পেশাদারির উন্নতি হয়নি: রিয়াজ

রিয়াজ
রিয়াজ

বছর দুয়েক পর কোনো টেলিভিশন অনুষ্ঠানে অংশ নিলেন বাংলা চলচ্চিত্রের একসময়ের জনপ্রিয় নায়ক রিয়াজ। ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে নির্মিত ‘মনের ঠিকানা’ নামের অনুষ্ঠানটি প্রচারিত হবে এটিএন বাংলায়।

দীর্ঘদিন পর কোনো টিভি অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া প্রসঙ্গে রিয়াজ বলেন, ‘আমাদের দেশের মিডিয়ার মানুষদের মধ্যে এখনো পেশাদারি সেভাবে গড়ে ওঠেনি, যা সত্যিই খুব দুঃখজনক।’

রিয়াজ বলেন, ‘বছর দুয়েক ধরে আমি নানা ব্যস্ততার কারণে টেলিভিশনের অনুষ্ঠান থেকে দূরে সরে ছিলাম। ভেবেছিলাম এরই মধ্যে হয়তো পেশাদারির অনেক উন্নতি হয়েছে। আদতে সে রকম কিছুই হয়নি। দুই বছর পর টিভির অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে অনুভূতি হয়েছে সে রকমই।’

‘মনের ঠিকানা’ অনুষ্ঠানে (বাঁ দিক থেকে) কনা, হৃদয় খান, কাকলী ও রিয়াজ
‘মনের ঠিকানা’ অনুষ্ঠানে (বাঁ দিক থেকে) কনা, হৃদয় খান, কাকলী ও রিয়াজ



পেশাদারি গড়ে না ওঠার কারণ প্রসঙ্গে রিয়াজ বলেন, ‘আমাদের দেশে অনেক নতুন টেলিভিশন চ্যানেল এসেছে। এর মাধ্যমে অনেকে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছে ঠিকই। কিন্তু চ্যানেলগুলোর বেশির ভাগেরই চিন্তাভাবনা সব ব্যবসাকেন্দ্রিক। সৃজনশীলতার দিকে তাদের চিন্তাভাবনা নেই বললেই চলে। যে কারণে পেশাদারির বিষয়টির দিকে কারও খুব একটা উন্নতির করার চিন্তা আছে বলে মনে হচ্ছে না।’

রুকসানা কবীর কাকলীর সঞ্চালনা ও পরিচালনায় ‘মনের ঠিকানা’ অনুষ্ঠানে রিয়াজ ছাড়াও অংশ নিয়েছেন কণ্ঠশিল্পী কনা ও হূদয় খান। আর অনুষ্ঠানটির গ্রন্থনা করেছেন নির্মাতা এস এ হক অলীক।

এদিকে অনেক দিন পর সারা দেশের বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে রিয়াজ অভিনীত নতুন চলচ্চিত্র ‘লোভে পাপ পাপে মৃত্যু’। সোহানুর রহমান পরিচালিত ছবিটিতে রিয়াজ ছাড়াও অভিনয় করেছেন পূর্ণিমা, আমিন খান প্রমুখ। নতুন ছবিটি প্রসঙ্গে রিয়াজ বলেন, ‘চার বছর আগে ছবিটির শুটিং করেছিলাম। ছবির গল্পটি সবারই ভালো লাগবে বলে আমার বিশ্বাস।’

এদিকে এখনকার ছবি প্রসঙ্গে রিয়াজ বলেন, ডিজিটাল প্রযুক্তির ছবির নামে এখন অনেক কিছুই হচ্ছে, এসব ছবির সঙ্গে নিজেকে যুক্ত করার কোনো ইচ্ছে নেই। তবে খুব ভালো গল্প আর ভালো নির্মাতার কাজ অবশ্যই করব।’

চলচ্চিত্র প্রসঙ্গে রিয়াজ বলেন, ‘চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়ে দেশের মানুষকে বিভিন্ন ব্যাপারে ইতিবাচক কিছু দিকনির্দেশনা দেওয়া সম্ভব। চলচ্চিত্র কিন্তু শুধু বিনোদনের মাধ্যম নয়, পাশাপাশি তা মানুষের চিন্তাভাবনা করার খোরাক জোগায়। এই মাধ্যমকে আমরা ইতিবাচকভাবে কাজে লাগাতে পারি।’