মানতাসা শুরুতেই অভিনয় করবেন ঈদের নাটকে

পাবনার মেয়ে মিম মানতাসা ‘লাক্স সুপারস্টার’ হয়ে এবার বাজিমাত করতে চলছেন। অভিনয়ে তাঁর অভিষেক ঘটতে যাচ্ছে বাংলাদেশের জনপ্রিয় গায়ক ও অভিনয়শিল্পী তাহসানের সঙ্গে। ‘লাক্স সুপারস্টার’ প্রতিযোগিতার এবার আসরের অন্যতম বিচারক ছিলেন তিনি। ১৮ মে থেকে ঢাকার উত্তরায় নাটকটির শুটিং শুরু হবে। ‘ভবঘুরে’ নাটকের মধ্য দিয়ে অভিনয়ের জন্য প্রথমবারের মতো ক্যামেরার সামনে দাঁড়াতে যাচ্ছেন তিনি। ‘ভবঘুরে’ নামের এই নাটকের পরিচালক ফেরদৌস হাসান।

প্রতিযোগিতার বিচারক তাহসানের সঙ্গে প্রথমবারের মতো অভিনয়ে অভিষেক ঘটতে যাচ্ছে, তা ভেবেই বেশ রোমাঞ্চিত মিম মানতাসা। প্রথম আলোর সঙ্গে গতকাল শুক্রবার রাতে ‘লাক্স সুপারস্টার’ প্রতিযোগিতার এবারের চ্যাম্পিয়ন বললেন, ‘অনুভূতিটা অদ্ভুত। সবকিছুই অন্য রকম লাগছে। আমার তো বিশ্বাসই হচ্ছিল না। তবে এটুকু বলব, স্যার অনেক ভালো। প্রতিযোগিতার সময় অনেক সহযোগিতা করেছেন। অনেক কৌশল শিখিয়েছেন। কেন জানি মনে হচ্ছে, মজার কিছু হবে।’

গতকাল শুক্রবার রাতে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের হল অব ফেম মিলনায়তনে ‘লাক্স সুপারস্টার’-এর নাম ঘোষণার আগে চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর বিজয়ীর জন্য আরেকটি চমকপ্রদ খবর দেন। তিনি জানান, এবার যিনি চ্যাম্পিয়ন হবেন, তিনি চ্যানেল আইয়ের ঈদের নাটকে অভিনয়ের সুযোগ পাবেন। নাটকে তাঁর সহশিল্পী থাকবেন এই প্রতিযোগিতার বিচারক তাহসান।

তাহসান ও মিম মানতাসা
তাহসান ও মিম মানতাসা

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের স্নাতক শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী মিম মানতাসা। ছোটবেলা থেকে পড়াশোনার পাশাপাশি ছবি আঁকতেন। এবারই প্রথম কোনো রিয়ালিটি শোতে অংশ নিয়েছেন। আর প্রথমবার অংশ নিয়ে বাজিমাতও করেছেন। এই প্রতিযোগিতার কার্যক্রম শুরু হয় এ বছর জানুয়ারি মাসে। অংশ নিয়েছেন ১২ হাজার প্রতিযোগী। সৌন্দর্য আর মেধার এই প্রতিযোগিতায় সবাইকে পেছনে ফেলে শেষ পর্যন্ত বিজয়ী হন মিম মানতাসা। তিনি বলেন, ‘আগে শুধু পড়াশোনার পাশাপাশি ছবি আঁকতাম। এই প্রতিযোগিতায় আসার পর গত কয়েক মাসে নাচ, গান, অভিনয় সবই করছি। আমার জীবনের অন্য রকম এক অভিজ্ঞতা। এই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে নিজেকে সামনের দিনগুলোর জন্য প্রস্তুত করব। নিজেকে আরও ভালোভাবে তৈরি করতে চাই। অভিনয় শিখতে চাই।’

মিম মানতাসা আরও বলেন, ‘চ্যাম্পিয়ন হব ভেবে এখানে আসিনি। কিছু একটা করতে হবে—সেই চ্যালেঞ্জ নিয়ে এসেছিলাম। বিচারকদের রায়, সবার ভালোবাসা আর দোয়ায় শেষ পর্যন্ত বিজয়ী হয়েছি। এই অনুভূতি অসাধারণ, ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। আমার নাম যখন ঘোষণা করা হয়, তখন মাকে খুঁজছিলাম, কিন্তু কোথাও পাইনি।’