূর্ণ সদস্যপদ লাভ করেন। যাঁরা কোনোভাবেই চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সদস্যপদ পাওয়ার যোগ্যতা রাখেন না বলে অভিমত অনেকের। এতে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি তাদের ভাবমূর্তিও হারাচ্ছে বলে মনে করছেন সংগঠনটির জ্যেষ্ঠ নেতারা। নিজেদের ভাবমূর্তি রক্ষা করার জন্য চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির বর্তমান কমিটি অযোগ্য ব্যক্তিদের পূর্ণ সদস্যপদ বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়।

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান বলেন, ‘যেহেতু আমাদের সংবিধানের ছয় অনুচ্ছেদের ক-তে পরিষ্কারভাবে বলা আছে, পূর্ণ সদস্য হতে হলে পাঁচটি অবিতর্কিত পূর্ণদৈর্ঘ্য ছবিতে অভিনয় করতে হবে। এরপর একজন চলচ্চিত্রকর্মী সমিতির পূর্ণ সদস্য হওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন। এ আবেদন যদি কার্যকরী পরিষদে গৃহীত হয়, তাহলে তিনি পূর্ণ সদস্যপদ লাভ করবেন, নির্বাচনসহ যেকোনো কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে পারবেন। শুধু তা-ই নয়, একজন পূর্ণ সদস্যকে অবশ্যই পেশাদার চলচ্চিত্র অভিনয়শিল্পী হতে হবে।’

জায়েদ খান আরও বলেন, ‘সংবিধানের ৭ অনুচ্ছেদের ঞ-তে বলা আছে, পূর্বে সদস্য হয়েছে অথচ যোগ্যতা নেই, তাদের কার্যকরী পরিষদ ডাকতে পারবে। যাচাই-বাছাই করতে পারবে। পুনর্মূল্যায়ন করতে পারবে। আমাদের বর্তমান কমিটি সৈয়দ হাসান ইমাম, ফারুক, আলমগীর, উজ্জ্বল, ইলিয়াস কাঞ্চনসহ চলচ্চিত্রের আরও কয়েকজন গুণী অভিনয়শিল্পীর সমন্বয়ে একটি শক্তিশালী উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করেছে। তাঁদের কাজ হচ্ছে কার্যনির্বাহী পরিষদকে সহায়তা এবং পরামর্শ দেওয়া। উপদেষ্টা পরিষদ এবং কার্যনির্বাহী পরিষদ সিদ্ধান্ত নিয়ে দেখে যে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির মধ্যে অনেক অশিল্পী পূর্ণ সদস্যপদ নিয়ে বসে আছেন। তাঁদের ২৮ ফেব্রুয়ারি যাচাই-বাছাই এবং পুনর্মূল্যায়নের জন্য উপদেষ্টা পরিষদের সামনে সশরীরে হাজির হয়ে সাক্ষাৎকার দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছি। সাক্ষাৎকারে কেউ যদি যুক্তি দিয়ে নিজেদের প্রমাণ করতে পারেন, তাঁদের কেউ হয়তো শিল্পী সমিতির পূর্ণ সদস্যপদ রক্ষা করতে পারবেন। এর বাইরে সবাই সহযোগী সদস্য হিসেবে থাকবেন।’