বিপাশা বাসুর সঙ্গে প্রেম করছেন হারমান

হারমানের সঙ্গে বিপাশা
হারমানের সঙ্গে বিপাশা

বিপাশা বাসুর সঙ্গে হারমান বাওয়েজার প্রেম নিয়ে অনেক দিন ধরেই বলিউডে জোর গুঞ্জন। শুরু থেকে মুখে কুলুপ এঁটে রাখলেও সম্প্রতি এ প্রেমের কথা স্বীকার করেছেন হারমান।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার সঙ্গে আলাপচারিতায় বিপাশার সঙ্গে প্রেমের কথা স্বীকার করার পাশাপাশি প্রেমিকার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন এই ‘লাভ স্টোরি ২০৫০’ তারকা।

বয়সে দুই বছরের বড় বিপাশার সঙ্গে প্রেম করছেন কি না—জানতে চাইলে অকপটে তা স্বীকার করেছেন ৩৩ বছর বয়সী হারমান। এ প্রসঙ্গে তাঁর ভাষ্য, ‘হ্যাঁ, আমরা প্রেম করছি। আমাদের প্রথম সাক্ষাত্ হয়েছিল অমিতাভ বচ্চনের ৭০তম জন্মদিনের অনুষ্ঠানে। তার আগে আমাদের জানা-শোনা থাকলেও সেবারই প্রথম সামনাসামনি হই আমরা। প্রথম দেখাতেই বিপাশাকে ভালো লেগে যায়। ভালো লাগার মতোই মেয়ে সে। আমাদের চলচ্চিত্রশিল্পে অনেক আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব থাকলেও আমার চোখে কেউই বিপাশার মতো এত বেশি আকর্ষণীয় নয়।’

হারমান বাওয়েজা আরও বলেন, ‘প্রথম দেখার পর থেকে আমাদের সখ্য বাড়তে থাকে। আমরা কথা বলা শুরু করি। ধীরে ধীরে তা বাড়তে থাকে। একটা সময়ে যতটুকু কথা বলার প্রয়োজন তার চেয়ে বেশিই বাতচিত্ হতে থাকে আমাদের মধ্যে। এখনো আমরা ক্রমাগত কথা বলে যাচ্ছি। আমাদের ভেতর অনেক বিষয়ে মিল খুঁজে পেয়েছি আমরা। মূলত এ কারণেই আমাদের মধ্যে সুন্দর একটি সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।’


নানা বিষয়ে বিপাশার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন হারমান। তাঁর মতে, ‘বিপাশা সত্, সাদাসিধে এবং প্রচণ্ড সময়সচেতন একজন মেয়ে। সে অনেক বেশি ভালোবাসাপ্রবণ ও যত্নশীল। তার ভেতর-বাইরটা একই রকম। কোনো রকম ভনিতা সে করতে জানে না। বাস্তবতাকে মেনে নেওয়ার দারুণ এক শক্তি রয়েছে তার ভেতর। মানসিকভাবেও সে যথেষ্ট শক্তিশালী।’

বিপাশার সঙ্গে নানা বিষয়ে মিলের কথা জানাতে গিয়ে হারমান বলেন, ‘আমরা দুজনই স্বাস্থ্যসচেতন। আমার মতো বিপাশাও ভোজনরসিক। সে যা ইচ্ছা তাই খায়। তবে খাওয়ার পর বাড়তি ক্যালরি পুড়িয়ে ফেলে। আমিও ঠিক তা-ই করি। নৈতিকতার দিক থেকেও আমাদের মধ্যে মিল রয়েছে। আমরা দুজনই মনে করি, সবার ভেতরেই নীতিবোধ থাকা উচিত। বিপাশা তার পরিবার ও বন্ধুদের প্রতি অনেক বেশি যত্নশীল এবং আবেগপ্রবণ। তাদের ঘিরেই বিপাশার পুরো জগত্। আমার ক্ষেত্রেও ঠিক তা-ই।’

অবশ্য কিছু কিছু বিষয়ে অমিলও রয়েছে বিপাশা ও হারমানের মধ্যে। এ প্রসঙ্গে হারমানের ভাষ্য, ‘শরীর ফিট রাখার বাতিক আছে বিপাশার মধ্যে। সেটা একটু বাড়াবাড়ি রকমের বলা যায়। আমি স্বাস্থ্যসচেতন, তবে ফিট থাকতে বিপাশার মতো এত বেশি উদগ্রীব নই। এ জন্য সে আমার ওপর বেজায় নাখোশ। বিপাশার সময়ানুবর্তিতার কোনো তুলনা হয় না। কিন্তু আমি একদমই সময়সচেতন নই। বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছতে প্রায়ই আমার দেরি হয়ে যায়। আমার এই দোষটা একদমই সহ্য করতে পারে না বিপাশা। আবেগের জায়গা থেকে আমরা দুজনই যথেষ্ট দুর্বল। অল্পতেই অনেক বেশি আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ি আমরা। তার পরও এ ক্ষেত্রে কানার রাজ্যে আমিই রাজা। আবেগের জায়গা থেকে আমি বিপাশার চেয়ে বেশি শক্তিশালী।’